সালমান খানকে হত্যায় ২৫ লাখ রুপির চুক্তি, ভাড়া করা হয় ৫ জনকে

বলিউডের হার্টথ্রব নায়ক সালমান খানকে হত্যা করতে ২৫ লাখ রুপির চুক্তি হয়েছিল। এ জন্য ভাড়া করা হয়েছিল ৫জনকে। তারা একে-৪৭, একে ৯২ এবং এম-১৬ কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এ বছর এপ্রিলের মধ্যে হত্যার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল। নাভি মুম্বই পুলিশ বৃহস্পতিবার জমা দেয়া চার্জশিটে এসব কথা বলেছে। তাতে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পানভেলে খামারবাড়ির কাছে সালমান খানকে হত্যা করতে চেয়েছিল তারা। এতে অভিযুক্ত হিসেবে ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখানেও উঠে এসেছে জেলবন্দি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। তার নেতৃত্বে তার গ্যাং এই চুক্তি করেছিল। চার্জশিটে বলা হয়, অভিযুক্তরা পাকিস্তান থেকে একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬, তুরস্কে তৈরি জিগানা অস্ত্র কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তুরস্কে তৈরি জিগানা দিয়ে এর আগে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছে। মিশন সম্পন্ন করতে ১৮ বছরের কম বয়সী বালকদের ভাড়া করা হয়। তারা সবাই পুনে, রাইগাদ, নাভি মুম্বই, থানে ও গুজরাটে আত্মগোপনে থাকে। সালমান খানকে হত্যা করতে হলে তার গতিবিধি নজর রাখতে দায়িত্ব দেয়া হয় ৬০ থেকে ৭০ জনকে। এসব স্থানের মধ্যে আছে বান্দ্রার বাড়ি, পানভেলের খামারবাড়ি এবং গোরেগাঁও ফিল্ম সিটি।

তদন্তে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই মামলায় হরিয়ানার পানিপাত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুখাকে। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল শুটার অজয় কাশ্যপ ওরফে একে এবং অন্য চারজনকে এই ষড়যন্ত্রে দেখভালের জন্য। কাশ্যপ ও তার টিমের নেতৃত্বে নতুন করে পরিকল্পনা হয়। তারা এই অভিনেতার কঠোর নিরাপত্তা ও বুলেটপ্রুফ গাড়ির বিষয়টি আমলে নেয়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে হত্যা করতে হলে উচ্চ মানসম্পন্ন অস্ত্রের প্রয়োজন হবে। এ জন্য পাকিস্তানভিত্তিক অস্ত্রের ডিলার ডোগার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে সুখা। এ সময় একটি শালের ভিতর পেঁচানো অবস্থায় একে-৪৭ এবং অন্য অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখান তিনি। চলতে থাকে দরদাম। এক পর্যায়ে অস্ত্রগুলো সরবরাহ দিতে রাজি হন ডোগার। শতকরা ৫০ ভাগ দাম আগাম দিতে রাজি হন সুখা। বাকি অর্ধেক দেবেন অস্ত্র ভারতে পৌঁছে দেয়ার পর। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, সব প্রস্তুতির পর কানাডাভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোইয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল পুরো টিম। ৫৮ বছর বয়সী সালমান খানকে হত্যার পর তাদের পরিকল্পনা ছিল কন্যাকুমারীতে সমবেত হওয়ার। সেখান থেকে বোটে করে চলে যাওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। তারপর এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যেখানে তদন্তের জন্য যেতে পারবে না ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বান্দ্রায় সালমান খানের বাড়ির বাইরে এক গুলির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এই ষড়যন্ত্রের সন্ধান পায়। এরই মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিককে হত্যার পর সালমান খানের বান্দ্রার বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.