দেশে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গরিবদের জন্য অপ্রতুল
বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচিগুলো দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য অপ্রতুল। আর তাই সবচেয়ে গরিব মানুষদের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা চালু করে তাদের অবস্থার ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চরম দরিদ্রদের খাদ্য, আবাসস্থল ও চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আর এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে গতকাল শনিবার বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেন্ট রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিডিআই) যৌথভাবে ‘চরম দারিদ্র্য ও উত্তরণ প্রক্রিয়া’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, চরম দরিদ্রদের অর্ধেকের বেশি সরকারি নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আসতে পারছে না। অথচ এরা মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৫ শতাংশ।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সব মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
দিনব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিডিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ এম হাশেমী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, মঙ্গাকবলিত এলাকায় সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে পরিচালিত দুস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য (ভিজিএফ) কর্মসূচিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪০ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করছে। অথচ দুস্থ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচিতে মাত্র ৪৫ শতাংশ বিনিয়োগ করছে। এটা সরকারি কর্মসূচির একটি বৈষম্য।
মঙ্গাকবলিত এলাকার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে হোসেন জিল্লুর বলেন, উত্তরবঙ্গের মঙ্গা-আক্রান্ত চারটি জেলা—কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারীতে তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৬৫টি পরিবার মৌসুমি বেকার থাকে। এ এলাকায় এক লাখ ৮৮ হাজার ১৮১টি পরিবারের খাদ্যঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৫টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ এবং আট হাজার ৯৩ পরিবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। এসব পরিবারের জন্য সরকারকে উপযুক্ত পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্বাত্মক সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি এখন গুরুত্বসহকারে চিন্তা করতে হবে, যা এখন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। সুরক্ষা পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দারিদ্র্যের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে।
সেমিনারের বিভিন্ন অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড হিউম, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাকের উপনির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন প্রমুখ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগের সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালার সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, চরম দরিদ্ররা এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার পরও দারিদ্র্য থেকে যেতে পারে এবং যারা গরিব না হয়, তারাও গরিব হতে পারে। আর তা পারে নাজুকতার কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চরম দরিদ্রদের খাদ্য, আবাসস্থল ও চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আর এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে গতকাল শনিবার বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেন্ট রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিডিআই) যৌথভাবে ‘চরম দারিদ্র্য ও উত্তরণ প্রক্রিয়া’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, চরম দরিদ্রদের অর্ধেকের বেশি সরকারি নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় আসতে পারছে না। অথচ এরা মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৫ শতাংশ।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সব মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
দিনব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিডিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ এম হাশেমী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, মঙ্গাকবলিত এলাকায় সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে পরিচালিত দুস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য (ভিজিএফ) কর্মসূচিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪০ শতাংশ বেশি বিনিয়োগ করছে। অথচ দুস্থ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচিতে মাত্র ৪৫ শতাংশ বিনিয়োগ করছে। এটা সরকারি কর্মসূচির একটি বৈষম্য।
মঙ্গাকবলিত এলাকার সার্বিক চিত্র তুলে ধরে হোসেন জিল্লুর বলেন, উত্তরবঙ্গের মঙ্গা-আক্রান্ত চারটি জেলা—কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারীতে তিন লাখ ৩৪ হাজার ২৬৫টি পরিবার মৌসুমি বেকার থাকে। এ এলাকায় এক লাখ ৮৮ হাজার ১৮১টি পরিবারের খাদ্যঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৫টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ এবং আট হাজার ৯৩ পরিবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। এসব পরিবারের জন্য সরকারকে উপযুক্ত পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্বাত্মক সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি এখন গুরুত্বসহকারে চিন্তা করতে হবে, যা এখন শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। সুরক্ষা পদক্ষেপের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দারিদ্র্যের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে।
সেমিনারের বিভিন্ন অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড হিউম, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাকের উপনির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন প্রমুখ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্থানীয় পর্যায়ের উদ্যোগের সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালার সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, চরম দরিদ্ররা এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার পরও দারিদ্র্য থেকে যেতে পারে এবং যারা গরিব না হয়, তারাও গরিব হতে পারে। আর তা পারে নাজুকতার কারণে।
No comments