এরশাদ ছাড়া জাপা: উদ্বিগ্ন রংপুরের নেতাকর্মীরা যা ভাবছেন by পিয়াস সরকার ও জাভেদ ইকবাল
জাতীয়
পার্টির ঘাঁটি রংপুর। রংপুরবাসীর বিপুল সমর্থন নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান
এরশাদ নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনীতির অঙ্গনে দলটির টিকে থাকার ক্ষেত্রেও বড়
ভূমিকা রেখেছে রংপুরের মানুষ। সাবেক সেনা শাসক এরশাদের শেষ বিদায়েও সীমাহীন
শ্রদ্ধা আর ভালবাসা দেখিয়েছে তার জন্মস্থানের মানুষ। তাদের চাপে দল
সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রংপুরে সমাহিত করা হয়েছে এরশাদকে। এরশাদের মৃত্যুতে
দলে যে শুন্যতা তৈরি হয়েছে তা কিভাবে কাটবে। দলের ভবিষ্যৎইবা কী? সারা
দেশের মতো এমন প্রশ্ন রংপুরের মানুষের মুখে মুখে। নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও
জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে উদ্বেগের ছাপ
লক্ষ্য করা গেছে।
তারা জানিয়েছেন এতো দিন রংপুরে জাতীয় পার্টি যে দাপট দেখিয়ে এসেছে শিগগিরই এর অবসান হতে যাচ্ছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জাপার সম্রাজ্য ক্ষয়ের লক্ষণ ফুটে উঠেছিল। এবার তা আরও ম্রিয়মান হতে যাচ্ছে। এছাড়া পার্টির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে নেতাকর্মীরা শঙ্কিত।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাপা অধ্যুষিত রংপুরের সিটি মেয়র। তিনি এখন এই এলাকার অভিভাবক। নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তির রেখা স্পষ্ট হয়নি। তৃণমূল নেতাদের একাট্টা করে রেখেছেন মেয়র মোস্তফা।
তবে জাতীয় পর্যায়ে বিভক্তিতে তারা চিন্তিত। দুই গ্রুপে বিভক্ত জাতীয় পার্টি এক গ্রুপের নেতা রওশন এরশাদ আরেক গ্রুপের জিএম কাদের। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবি দলে কোন বিভক্তি নেই। তবে রংপুরবাসী আছেন এরশাদের দিক নির্দেশনার মধ্যে। এরশাদ ছোটভাইকে উত্তরসুরি করে গেছেন। রংপুরের নেতাকর্মীরা তাকে সামনে রেখেই রাজনীতি করতে চান। মোস্তফা বলেন, এরশাদের মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। চলে যেতে হয় সবাইকে। কেউ চিরকাল বেঁচে থাকেন না। তবে আমরা তার মূলনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি জি এম কাদেরকে নেতা করে গেছেন আমরা তার দেখানো নীতিতেই চলবো।
একই সুরে কথা বলেন নগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী রাজ্জাক। বলেন, আমাদের রংপুরে আমরা এরশাদের নীতিতেই আছি। আর রংপুরের মানুষ এরশাদের কতটুকু আপন তা দেশবাসী প্রমাণ পেয়েছেন।
এরশাদের মৃত্যুতে কে লড়তে যাচ্ছেন রংপুর ৩ (সদর) আসনে? নেতা-কর্মীদের কথা- এখনো সেই ভাবনাটার সময় আসেনি।
মেয়রের একান্ত সচিব ও মহানগর জাপার দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদ হোসেন বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির সমর্থন আরো দ্বিগুণ হয়েছে। যার প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন। তরুণ সমাজের ভালোবাসাটা একটু কম ছিলো এরশাদের প্রতি। তারাও এখন জাতীয় পার্টিতে ভিড়ছে। কারণ তারা জানতে পেরেছে এরশাদের শাসন আমলের চিত্র। এরশাদের নেয়া নীতির সুফল। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টির বিভক্তির কোন চিহ্ন রংপুরে নেই। ইনশাআল্লাহ হবেও না। সাধারণ জনগণের ভালোবাসা এরশাদ ও জাতীয় পার্টির মাঝে অক্ষুন্ন থাকবে।
নেতারা এসব বললেও সাধারণ জনগণের আলোচনায় জাতীয় পার্টির ভবিষ্যত। নগরীর কেরাণীপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী শাকিল চৌধুরী বলেন, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষের মাঝে এরশাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তারা শুধু লাঙল মার্কাটাকে চেনে। আর চেনে এরশাদকে। তারা লাঙলকে সর্মথন করেই যাবেন।
জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির মাঝে কোনো বিভক্তি নেই। আমরা সকলে একত্রে আছি আমরা দলকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন তা আমরা সর্ব সম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত নেব।
রংপুরের স্কুল শিক্ষক এনামুল রহমান বলেন, রংপুরে এরশাদের কারণে জিএম কাদেরের জনপ্রিয়তা আছে। রংপুরের মানুষ রওশন বিরোধী এটা মানতেই হবে।
