লালমনিরহাটে দুর্নীতির ফাইল গায়েব by মিলন পাটোয়ারী
সূত্র মতে ফাইল গায়েবের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহকারী সাবেক মন্ত্রীর নিকটতম মোছাঃ পারভীন বেগম। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ তাকে চাকরি দিয়েছিল। তার বাড়ির পাশে থাকেন ওই অফিস সহকারী। সরকার পতনের পর দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসার আগেই মন্ত্রীর বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় সরিয়ে ফেলে দুর্নীতির ফাইল। পারভীনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে সদর অফিসে করা হয়েছে বদলি। ওই ফাইলে অর্থ বিতরণ, বরাদ্দ তালিকা, নোট, রেজ্যুলেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উপরে রয়েছে হিসাব ও তালিকা। আরও জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, তার জামাই জিল্লুর রহমান, এপিএস মিজানের দুর্নীতি সরকারি অর্থ লুট ঘটনায় সরকারের যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে সরকার। দুদকও তদন্ত করছে। এই মুহূর্তে সরকারি ফাইল গায়েব হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি অনেকের। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইমতিয়াজ কবীর মানবজমিনকে বলেন, সমাজসেবা অফিসের অফিস সহকারী মোছাঃ পারভীন বেগম সরকারি অফিসের ফাইল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জিডি করে। জিডি নম্বর ২২০ গত ৫ই সেপ্টেম্বর দায়ের করেন। জিডিতে উল্লেখ করেন ৬ই আগস্ট ফাইল তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পথে তুষভাণ্ডারে হারিয়েছে। এতে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ পরিষদের বরাদ্দের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তালিকাসহ বিভিন্ন ফাইল ছিল। থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি এখন শোনা যাচ্ছে সরকারি টাকার হিসাব ও তালিকা ছিল। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। অফিস সহকারী পারভীন বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একবার জানান ফাইল হারিয়েছে। আবার জানান অফিসে থাকতে পারে খুঁজতে হবে। আরও বলেন ৬ই আগস্ট অফিসে হামলা করে ফাইল নিয়ে গেছে। ওদিকে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়েছে ৬ই আগস্ট। ৫ই সেপ্টেম্বর এক মাস পর জিডি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাবেক মন্ত্রীর দুর্নীতি ঢাকতে ফাইল হারানো নাটক ছাড়া আর কিছু না। তাই ফাইল উদ্ধার করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। সনাক লালমনিরহাটের সহ-সভাপতি ডা. আশিক ইকবাল জানালেন, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের দুর্নীতি লুটপাটের চিত্র পত্রিকায় আসছে তা গোপন করতে ফাইল গায়েব করেছে। অফিসের ফাইল এক মাস পূর্বে হারিয়েছে আর এক মাস পরে জিডি এটি নাটকীয় ওই অফিস সহকারী পারভীন বেগমকে রিমান্ড নিলে বেরিয়ে আসবে আরও তথ্য। লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান জানান, ফাইল হারিয়ে যাওয়ার বিষয় পত্রিকায় জানতে পারি। সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
No comments