ডাবলিনে দুই ইতালিয়ানের লড়াই
ডাবলিনের ক্রোক পার্কে আজ ইতালি-আয়ারল্যান্ড ফুটবল লড়াই। এ ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে ইতালির। তবে আয়ারল্যান্ড জিতলেও তাদের প্লে-অফের জন্য তৈরি থাকতে হতে পারে। ৮ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ইতালি। সমান ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ১৬।
শুধু ফুটবলীয় কারণেই ম্যাচটি যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। এতে আরও রং চড়িয়েছে দুই ইতালিয়ানের দ্বৈরথ। ইতালি-আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচটা যে ইতালির দুই গ্রেট কোচ মার্সেলো লিপ্পি ও জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনিরও।
২০০৬ বিশ্বকাপ জিতেই ইতালির কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মার্সেলো লিপ্পি। দুই বছর পর আবার দায়িত্ব নিয়েছেন খানিক এলেমেলো হয়ে পড়া ইতালিকে পথ দেখাতে। আর ত্রাপাত্তোনি? জ্যাক চার্লটনের জ্বালানো আয়ারল্যান্ডের মশালটা যেন বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়েছে তাঁর হাতেই। ২০০০ থেকে ২০০৪—এই চার বছরে ইতালিকে তেমন কিছুই দিতে না পারলেও ইতালির ক্লাব ফুটবলে তিনি বিশাল এক নাম।
জুভেন্টাসে ১০ বছর ছিলেন ত্রাপাত্তোনি। এই সময়ে জুভেন্টাসকে জিতিয়েছেন ৬টি স্কুডেট্টো। ইউরোপিয়ান কাপ একটি। এই জুভেন্টাসেই দুই মেয়াদে প্রায় ৮ বছর ছিলেন লিপ্পি। তাঁর সময়ে জুভেন্টাস জিতেছে ৫টি ইতালিয়ান শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। লিপ্পি এর বাইরে ক্লাব ফুটবলে আর কোনো বড় শিরোপা না জিতলেও ত্রাপাত্তোনি ইন্টার মিলানকে জিতিয়েছেন স্কুডেট্টো, বায়ার্ন মিউনিখকে বুন্দেসলিগার শিরোপা, বেনফিকাকে নিয়ে জিতেছেন পর্তুগিজ লিগ আর রেড বুল সালজবুর্গকে অস্ট্রিয়ান লিগ।
ক্লাব ফুটবল সাফল্যে ত্রাপাত্তোনির চেয়ে থাকায় লিপ্পির হয়তো আক্ষেপ থাকতে পারে। তবে আজ এটিকেই আবার প্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন তিনি। কারণ ডাবলিনে আজ তো আর ক্লাব ফুটবলের লড়াই নয়। তাই এ লড়াইয়ে আজ ইতালি যেমন ফেবারিট, তেমনি কোচদের দ্বৈরথে ফেবারিট লিপ্পি।
ইতালির এই দুই বড় কোচের লড়াইকে ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন কীভাবে দেখছেন? ত্রাপাত্তোনির বিপক্ষে ইতালির খেলোয়াড়রা খেলতে পারছে, এতেই নাকি তাঁদের আনন্দ। দুই কোচের অধীনেই খেলা বুফন পরে দুজনের পার্থক্য করতে গিয়ে বলেছেন,‘ত্রাপাত্তোনি ছিলেন সদাহাস্য। তবে খুব লড়াকু এবং রেগেও যেতেন।’
ডাবলিন ম্যাচটা অন্য মাত্রা পেয়েছে দুই ইতালিয়ানের কোচের লড়াই বলে। তবে আজ ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো হচ্ছে পর্তুগালে লিসবন এবং ফ্রান্সের গুইনগাম্পে। পর্তুগাল ও ফ্রান্স দুটি দলই খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে।
পর্তুগাল-হাঙ্গেরির ম্যাচটি একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচে জয় না পেলে তৃতীয় সেরা দলের তালিকায় থেকে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনাও যে কমে যাবে পর্তুগালের। ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ। ১৮ ও ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় দল ডেনমার্ক ও সুইডেন।
ফ্রান্সের অবশ্য এত খারাপ অবস্থা নয়। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রেমন্ড ডমেনেখের দল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সার্বিয়া আর তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ১১। আর ফ্রান্সের আজকের ম্যাচটিও বড় কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নয়। দেশের মাটিতে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ দুর্বল ফারো দ্বীপপুঞ্জ।
