চাবাহার বন্দরের নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটছে ভারত by সঞ্জয় কাপুর
মার্কিন
চাপের মুখে ভারত সরকার যেভাবে নতি স্বীকার করেছে, এবং ইরানের কাছ থেকে তেল
আমদানি শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে, সেই একই নীতি এবার চাবাহার বন্দরের
ক্ষেত্রেও নেয়া হচ্ছে। চাবাহারের শহীদ বেহেস্তি বন্দরের ব্যবস্থাপনার
দায়িত্ব রয়েছে ভারতের কাছে। এই বন্দরের ব্যাপারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে
ছাড় পেয়েছে তারা। কিন্তু ইরানের সাথে ব্যবসা করাটাই যখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে,
তখন বন্দর নিয়ে দোটানায় পড়ে গেছে ভারত। ভারতের বাজেটে চাবাহার বন্দরের
ব্যাপারে বরাদ্দ কাটছাটসহ সব ইঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছে যে, ভারত সরকার এই
প্রকল্পের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও দিল্লী সফরকালে ইরানের তেল আমদানি বন্ধের ব্যাপারে দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ায় ভারতকে অভিনন্দন জানান। একই সাথে তিনি এই প্রশ্নও করেন যে, যে দেশটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী-অর্থায়নের দায়ে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত হতে চলেছে, তাদের সাথে ভারত কিভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে? ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ইরান যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে এফএটিএফ। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও বলেছেন যে, তার সরকার এফএটিএফের নির্দেশনা পূরণ করবে যাতে তার দেশ আবার কালোতালিকাভুক্ত না হয়।
অবগত সূত্র দাবি করেছে যে, চাবাহার বন্দর দিয়ে ভারত যে পণ্য পরিবহন করে, এর মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন করা মার্কিন সেনাবাহিনীরও কিছু জিনিসপত্র থাকে। সে কারণে ভারত সরকার নিশ্চিন্ত রয়েছে যে, চাবাহার বন্দরের ব্যাপারে তারা মার্কিন সমর্থন পাবে।
চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগের ব্যাপারে ভারতের আগাগোড়ায় অনীহা ছিল। ২০১৬ সালে ভারত যখন ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে, তখন তাদের আশা ছিল যে পি৫+১ পারমাণবিক চুক্তির পর তেহরান নিষেধাজ্ঞা থেকে যে মুক্তি পেয়েছে, সেটা স্থায়ী হবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সেটা তাদের ধারণায় ছিল না। সে কারণে পাকিস্তানকে এড়িয়ে ব্যবসা করার জন্য ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, সেটা এখন উদ্বেগের মধ্যে পড়ে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান নীতি, যেটার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ও ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে, সেটা ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং তাদের তেল কেনা নিষিদ্ধ করার পর অধিকাংশ দেশের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্যতিক্রম হলো চীন ও রাশিয়া। ভারত ও ইউরোপিয় দেশগুলোর সবাই আমেরিকান চাপের সামনে মাথা নত করেছে। চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে সহায়তা করছে বলে এটাকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। মনে করা হয় এই বন্দরের ব্যাপারে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
চাবাহার বন্দর যাতে অকার্যকর হয়ে পড়ে, সে জন্য যে সব দেশ এর বিরোধিতা করে, তারা নিরবে পাকিস্তানের সাথে কাজ করছে, যাতে পাকিস্তান ভারতকে স্থলপথে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ দেয়। এফএটিএফ পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং দাবি জানিয়েছে যাতে আইএমএফকে দিয়েও তাদের উপর চাপ দেয়া যায়। পাকিস্তানকে এটা বলা হচ্ছে যে, তারা যদি ভারতকে স্থল ট্রানজিট সুবিধা দেয়, তাহলে তারা শুধু ট্রানজিট ফি-ই পাবে না, বরং চীনা-অর্থায়নে নির্মিত গোয়াদর বন্দরের প্রতি চাবাহার বন্দর যে হুমকি তৈরি করেছে, সেটারও অবসান হবে। ইমরান খানের আসন্ন হোয়াইট হাউজ সফরকালে চাবাহার বন্দরের পরিণতি সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত মিলতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও দিল্লী সফরকালে ইরানের তেল আমদানি বন্ধের ব্যাপারে দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ায় ভারতকে অভিনন্দন জানান। একই সাথে তিনি এই প্রশ্নও করেন যে, যে দেশটি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী-অর্থায়নের দায়ে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত হতে চলেছে, তাদের সাথে ভারত কিভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে? ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ইরান যদি পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে এফএটিএফ। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও বলেছেন যে, তার সরকার এফএটিএফের নির্দেশনা পূরণ করবে যাতে তার দেশ আবার কালোতালিকাভুক্ত না হয়।
অবগত সূত্র দাবি করেছে যে, চাবাহার বন্দর দিয়ে ভারত যে পণ্য পরিবহন করে, এর মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন করা মার্কিন সেনাবাহিনীরও কিছু জিনিসপত্র থাকে। সে কারণে ভারত সরকার নিশ্চিন্ত রয়েছে যে, চাবাহার বন্দরের ব্যাপারে তারা মার্কিন সমর্থন পাবে।
চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগের ব্যাপারে ভারতের আগাগোড়ায় অনীহা ছিল। ২০১৬ সালে ভারত যখন ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে, তখন তাদের আশা ছিল যে পি৫+১ পারমাণবিক চুক্তির পর তেহরান নিষেধাজ্ঞা থেকে যে মুক্তি পেয়েছে, সেটা স্থায়ী হবে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, সেটা তাদের ধারণায় ছিল না। সে কারণে পাকিস্তানকে এড়িয়ে ব্যবসা করার জন্য ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, সেটা এখন উদ্বেগের মধ্যে পড়ে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান নীতি, যেটার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ও ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে, সেটা ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এমন সব দেশের জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং তাদের তেল কেনা নিষিদ্ধ করার পর অধিকাংশ দেশের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্যতিক্রম হলো চীন ও রাশিয়া। ভারত ও ইউরোপিয় দেশগুলোর সবাই আমেরিকান চাপের সামনে মাথা নত করেছে। চাবাহার বন্দর আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে সহায়তা করছে বলে এটাকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে। মনে করা হয় এই বন্দরের ব্যাপারে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
চাবাহার বন্দর যাতে অকার্যকর হয়ে পড়ে, সে জন্য যে সব দেশ এর বিরোধিতা করে, তারা নিরবে পাকিস্তানের সাথে কাজ করছে, যাতে পাকিস্তান ভারতকে স্থলপথে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ দেয়। এফএটিএফ পাকিস্তানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং দাবি জানিয়েছে যাতে আইএমএফকে দিয়েও তাদের উপর চাপ দেয়া যায়। পাকিস্তানকে এটা বলা হচ্ছে যে, তারা যদি ভারতকে স্থল ট্রানজিট সুবিধা দেয়, তাহলে তারা শুধু ট্রানজিট ফি-ই পাবে না, বরং চীনা-অর্থায়নে নির্মিত গোয়াদর বন্দরের প্রতি চাবাহার বন্দর যে হুমকি তৈরি করেছে, সেটারও অবসান হবে। ইমরান খানের আসন্ন হোয়াইট হাউজ সফরকালে চাবাহার বন্দরের পরিণতি সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত মিলতে পারে।
No comments