‘জ্ঞান সৃষ্টি ও বাতিল দুটোই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব’ -ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণকালে প্রফেসর ইউনূস
জ্ঞান
সৃষ্টি ও বাতিল দুটোই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। স্পেনের
ক্যান্টাব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণকালে এ কথা
বলেছেন বাংলাদেশি নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত শনিবার
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে এই ডিগ্রি
প্রদান করা হয়। প্রফেসর ইউনূসকে এই ডিগ্রি প্রদানের জন্য আয়োজিত
আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্রসহ
শহরটির বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নতুন প্রজন্ম ও পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলোর পুঞ্জীভূত জ্ঞানের সংযোগস্থল। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি স্থান যেখানে ভ্রান্ত তত্ত্ব ও ধারণাগুলোকে চুরমার করে নতুন নতুন তত্ত্ব ও ধারণা গড়ে তোলা হয়। তিনি বলেন, প্রচলিত অর্থনৈতিক তত্ত্বের ত্রুটিই দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সম্পদ কেন্দ্রীয়করণ ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো সমস্যাগুলো তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব হচ্ছে এই অর্থনৈতিক তত্ত্বের পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে সমাজের এসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করা।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূসের দর্শন ও কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে যোগদানকারীরা যাতে আরো ভালো ধারণা পেতে পারেন সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সর্বশেষ গ্রন্থ ‘অ্যা ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’-এর স্প্যানিস অনুবাদের কপি সকল অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বিতরণ করেন। এসময় আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত সৌন্দর্য্যমণ্ডিত স্যান্টান্ডার নগরীতে প্রফেসর ইউনূসের অবস্থানকালে সেখানকার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে ‘ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ও এ লক্ষ্যে ইউনূস সেন্টারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
পৃথিবীর ৩১টি দেশে বিস্তৃত ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টার নেটওয়ার্কে ক্যান্টাব্রিয়া ও মুরসিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামের এই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে ৭৭তম ও ৭৮তম সংযোজন।
স্যান্টান্ডার থেকে সরাসরি সেপনের রাজধানী মাদ্রিদে যান প্রফেসর ইউনূস। সেখানে নগরীর মেয়র হোসে লুইস মার্টিনেজ আলমেইদাসহ স্থানীয় নেতৃস্থানীয় পেশাজীবী, শিল্পপতি ও সমাজকর্মীগণ তার সম্মানে একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর মধ্যে ছিলেন ইউরোক্যাপিটাল অ্যাডভাইজার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট পাবলো আলোনসো, কাইকজা-ব্যাংকের হেড অব ফিলানথ্রপি আরমানদো ফান্দোজ সুয়ারেজ, কনসাসনেস ফর হ্যাপিনেসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফেলিসিদাদ ক্রিস্টোবাল, কোবাস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া পারামেস, ভি-থ্রি-লিডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ম্যানুয়েল মারকুয়েজ ও ওপেন ভ্যালু ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া অ্যাঞ্জেলেস লিয়ন।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নতুন প্রজন্ম ও পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলোর পুঞ্জীভূত জ্ঞানের সংযোগস্থল। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি স্থান যেখানে ভ্রান্ত তত্ত্ব ও ধারণাগুলোকে চুরমার করে নতুন নতুন তত্ত্ব ও ধারণা গড়ে তোলা হয়। তিনি বলেন, প্রচলিত অর্থনৈতিক তত্ত্বের ত্রুটিই দারিদ্র্য, বেকারত্ব, সম্পদ কেন্দ্রীয়করণ ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মতো সমস্যাগুলো তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব হচ্ছে এই অর্থনৈতিক তত্ত্বের পুনঃনির্মাণের মাধ্যমে সমাজের এসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করা।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূসের দর্শন ও কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে যোগদানকারীরা যাতে আরো ভালো ধারণা পেতে পারেন সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সর্বশেষ গ্রন্থ ‘অ্যা ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস’-এর স্প্যানিস অনুবাদের কপি সকল অংশগ্রহণকারীর মধ্যে বিতরণ করেন। এসময় আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত সৌন্দর্য্যমণ্ডিত স্যান্টান্ডার নগরীতে প্রফেসর ইউনূসের অবস্থানকালে সেখানকার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে ‘ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় ও এ লক্ষ্যে ইউনূস সেন্টারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
পৃথিবীর ৩১টি দেশে বিস্তৃত ইউনূস সোস্যাল বিজনেস সেন্টার নেটওয়ার্কে ক্যান্টাব্রিয়া ও মুরসিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামের এই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে ৭৭তম ও ৭৮তম সংযোজন।
স্যান্টান্ডার থেকে সরাসরি সেপনের রাজধানী মাদ্রিদে যান প্রফেসর ইউনূস। সেখানে নগরীর মেয়র হোসে লুইস মার্টিনেজ আলমেইদাসহ স্থানীয় নেতৃস্থানীয় পেশাজীবী, শিল্পপতি ও সমাজকর্মীগণ তার সম্মানে একটি উচ্চ পর্যায়ের সংবর্ধনার আয়োজন করে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর মধ্যে ছিলেন ইউরোক্যাপিটাল অ্যাডভাইজার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট পাবলো আলোনসো, কাইকজা-ব্যাংকের হেড অব ফিলানথ্রপি আরমানদো ফান্দোজ সুয়ারেজ, কনসাসনেস ফর হ্যাপিনেসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফেলিসিদাদ ক্রিস্টোবাল, কোবাস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী ফ্রান্সিসকো গার্সিয়া পারামেস, ভি-থ্রি-লিডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ম্যানুয়েল মারকুয়েজ ও ওপেন ভ্যালু ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া অ্যাঞ্জেলেস লিয়ন।
No comments