খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার ও বিন সালমানের ভবিষ্যত
প্রায়
এক বছর পর সৌদি প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান জামাল খাশোগি'র নির্মম
হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেন। সম্প্রতি মার্কিন টিভি চ্যানেল পিবিএসকে
দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বিন সালমান বলেছেন, যেহেতু ঘটনাটি তার সময়কালে
সংঘটিত হয়েছে তাই ওই হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব তার।
তবে একইসঙ্গে বিন সালমান জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি ওই দুঘর্টনা সম্পর্কে একবারেই জানতেন না। সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বি সাংবাদিক,ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর প্রশাসনিক কাজে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ভবন থেকে আর প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী একটি বিশেষ বিমানে ইস্তাম্বুলে গিয়ে জামাল খাশোগিকে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সৌদি সরকার এ পর্যন্ত চারটি কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রথম কৌশলটি ছিল এই ঘটনার সাথে যে-কোনো প্রকার সম্পৃক্তি "অস্বীকার" করা।
দ্বিতীয় কৌশলটি ছিল, হত্যাকাণ্ডটি সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটালেও এই অপরাধের সঙ্গে বিন সালমানসহ সৌদি কর্মকর্তাদের কোনো হাত ছিল না। আলে-সৌদের ওপর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতিই কৌশলটি গৃহীত হয়েছিল।
তৃতীয় কৌশলটি ছিল একটা ক্যাঙ্গারু আদালত গঠন করে খুনিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া।
চতুর্থ কৌশলটি স্বয়ং বিন সালমান গ্রহণ করেছেন। তিনি এই প্রথমবারের মতো খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এখন প্রশ্ন হল গত এক বছর ধরে যেই বিন সালমান খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব কোনোভাবেই গ্রহণ করেন নি তিনি এখন কেন তা মেনে নিলেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখন আর ধামাচাপা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা খাশোগি হত্যার যেসব তথ্যপ্রমাণ প্রকাশিত হয়ে পড়েছে সৌদি আরবের পক্ষে সেগুলো অস্বীকার করার কোনো পথ খোলা নেই। এখানে আসলে নতুন কিছু ঘটে নি। বিন-সালমানসহ সৌদি কর্তৃপক্ষ এর আগেও এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, এখনও করছে। তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে এর দায় মেনে নেয়ার একটা সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো, সৌদি আরবের বাদশাহ হতে যাচ্ছেন বিন সালমান। তাই কিছু আর্থিক খেসারত দিয়ে হলেও নিজেকে সৎ ও দায়িত্বশীল হিসেবে প্রমাণ করে তাঁর চেহারাটাকে পূত-পবিত্র ও ভারসাম্যপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরতে চান।
আরও একটি কারণ হতে পারে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে সৌদি আরবেও অন্যান্য দেশের মতো এমন সব ঘটনা ঘটতে পারে যেসব ব্যাপারে সৌদি কর্মকর্তারা অবহিত নাও থাকতে পারেন।
এক বছর পর এই দায় স্বীকার করার অপর উদ্দেশ্য হলো নিজেকে এবং সৌদি শাসকদেরকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দোষ হিসেবে তুলে ধরা। প্রকৃতপক্ষে বিন সালমান এভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আনিস কালামার কয়েক দিন আগেও বলেছেন, বিন সালমানসহ সৌদি সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা যে জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তার অকাট্য তথ্য-প্রমাণ তার হাতে রয়েছে।
তবে একইসঙ্গে বিন সালমান জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি ওই দুঘর্টনা সম্পর্কে একবারেই জানতেন না। সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বি সাংবাদিক,ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর প্রশাসনিক কাজে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ভবন থেকে আর প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী একটি বিশেষ বিমানে ইস্তাম্বুলে গিয়ে জামাল খাশোগিকে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে।
এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সৌদি সরকার এ পর্যন্ত চারটি কৌশল অবলম্বন করেছে। প্রথম কৌশলটি ছিল এই ঘটনার সাথে যে-কোনো প্রকার সম্পৃক্তি "অস্বীকার" করা।
দ্বিতীয় কৌশলটি ছিল, হত্যাকাণ্ডটি সৌদি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটালেও এই অপরাধের সঙ্গে বিন সালমানসহ সৌদি কর্মকর্তাদের কোনো হাত ছিল না। আলে-সৌদের ওপর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের পরিপ্রেক্ষিতিই কৌশলটি গৃহীত হয়েছিল।
তৃতীয় কৌশলটি ছিল একটা ক্যাঙ্গারু আদালত গঠন করে খুনিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেওয়া।
চতুর্থ কৌশলটি স্বয়ং বিন সালমান গ্রহণ করেছেন। তিনি এই প্রথমবারের মতো খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এখন প্রশ্ন হল গত এক বছর ধরে যেই বিন সালমান খাশোগি হত্যাকাণ্ডের দায়িত্ব কোনোভাবেই গ্রহণ করেন নি তিনি এখন কেন তা মেনে নিলেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখন আর ধামাচাপা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা খাশোগি হত্যার যেসব তথ্যপ্রমাণ প্রকাশিত হয়ে পড়েছে সৌদি আরবের পক্ষে সেগুলো অস্বীকার করার কোনো পথ খোলা নেই। এখানে আসলে নতুন কিছু ঘটে নি। বিন-সালমানসহ সৌদি কর্তৃপক্ষ এর আগেও এই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, এখনও করছে। তারপরও আনুষ্ঠানিকভাবে এর দায় মেনে নেয়ার একটা সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো, সৌদি আরবের বাদশাহ হতে যাচ্ছেন বিন সালমান। তাই কিছু আর্থিক খেসারত দিয়ে হলেও নিজেকে সৎ ও দায়িত্বশীল হিসেবে প্রমাণ করে তাঁর চেহারাটাকে পূত-পবিত্র ও ভারসাম্যপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরতে চান।
আরও একটি কারণ হতে পারে ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে সৌদি আরবেও অন্যান্য দেশের মতো এমন সব ঘটনা ঘটতে পারে যেসব ব্যাপারে সৌদি কর্মকর্তারা অবহিত নাও থাকতে পারেন।
এক বছর পর এই দায় স্বীকার করার অপর উদ্দেশ্য হলো নিজেকে এবং সৌদি শাসকদেরকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নির্দোষ হিসেবে তুলে ধরা। প্রকৃতপক্ষে বিন সালমান এভাবে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক আনিস কালামার কয়েক দিন আগেও বলেছেন, বিন সালমানসহ সৌদি সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা যে জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তার অকাট্য তথ্য-প্রমাণ তার হাতে রয়েছে।
No comments