কুমিল্লায় সওজের তিনটি কাজের বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
কুমিল্লায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তিনটি কাজের বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সব শর্ত পূরণ করে সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়া সত্ত্বেও কাজটি পায়নি কুমিল্লার মেসার্স এম আলম ও প্রধান অংশিদার এম আলম অ্যান্ড জেই (জেভি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছে।
সওজ জানায়, গত ১২ আগস্ট কুমিল্লা সওজ বন্যা পুনর্বাসন কাজের অধীনে জেলার দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সড়ক তিনটি হলো কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, কুমিল্লার চাঁপাপুর থেকে কালিরবাজার পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারখাল থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার সড়ক। ১৫ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারেরা দরপত্র জমা দেন। ৫ অক্টোবর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা হয়। এতে সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি দেওয়া হয়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুব আলম ঢাকায় দুদক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এসব কাজ দেওয়া হয়েছে, এতে তিনটি প্যাকেজে সরকারের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই কোটি ৬৪ লাখ চার হাজার ১৮৩ টাকা।
মাহবুব আলম দাবি করেন, যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলো পেয়েছে, তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর চেয়ে কম দরে ওই কাজ করতে পারত। অন্যায় এবং অবৈধ পন্থায় বড় অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে সওজের কর্মকর্তারা প্রভাবশালী মহলকে এসব কাজ পাইয়ে দেন। কাজগুলো পেয়েছে কুমিল্লা ও খুলনার তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সওজ কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কানাডার কনসালট্যান্টরা কাজের মূল্যায়ন করেছেন। এতে বাংলাদেশি কেউ ছিলেন না।’ তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, আপনি তো মূল্যায়ন কমিটির প্রধান, এ ব্যাপারে আপনার কি কোনো ভূমিকা ছিল না? এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর সড়কের কাজটি দেওয়া হয় মেসার্স অ্যান-মি-আরসিকে (জেভি) চার কোটি ৪৫ হাজার ৫২৩ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের মূল্য নির্ধারণ করে তিন কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। কুমিল্লায় চাঁপাপুর-কালিরবাজার সড়কের কাজ দেওয়া হয় বিটিসি-এসআইজেকে (জেভি) দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের মূল্য নির্ধারণ করে এক কোটি ৮৫ লাখ ২৩ হাজার ৫০ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারখাল-আখাউড়া কাজটি খুলনার দি রূপসা এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয় তিন কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৯০ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা এর মূল্য নির্ধারণ করে দুই কোটি ৫৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা।
সওজ জানায়, তিনটি প্যাকেজে ৩৬ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নেন। এতে প্রথম প্যাকেজে ১৪ জন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্যাকেজে ১১ জন করে অংশ নেন।
সওজ জানায়, গত ১২ আগস্ট কুমিল্লা সওজ বন্যা পুনর্বাসন কাজের অধীনে জেলার দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। সড়ক তিনটি হলো কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, কুমিল্লার চাঁপাপুর থেকে কালিরবাজার পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারখাল থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার সড়ক। ১৫ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারেরা দরপত্র জমা দেন। ৫ অক্টোবর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা হয়। এতে সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি দেওয়া হয়নি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুব আলম ঢাকায় দুদক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, যে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে এসব কাজ দেওয়া হয়েছে, এতে তিনটি প্যাকেজে সরকারের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই কোটি ৬৪ লাখ চার হাজার ১৮৩ টাকা।
মাহবুব আলম দাবি করেন, যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজগুলো পেয়েছে, তাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর চেয়ে কম দরে ওই কাজ করতে পারত। অন্যায় এবং অবৈধ পন্থায় বড় অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে সওজের কর্মকর্তারা প্রভাবশালী মহলকে এসব কাজ পাইয়ে দেন। কাজগুলো পেয়েছে কুমিল্লা ও খুলনার তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সওজ কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কানাডার কনসালট্যান্টরা কাজের মূল্যায়ন করেছেন। এতে বাংলাদেশি কেউ ছিলেন না।’ তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, আপনি তো মূল্যায়ন কমিটির প্রধান, এ ব্যাপারে আপনার কি কোনো ভূমিকা ছিল না? এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
জানা গেছে, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর সড়কের কাজটি দেওয়া হয় মেসার্স অ্যান-মি-আরসিকে (জেভি) চার কোটি ৪৫ হাজার ৫২৩ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের মূল্য নির্ধারণ করে তিন কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। কুমিল্লায় চাঁপাপুর-কালিরবাজার সড়কের কাজ দেওয়া হয় বিটিসি-এসআইজেকে (জেভি) দুই কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ২২০ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা কাজের মূল্য নির্ধারণ করে এক কোটি ৮৫ লাখ ২৩ হাজার ৫০ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারখাল-আখাউড়া কাজটি খুলনার দি রূপসা এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয় তিন কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৯০ টাকায়। সর্বনিম্ন দরদাতা এর মূল্য নির্ধারণ করে দুই কোটি ৫৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা।
সওজ জানায়, তিনটি প্যাকেজে ৩৬ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নেন। এতে প্রথম প্যাকেজে ১৪ জন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্যাকেজে ১১ জন করে অংশ নেন।
No comments