শুধু ফুটবলীয় কারণেই ম্যাচটি যথেষ্ট রোমাঞ্চকর। এতে আরও রং চড়িয়েছে দুই ইতালিয়ানের দ্বৈরথ। ইতালি-আয়ারল্যান্ড এই ম্যাচটা যে ইতালির দুই গ্রেট কোচ মার্সেলো লিপ্পি ও জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনিরও।
২০০৬ বিশ্বকাপ জিতেই ইতালির কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মার্সেলো লিপ্পি। দুই বছর পর আবার দায়িত্ব নিয়েছেন খানিক এলেমেলো হয়ে পড়া ইতালিকে পথ দেখাতে। আর ত্রাপাত্তোনি? জ্যাক চার্লটনের জ্বালানো আয়ারল্যান্ডের মশালটা যেন বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়েছে তাঁর হাতেই। ২০০০ থেকে ২০০৪—এই চার বছরে ইতালিকে তেমন কিছুই দিতে না পারলেও ইতালির ক্লাব ফুটবলে তিনি বিশাল এক নাম।
জুভেন্টাসে ১০ বছর ছিলেন ত্রাপাত্তোনি। এই সময়ে জুভেন্টাসকে জিতিয়েছেন ৬টি স্কুডেট্টো। ইউরোপিয়ান কাপ একটি। এই জুভেন্টাসেই দুই মেয়াদে প্রায় ৮ বছর ছিলেন লিপ্পি। তাঁর সময়ে জুভেন্টাস জিতেছে ৫টি ইতালিয়ান শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ। লিপ্পি এর বাইরে ক্লাব ফুটবলে আর কোনো বড় শিরোপা না জিতলেও ত্রাপাত্তোনি ইন্টার মিলানকে জিতিয়েছেন স্কুডেট্টো, বায়ার্ন মিউনিখকে বুন্দেসলিগার শিরোপা, বেনফিকাকে নিয়ে জিতেছেন পর্তুগিজ লিগ আর রেড বুল সালজবুর্গকে অস্ট্রিয়ান লিগ।
ক্লাব ফুটবল সাফল্যে ত্রাপাত্তোনির চেয়ে থাকায় লিপ্পির হয়তো আক্ষেপ থাকতে পারে। তবে আজ এটিকেই আবার প্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন তিনি। কারণ ডাবলিনে আজ তো আর ক্লাব ফুটবলের লড়াই নয়। তাই এ লড়াইয়ে আজ ইতালি যেমন ফেবারিট, তেমনি কোচদের দ্বৈরথে ফেবারিট লিপ্পি।
ইতালির এই দুই বড় কোচের লড়াইকে ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন কীভাবে দেখছেন? ত্রাপাত্তোনির বিপক্ষে ইতালির খেলোয়াড়রা খেলতে পারছে, এতেই নাকি তাঁদের আনন্দ। দুই কোচের অধীনেই খেলা বুফন পরে দুজনের পার্থক্য করতে গিয়ে বলেছেন,‘ত্রাপাত্তোনি ছিলেন সদাহাস্য। তবে খুব লড়াকু এবং রেগেও যেতেন।’
ডাবলিন ম্যাচটা অন্য মাত্রা পেয়েছে দুই ইতালিয়ানের কোচের লড়াই বলে। তবে আজ ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো হচ্ছে পর্তুগালে লিসবন এবং ফ্রান্সের গুইনগাম্পে। পর্তুগাল ও ফ্রান্স দুটি দলই খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে।
পর্তুগাল-হাঙ্গেরির ম্যাচটি একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচে জয় না পেলে তৃতীয় সেরা দলের তালিকায় থেকে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনাও যে কমে যাবে পর্তুগালের। ৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দেশ। ১৮ ও ১৫ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের প্রথম ও দ্বিতীয় দল ডেনমার্ক ও সুইডেন।
ফ্রান্সের অবশ্য এত খারাপ অবস্থা নয়। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রেমন্ড ডমেনেখের দল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সার্বিয়া আর তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ১১। আর ফ্রান্সের আজকের ম্যাচটিও বড় কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নয়। দেশের মাটিতে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ দুর্বল ফারো দ্বীপপুঞ্জ।
No comments