তত্ত্বাবধায়ক সরকার
অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হই। এ ব্যবস্থা থাকবে কি না তা নিয়ে বু"িজীবী বা রাজনীতিকেরা মতামত দিলেও নিরপেক্ষ, আমজনতার মতামত জরিপের কোনো উদ্যোগ দেখছি না। অথচ এ ব্যবস্থার ভিত্তিই নির্দলীয় ভাসমান ভোটার, যারা মূলত সরকার বদলায়। প্রশ্ন হলো, এই সরকারব্যবস্থা বাতিলের সময় উপস্থিত কি না? আমরা যদি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেবের অস্থায়ী সরকারকে বিচেনায় নিই, তাহলে চারটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অধীনে। প্রতিটি নির্বাচনই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। শুধু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচনকালে একজন দলীয় ব্যক্তি সরকারপ্রধান থাকলে, তিনি দলের পক্ষে পক্ষপাতের আশ্রয় নিতেই পারেন, সে জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার উ"্ভব হয়েছে।
আমরা ভাসমান ভোটাররা কেন এ ব্যবস্থার পক্ষে? এই সরকারব্যবস্থা আমাদের অল্প সময়ের জন্য হলেও মুক্তভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। অন্য সরকারগুলো শুধু দলীয় ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মনে হয় আমরা জনগণই ক্ষমতায় থাকি। যেখানে দলীয় লোকের দাপট থাকে না, থাকে না চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য। সবকিছুই থাকে শান্ত, গুটি কয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ উপদেষ্টা আমাদের বিজ্ঞ শাসনই উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে নগণ্য ত্রুটি ব্যতীত একেকটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচণ পাই, যাতে আমাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে। এই ব্যবস্থা বাতিল হলে তো কোনো নির্বাচনই আর কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনিতেই বিগত প্রত্যেক নির্বাচনে পরাজিত দল কারচুপিরর অভিযোগ এনেছে, জনগণ তা আমলে নেয়নি।
নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক, নির্বাচনের আগে বিগত দিনের মতো দলীয় কমিশনার নিয়োগ পেলে জনগণের ভোটাধিকারের কী অবস্থা দাঁড়াবে ভেবে দেখুন। এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলে আগামী চার বছরের শাসন হবে দিকহারা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা অতি উত্সাহী হয়ে সরকারের ভরাডুবি ডেকে আনতে পারেন। তাই এই ব্যবস্থা তত দিনই কাম্য, যত দিন আমাদের রাজনীতিকদের নৈতিকতা ও উদারতা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন উদিত হবে না।
সমাজের সুশীল সমাজকে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন এই কাজে সময় নষ্ট না করে দেশে বিদ্যমান গুরুতর সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারকে প্রভাবিত করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখতে ভ"মিকা রাখেন। এ ছাড়া মুহূর্তের জ্বলন্ত সমস্যা যেমন: জ্বালানি সংকট, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, যার আশু সমাধানে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।
নুরুল আমিন
শিল্প উদ্যোক্তা, বনানী, ঢাকা।
নির্বাচনকালে একজন দলীয় ব্যক্তি সরকারপ্রধান থাকলে, তিনি দলের পক্ষে পক্ষপাতের আশ্রয় নিতেই পারেন, সে জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার উ"্ভব হয়েছে।
আমরা ভাসমান ভোটাররা কেন এ ব্যবস্থার পক্ষে? এই সরকারব্যবস্থা আমাদের অল্প সময়ের জন্য হলেও মুক্তভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। অন্য সরকারগুলো শুধু দলীয় ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কিছু নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মনে হয় আমরা জনগণই ক্ষমতায় থাকি। যেখানে দলীয় লোকের দাপট থাকে না, থাকে না চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য। সবকিছুই থাকে শান্ত, গুটি কয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ উপদেষ্টা আমাদের বিজ্ঞ শাসনই উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে নগণ্য ত্রুটি ব্যতীত একেকটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচণ পাই, যাতে আমাদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে। এই ব্যবস্থা বাতিল হলে তো কোনো নির্বাচনই আর কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনিতেই বিগত প্রত্যেক নির্বাচনে পরাজিত দল কারচুপিরর অভিযোগ এনেছে, জনগণ তা আমলে নেয়নি।
নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক, নির্বাচনের আগে বিগত দিনের মতো দলীয় কমিশনার নিয়োগ পেলে জনগণের ভোটাধিকারের কী অবস্থা দাঁড়াবে ভেবে দেখুন। এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলে আগামী চার বছরের শাসন হবে দিকহারা এবং দলীয় নেতা-কর্মীরা অতি উত্সাহী হয়ে সরকারের ভরাডুবি ডেকে আনতে পারেন। তাই এই ব্যবস্থা তত দিনই কাম্য, যত দিন আমাদের রাজনীতিকদের নৈতিকতা ও উদারতা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন উদিত হবে না।
সমাজের সুশীল সমাজকে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন এই কাজে সময় নষ্ট না করে দেশে বিদ্যমান গুরুতর সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারকে প্রভাবিত করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখতে ভ"মিকা রাখেন। এ ছাড়া মুহূর্তের জ্বলন্ত সমস্যা যেমন: জ্বালানি সংকট, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, যার আশু সমাধানে সরকারকে মনোযোগী হতে হবে।
নুরুল আমিন
শিল্প উদ্যোক্তা, বনানী, ঢাকা।
No comments