অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে পারেন বরিস জনসন
খুব
শিগগিরই অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে পারে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি গতকাল শনিবার এমন হুমকি দিয়েছে। দলটির এক মুখপাত্র
জানান, ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে জনসন
সরকারকে বাতিল করে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। অস্থায়ী ভোটে জনসন পরাজিত হলে তার
জায়গায় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বা অন্য কাউকে অস্থায়ী সরকার গঠন
করতে বলা হবে। এ খবর দিয়েছে দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। খবরে বলা হয়, কনজারভেটিভ
পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে ম্যানচেস্টারে গেছেন জনসন। এমতাবস্থায়
এসএনপি’র বাণিজ্য বিষয়ক মুখপাত্র স্টিওয়ার্ট হোসি জানান, জনসনের ওপর ভরসা
করতে পারছে না দলটি। তাদের ধারণা, জনসন আইন মেনে চলবেন না। তাই আগামী
সপ্তাহে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলতে পারে এসএনপি।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক চলছে তাদের। হোসি জানান, জনসন ৩১শে
অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট চান। প্রয়োজনে কোনো চুক্তি না করেই। আর বর্তমান
পরিস্থিতিতে তাকে ঠেকানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে অনাস্থা ভোট। এর আগে শুক্রবার
এসএনপি প্রধান ও স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জনও একইরকম
ইঙ্গিত দেন। বেশ সপষ্টভাবেই জানান, জনসনের জায়গায় করবিনকে অস্থায়ী সরকার
গঠনের সুযোগ দিতে চান তিনি। যাতে করবিন ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা পেছাতে
পারেন ও তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন। তবে লেবার
পার্টি স্টার্জনের প্রস্তাবে এখনো সরাসরি সাড়া দেয়নি। অবশ্য পূর্বে তারা
জানিয়েছে, তারা তখনই নির্বাচনের ডাক দেবে যখন ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে
চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা বাতিল হবে। এখন পর্যন্ত জনসন একাধিকবার আগাম
নির্বাচনের প্রস্তাব দিলেও তাতে সমর্থন দেয়নি লেবার পার্টি। হোসি জানান,
সত্যিকার অর্থেই জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের চিন্তা করা হচ্ছে। তিনি
বলেন, আমাদের এটা করতেই হবে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী আইন মেনে চলবেন ও
পার্লামেন্টের ইচ্ছানুযায়ী ব্রেক্সিটের সময়সীমা পেছাবেন- আমরা এমনটা আর
বিশ্বাস করতে পারছি না। লেবার পার্টির ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা সপষ্ট যে,
তারা ব্রেক্সিট পেছাতে চায়।
আর আপাতদৃষ্টিতে সেটা করার একমাত্র উপায় অনাস্থা ভোটে সরকারকে পরাজিত করে অস্থায়ী সরকার গঠন করা। লেবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে চাইবে না। এদিকে, এসএনপি সমর্থন দিলেও জো সুইনসন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটসরা করবিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। হোসি এই ব্যাপারে বলেন, করবিনের বদলে যদি অন্য কাউকে সব দল সমর্থন দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে সরকার গঠন করতে দেয়াটা ভালো হবে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলকে সরকার গঠনের প্রথম সুযোগ দেয়াটাই যুক্তিযুক্ত। জো সুইনসন ও লিবারেল ডেমোক্রেটরা যদি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে তাহলে তাদের উচিত এসব রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করে, বাকি সবার সঙ্গে মিলে কাজ করা। গত শুক্রবার এক টুইটে স্টার্জন জানান, তিনি জনসনের জায়গায় করবিনকে অস্থায়ী সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতে ইচ্ছুক। বাকি দলগুলোর উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে তিনি এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। অনাস্থা ভোট, ব্রেক্সিট পেছানোর খাতিরে একজন ব্যক্তিকে ঘিরে বিরোধী ঐক্য গঠন ও এরপর তাৎক্ষণিক নির্বাচন আয়োজন। তিনি আরো বলেন, কোনো কিছুই ঝুঁকিহীন নয়। কিন্তু জনসনের হাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বা নিম্নমানের কোনো চুক্তির ক্ষমতা ছেড়ে দেয়াটা আমার কাছে ভালো বুদ্ধির কাজ বলে মনে হয় না। গত সপ্তাহে জনসন জানান, তিনি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছেন। যেকোনো বিরোধী দল চাইলে প্রস্তাব তুলতে পারে, তার সরকার ভোটের অনুমোদন দেবে। প্রসঙ্গত, ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে, কেবলমাত্র প্রধান বিরোধী দল অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবে ভোটের অনুমোদন দিতে বাধ্য ক্ষমতাসীন সরকার।
আর আপাতদৃষ্টিতে সেটা করার একমাত্র উপায় অনাস্থা ভোটে সরকারকে পরাজিত করে অস্থায়ী সরকার গঠন করা। লেবার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে চাইবে না। এদিকে, এসএনপি সমর্থন দিলেও জো সুইনসন নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটসরা করবিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। হোসি এই ব্যাপারে বলেন, করবিনের বদলে যদি অন্য কাউকে সব দল সমর্থন দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে সরকার গঠন করতে দেয়াটা ভালো হবে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম দলকে সরকার গঠনের প্রথম সুযোগ দেয়াটাই যুক্তিযুক্ত। জো সুইনসন ও লিবারেল ডেমোক্রেটরা যদি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে তাহলে তাদের উচিত এসব রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করে, বাকি সবার সঙ্গে মিলে কাজ করা। গত শুক্রবার এক টুইটে স্টার্জন জানান, তিনি জনসনের জায়গায় করবিনকে অস্থায়ী সরকার গঠনের সুযোগ করে দিতে ইচ্ছুক। বাকি দলগুলোর উদ্দেশ্যে এ বিষয়ে তিনি এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। অনাস্থা ভোট, ব্রেক্সিট পেছানোর খাতিরে একজন ব্যক্তিকে ঘিরে বিরোধী ঐক্য গঠন ও এরপর তাৎক্ষণিক নির্বাচন আয়োজন। তিনি আরো বলেন, কোনো কিছুই ঝুঁকিহীন নয়। কিন্তু জনসনের হাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বা নিম্নমানের কোনো চুক্তির ক্ষমতা ছেড়ে দেয়াটা আমার কাছে ভালো বুদ্ধির কাজ বলে মনে হয় না। গত সপ্তাহে জনসন জানান, তিনি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব মোকাবিলা করতে প্রস্তুত আছেন। যেকোনো বিরোধী দল চাইলে প্রস্তাব তুলতে পারে, তার সরকার ভোটের অনুমোদন দেবে। প্রসঙ্গত, ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে, কেবলমাত্র প্রধান বিরোধী দল অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবে ভোটের অনুমোদন দিতে বাধ্য ক্ষমতাসীন সরকার।
No comments