পাবনায় শুটকি চাতালে নারী শ্রমিকেরা বৈষম্যের শিকার by কাজী বাবলা
পাবনার
চলনবিল অঞ্চলে শুরু হয়েছে শুটকি মাছের মৌসুম। বিলপাড়ে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক
শুটকি চাতাল বসেছে। এ সকল শুটকি চাতালে সব সময় মাছ বাছাই আর শুকানোর কাজ
করছে নারী শ্রমিকরা। তবে শুটকি চাতালের নারী শ্রমিকরা চরমভাবে মজুরি
বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল পাড়ের মহিষলুটি এলাকায় শুটকি চাতালে কাজ করেন পাতনী নেছা। সাঁকোয়া দিঘী গ্রামের এই নারী শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই কাজ করেন মোফাজ্জলের শুটকি চাতালে। স্বামী পরান প্রাং। মারা গেছেন অনেক বছর আগে। তিন ছেলে, তিন মেয়ে তার।
মেয়েদের অনেক কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন এ বিধবা নারী শ্রমিক। তিন ছেলেকেও বিয়ে দিয়েছেন। সবাই পৃথক। ছেলেমেয়েরা নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এখন তারা মায়ের দায়িত্ব নিতে নারাজ। পেটের খাবার, ওষুধ পত্র, কাপড় চোপড়ের যোগান দেয়ার জন্যই কাজ করতে হয়। প্রায় ২৫ বছর যাবত বছরের ৬ মাস তিনি কাজ করেন শুটকি চাতালে।
অন্য সময় মাটি কাটা, ধানের চারা তোলাসহ যখন যে কাজ পান তাই করেন। শুটকির চাতালে কাজ শুরু হয় খুব ভোরে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। বিনিময়ে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক বাবদ মালিক তাকে একশ টাকা দেন। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকরা একই কাজ করে প্রতি দিন মজুরি পান তিনশত টাকা।
পাতনী নেছার মতো তারা খাতুন, রমেছা বেগম, সাদিয়া খাতুন, কামরুন্নাহারসহ বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক একই কথা জানান। প্রতিদিন চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, তাড়াশ, সিংড়া, গুরুদাসপুর উপজেলার অর্ধ শতাধিক চাতালে কাজ করেন প্রায় ২ শতাধিক নারী শ্রমিক।
নারী শ্রমিকরা আরো জানান, প্রতিদিন রান্না থেকে শুরু করে মাছ বাছাই আর শুকানোর কাজ করেন। অথচ মজুরি পান একবারেই কম। একজন পুরুষ শ্রমিককে প্রতিদিনের মজুরি ৩শ’ টাকা দেয়া হলেও নারী শ্রমিককে দেয়া হয় মাত্র একশ’ টাকা। এ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই নারী শ্রমিকদের। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অন্য কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা এসময় শুটকির চাতালে কাজ করেন।
শুটকি চাতাল মালিক দেলবার, পরাণ সাধু ও মোফাজ্জল হোসেন জানান, 'এলাকায় মাছের দাম বেশী। অপরদিকে, শুটকির আড়তে দাম কম হওয়ায় আমরা লাভ করতে পারছি না। আর তাছাড়া কাজ না থাকলেও শ্রমিকদের বেতন ও খাবার দেয়া হয়। নারী শ্রমিক কম মজুরিতে পাওয়া যায় বলে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশী।
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার চলনবিল পাড়ের মহিষলুটি এলাকায় শুটকি চাতালে কাজ করেন পাতনী নেছা। সাঁকোয়া দিঘী গ্রামের এই নারী শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই কাজ করেন মোফাজ্জলের শুটকি চাতালে। স্বামী পরান প্রাং। মারা গেছেন অনেক বছর আগে। তিন ছেলে, তিন মেয়ে তার।
মেয়েদের অনেক কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন এ বিধবা নারী শ্রমিক। তিন ছেলেকেও বিয়ে দিয়েছেন। সবাই পৃথক। ছেলেমেয়েরা নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এখন তারা মায়ের দায়িত্ব নিতে নারাজ। পেটের খাবার, ওষুধ পত্র, কাপড় চোপড়ের যোগান দেয়ার জন্যই কাজ করতে হয়। প্রায় ২৫ বছর যাবত বছরের ৬ মাস তিনি কাজ করেন শুটকি চাতালে।
অন্য সময় মাটি কাটা, ধানের চারা তোলাসহ যখন যে কাজ পান তাই করেন। শুটকির চাতালে কাজ শুরু হয় খুব ভোরে। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। বিনিময়ে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক বাবদ মালিক তাকে একশ টাকা দেন। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকরা একই কাজ করে প্রতি দিন মজুরি পান তিনশত টাকা।
পাতনী নেছার মতো তারা খাতুন, রমেছা বেগম, সাদিয়া খাতুন, কামরুন্নাহারসহ বেশ কয়েকজন নারী শ্রমিক একই কথা জানান। প্রতিদিন চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, তাড়াশ, সিংড়া, গুরুদাসপুর উপজেলার অর্ধ শতাধিক চাতালে কাজ করেন প্রায় ২ শতাধিক নারী শ্রমিক।
নারী শ্রমিকরা আরো জানান, প্রতিদিন রান্না থেকে শুরু করে মাছ বাছাই আর শুকানোর কাজ করেন। অথচ মজুরি পান একবারেই কম। একজন পুরুষ শ্রমিককে প্রতিদিনের মজুরি ৩শ’ টাকা দেয়া হলেও নারী শ্রমিককে দেয়া হয় মাত্র একশ’ টাকা। এ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই নারী শ্রমিকদের। কিন্তু কে শোনে কার কথা। অন্য কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা এসময় শুটকির চাতালে কাজ করেন।
শুটকি চাতাল মালিক দেলবার, পরাণ সাধু ও মোফাজ্জল হোসেন জানান, 'এলাকায় মাছের দাম বেশী। অপরদিকে, শুটকির আড়তে দাম কম হওয়ায় আমরা লাভ করতে পারছি না। আর তাছাড়া কাজ না থাকলেও শ্রমিকদের বেতন ও খাবার দেয়া হয়। নারী শ্রমিক কম মজুরিতে পাওয়া যায় বলে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশী।
No comments