ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আহমাদিনেজাদের বিস্ফোরক মন্তব্য
সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এ ধরনের একটি অপারেশনের আওতায় ২০১৮ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গণমাধ্যমে প্রকাশও করেছিলেন এবং এর ওপর ভিত্তি করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে থাকা পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান।
আহমাদিনেজাদের দাবি, এই ডাবল এজেন্টরা কয়েক বছর ধরে ইরানের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করেছে। তেহরানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার ধারাবাহিক ব্যর্থতার অন্যতম কারণ এটি। অভিযুক্ত এসব মোসাদ এজেন্টরা তাদের অপারেশন শেষ করে বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাস করছে।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০০৬ সালে যুদ্ধের পর ইসরায়েল লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা বিভিন্নভাবে গুপ্তচর নিয়োগ করে। গোয়েন্দাদের নতুন দলটি তৈরি করা হয় সেনাবাহিনীর মধ্যে থেকে। যেন সেনা এবং বিমানবাহিনীর কাছে তারা সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
পাশাপাশি ইসরায়েলি সিগন্যাল গোয়েন্দা এজেন্সি ইউনিট অনেক অত্যাধুনিক সাইবার টুলস তৈরি করেছে। যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই ইরানপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসে আঁড়ি পাতা যায়।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ ইরানপন্থি বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। সর্বশেষ হাসান নাসরুল্লাহের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে হিজবুল্লাহ প্রধানের অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই তাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানপন্থি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যেসব সাফল্য পেয়েছে সেগুলো এসেছে মূলত গোয়েন্দা কার্যক্রমের কল্যাণেই।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। ছবি : সংগৃহীত |
No comments