ইয়েমেনি হামলায় ৩ ব্রিগেড ধ্বংস, হাজার হাজার সৌদি সেনা আটক
ইয়েমেনের
জনপ্রিয় সংগঠন হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সেনাবাহিনীর বড় ধরনের হামলায়
সৌদি সামরিক বাহিনীর তিনটি ব্রিগেড পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। কয়েক হাজার সেনা,
সামরিক সরঞ্জাম ও সাঁজোয়া যান আটক করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের নাজরান শহরে ৭২ ঘণ্টাব্যাপী হামলাটি চালানো হয়। হামলায় ইয়েমেনের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সমর্থন যুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হুতিরা সৌদি সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার সৈন্য, বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম এবং কয়েকশ সাঁজোয়া যান আটক করেছে। এসময় আগ্রাসী বাহিনীর শতাধিক সেনা হতাহত হয়েছে।আজ (রোববার) আরো পরে আটক সৌদি সেনাদের ছবি এবং ভিডিও ক্লিক আল-মাসিরা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেনারেল সারি বলেন, আটক সৌদি সেনা ও বিভিন্ন দেশ থেকে আনা তাদের ভাড়াটে সেনাদের সঙ্গে ইসলামি দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আচরণ করা হচ্ছে। আটক হাজার হাজার সেনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, আটক সেনাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ মানবিক আচরণ করা হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তথ্য পাঠানো হবে। আটক সৌদি সেনাদেরকে সম্ভাব্য সৌদি বিমান হামলা থেকেও রক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি বিশেষ ইউনিট, সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্ররা এলাকায় হামলা চালিয়ে নাজরানের কয়েকটি কয়েকশ’ বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমনে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষ্ঠুর সামরিক আগ্রাসন শুরু পর এটিকে ‘আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর এই মুখপাত্র।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের ‘আবকাইক’ ও ‘খুরাইস’ তেল শোধনাগারে ১০টি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনের সাহায্যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। হামলার কারণে দিনে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমেছে, যা সৌদির মোট উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। এমনকি সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ও রপ্তানির ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে দমন করে পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ দেশটিতে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরব। গত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টানা বোমাবর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েও রিয়াদ তার একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি উল্টো হুথি আন্দোলনের সমর্থিত সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন রিয়াদ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের নাজরান শহরে ৭২ ঘণ্টাব্যাপী হামলাটি চালানো হয়। হামলায় ইয়েমেনের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো সমর্থন যুগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হুতিরা সৌদি সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার সৈন্য, বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম এবং কয়েকশ সাঁজোয়া যান আটক করেছে। এসময় আগ্রাসী বাহিনীর শতাধিক সেনা হতাহত হয়েছে।আজ (রোববার) আরো পরে আটক সৌদি সেনাদের ছবি এবং ভিডিও ক্লিক আল-মাসিরা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বলেও তিনি জানান।
জেনারেল সারি বলেন, আটক সৌদি সেনা ও বিভিন্ন দেশ থেকে আনা তাদের ভাড়াটে সেনাদের সঙ্গে ইসলামি দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আচরণ করা হচ্ছে। আটক হাজার হাজার সেনাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, আটক সেনাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ মানবিক আচরণ করা হবে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তথ্য পাঠানো হবে। আটক সৌদি সেনাদেরকে সম্ভাব্য সৌদি বিমান হামলা থেকেও রক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
ইয়াহিয়া সারি আরও বলেন, ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর কয়েকটি বিশেষ ইউনিট, সেনাবাহিনী ও তাদের মিত্ররা এলাকায় হামলা চালিয়ে নাজরানের কয়েকটি কয়েকশ’ বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইয়েমনে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষ্ঠুর সামরিক আগ্রাসন শুরু পর এটিকে ‘আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় জয়’ বলে অভিহিত করেছেন ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর এই মুখপাত্র।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের ‘আবকাইক’ ও ‘খুরাইস’ তেল শোধনাগারে ১০টি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনের সাহায্যে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। হামলার কারণে দিনে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল কমেছে, যা সৌদির মোট উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। এমনকি সৌদি আরবের তেল উৎপাদন ও রপ্তানির ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে দমন করে পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ দেশটিতে ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরব। গত প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টানা বোমাবর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েও রিয়াদ তার একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি উল্টো হুথি আন্দোলনের সমর্থিত সেনাবাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন রিয়াদ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সৌদি আগ্রাসনে ধ্বংসস্তুপে পরিণত ইয়েমেনের একটি বাড়ি (ফাইল ছবি) |
No comments