রংপুর সরকারী কলজের ছাত্র সমাজের নেতা জুবাইদুল ইসলাম বলেন, রংপুরে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই ভালো। তবে সাংগঠনিক ভাবে আরো মজবুত হওয়া দরকার। আমরা আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের দলে কোনো বিভক্তি চাই না। জেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক আশরাফুল হক জবা বলেন, আমরা একত্রে আছি। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা মানতে রাজি। ইয়াসির আহমেদ বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত। তবে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।
তারা জানিয়েছেন এতো দিন রংপুরে জাতীয় পার্টি যে দাপট দেখিয়ে এসেছে শিগগিরই এর অবসান হতে যাচ্ছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জাপার সম্রাজ্য ক্ষয়ের লক্ষণ ফুটে উঠেছিল। এবার তা আরও ম্রিয়মান হতে যাচ্ছে। এছাড়া পার্টির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে নেতাকর্মীরা শঙ্কিত।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাপা অধ্যুষিত রংপুরের সিটি মেয়র। তিনি এখন এই এলাকার অভিভাবক। নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তির রেখা স্পষ্ট হয়নি। তৃণমূল নেতাদের একাট্টা করে রেখেছেন মেয়র মোস্তফা।
তবে জাতীয় পর্যায়ে বিভক্তিতে তারা চিন্তিত। দুই গ্রুপে বিভক্ত জাতীয় পার্টি এক গ্রুপের নেতা রওশন এরশাদ আরেক গ্রুপের জিএম কাদের। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দাবি দলে কোন বিভক্তি নেই। তবে রংপুরবাসী আছেন এরশাদের দিক নির্দেশনার মধ্যে। এরশাদ ছোটভাইকে উত্তরসুরি করে গেছেন। রংপুরের নেতাকর্মীরা তাকে সামনে রেখেই রাজনীতি করতে চান। মোস্তফা বলেন, এরশাদের মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। চলে যেতে হয় সবাইকে। কেউ চিরকাল বেঁচে থাকেন না। তবে আমরা তার মূলনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি জি এম কাদেরকে নেতা করে গেছেন আমরা তার দেখানো নীতিতেই চলবো।
একই সুরে কথা বলেন নগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী রাজ্জাক। বলেন, আমাদের রংপুরে আমরা এরশাদের নীতিতেই আছি। আর রংপুরের মানুষ এরশাদের কতটুকু আপন তা দেশবাসী প্রমাণ পেয়েছেন।
এরশাদের মৃত্যুতে কে লড়তে যাচ্ছেন রংপুর ৩ (সদর) আসনে? নেতা-কর্মীদের কথা- এখনো সেই ভাবনাটার সময় আসেনি।
মেয়রের একান্ত সচিব ও মহানগর জাপার দপ্তর সম্পাদক কাজী জাহিদ হোসেন বলেন, এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির সমর্থন আরো দ্বিগুণ হয়েছে। যার প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন। তরুণ সমাজের ভালোবাসাটা একটু কম ছিলো এরশাদের প্রতি। তারাও এখন জাতীয় পার্টিতে ভিড়ছে। কারণ তারা জানতে পেরেছে এরশাদের শাসন আমলের চিত্র। এরশাদের নেয়া নীতির সুফল। তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টির বিভক্তির কোন চিহ্ন রংপুরে নেই। ইনশাআল্লাহ হবেও না। সাধারণ জনগণের ভালোবাসা এরশাদ ও জাতীয় পার্টির মাঝে অক্ষুন্ন থাকবে।
নেতারা এসব বললেও সাধারণ জনগণের আলোচনায় জাতীয় পার্টির ভবিষ্যত। নগরীর কেরাণীপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষার্থী শাকিল চৌধুরী বলেন, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষের মাঝে এরশাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তারা শুধু লাঙল মার্কাটাকে চেনে। আর চেনে এরশাদকে। তারা লাঙলকে সর্মথন করেই যাবেন।
জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, আমাদের জাতীয় পার্টির মাঝে কোনো বিভক্তি নেই। আমরা সকলে একত্রে আছি আমরা দলকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। এছাড়া বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন তা আমরা সর্ব সম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত নেব।
রংপুরের স্কুল শিক্ষক এনামুল রহমান বলেন, রংপুরে এরশাদের কারণে জিএম কাদেরের জনপ্রিয়তা আছে। রংপুরের মানুষ রওশন বিরোধী এটা মানতেই হবে।
রংপুর সরকারী কলজের ছাত্র সমাজের নেতা জুবাইদুল ইসলাম বলেন, রংপুরে আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই ভালো। তবে সাংগঠনিক ভাবে আরো মজবুত হওয়া দরকার। আমরা আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের দলে কোনো বিভক্তি চাই না। জেলা ছাত্র সমাজের আহবায়ক আশরাফুল হক জবা বলেন, আমরা একত্রে আছি। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা মানতে রাজি। ইয়াসির আহমেদ বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত। তবে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না।
No comments