‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য লেখা হোর্ডিং কাদের? উঠছে প্রশ্ন
বিজেপির
‘জয় শ্রীরাম’-র পালটা হিসেবে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান তৈরি করেছে
তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার ইস্যুতে ছবি দিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য
সেনের বক্তব্য লেখা হোর্ডিং লাগানো হল শহরে। কিন্তু, কারা এমন হোর্ডিং
লাগাল? তা অবশ্য জানা যায়নি। তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের
বক্তব্য, ‘আমরা অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করি। এই হোর্ডিং সাধারণ মানুষই
লাগিয়েছেন।’
লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোনা যাচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এমনকী, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের সামনেও ওই স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় বিতর্কও কম হয়নি।
গত শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। নিজের শহরে পা রেখে তিনি বলেন, ‘‘’জয় শ্রীরাম’ যে প্রাচীনকাল থেকে স্লোগান বাঙালি সমাজের, এমনটা তো শুনিনি। বরং আমার মনে হয় এই শব্দ ইদানিংকালের আমদানি।’’ প্রেসিডেন্সি কলেজের স্বর্ণযুগের অর্থনীতির ছাত্রের আরও বক্তব্য, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে মারধর করাটাও বাংলার সংস্কৃতি নয়। বরং এখানে মা দুর্গার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক বেশি। অমর্ত্য সেন বলেন, ‘এখন শুনছি বাংলায় রামনবমী খুব হচ্ছে। আগে এত হত বলে শুনিনি। সেদিন আমার চার বছরের নাতনিকে জিজ্ঞেস করলাম, টিভিতে যা দেখো, তোমরা সবচেয়ে কাকে ভাল লাগে? ও বলল, মা দুর্গা। ঠিকই বলেছে, এই বাংলায় মা দুর্গার যা প্রতিপত্তি, তার সঙ্গে রামনবমীর তুলনা চলে না।’
এদিকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতার করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকেও রেয়াত করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘অমর্ত্য সেনদের কথা শোনার মতো লোক নেই। শুনলে নির্বাচনে এই ফল হত না। মানুষ দু’হাত তুলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলছেন। সারা ভারতেই মানুষ যা বলছে, বাংলাও তার বাইরে নয়।’ তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে অর্মত্য সেনের বক্তব্য লেখা হোর্ডিং পড়েছে। হোর্ডিংয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ছবিও দেওয়া হয়েছে।
লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে অভাবনীয় ফল করেছে বিজেপি। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোনা যাচ্ছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এমনকী, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের সামনেও ওই স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় বিতর্কও কম হয়নি।
গত শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। নিজের শহরে পা রেখে তিনি বলেন, ‘‘’জয় শ্রীরাম’ যে প্রাচীনকাল থেকে স্লোগান বাঙালি সমাজের, এমনটা তো শুনিনি। বরং আমার মনে হয় এই শব্দ ইদানিংকালের আমদানি।’’ প্রেসিডেন্সি কলেজের স্বর্ণযুগের অর্থনীতির ছাত্রের আরও বক্তব্য, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে মারধর করাটাও বাংলার সংস্কৃতি নয়। বরং এখানে মা দুর্গার প্রভাব-প্রতিপত্তি অনেক বেশি। অমর্ত্য সেন বলেন, ‘এখন শুনছি বাংলায় রামনবমী খুব হচ্ছে। আগে এত হত বলে শুনিনি। সেদিন আমার চার বছরের নাতনিকে জিজ্ঞেস করলাম, টিভিতে যা দেখো, তোমরা সবচেয়ে কাকে ভাল লাগে? ও বলল, মা দুর্গা। ঠিকই বলেছে, এই বাংলায় মা দুর্গার যা প্রতিপত্তি, তার সঙ্গে রামনবমীর তুলনা চলে না।’
এদিকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতার করায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকেও রেয়াত করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘অমর্ত্য সেনদের কথা শোনার মতো লোক নেই। শুনলে নির্বাচনে এই ফল হত না। মানুষ দু’হাত তুলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলছেন। সারা ভারতেই মানুষ যা বলছে, বাংলাও তার বাইরে নয়।’ তবে বিজেপি নেতারা যাই বলুন না কেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে অর্মত্য সেনের বক্তব্য লেখা হোর্ডিং পড়েছে। হোর্ডিংয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের ছবিও দেওয়া হয়েছে।
No comments