ভিন দেশে ঢুকে কাজ করতে পারবে এনআইএ, ক্ষমতা দিচ্ছে বিজেপি
বিরোধীদের
আপত্তি সত্ত্বেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের লোকসভায় পাশ হয়ে গেল জাতীয়
তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সংশোধনী বিল। সে সময় লোকসভায় বাদানুবাদে জড়িয়ে
পড়েন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন
(এমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে ওয়েইসি বলেন, এ ভাবে ভয় দেখাতে পারবেন না। জবাবে অমিত শাহ বলেন, আপনার মনে ভয় ঢুকে গেলে আমরা কী করতে পারি!
২০০৯ সালে এনআইএ গঠন করার পর তাদের ভূমিকা ছিল সন্ত্রাস দমন তথা তদন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এবার তাতে মানব পাচার, দেশবিরোধী গতিবিধি, জাল নোট, বেআইনি অস্ত্রের নির্মাণ ও কারবার, সাইবার সন্ত্রাস এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আওতায় থাকা অপরাধগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ফলে বিশেষ আদালত গঠন করে কোনো মামলার শুনানিও করতে পারবে এনআইএ।
বিল সংশোধনের ফলে কেবল দেশের ভেতরেই নয়, অন্য দেশে ভারতীয়দের ওপর হামলা হলে, সেখানে গিয়েও তদন্ত করতে পারবে ভারতীয় গোয়েন্দারা। তবে লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে বিলটি পাশ হয়ে গেলেও, রাজ্যসভাতে সেটি পাশ করাতে হবে বিজেপিকে। তাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলে তবেই নতুন আইন চালু হবে।
তা নিয়ে আলোচনার সময় বিলটির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। বিলটি সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার আসলে এনআইএ-র অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তাদের থামাতে অমিত শাহ জানান, ধর্মের নিরিখে এই বিলের অপব্যবহার কোনো ভাবেই হতে দেবে না সরকার। বরং ধর্ম যাই হোক না কেন, সব ধরনের সন্ত্রাস নির্মূল করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তা নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা সত্যপাল সিংহ। নাম না করে বলেন, একসময় এনআইএ-কে তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের এক নেতা।
সত্যপালের এই অভিযোগে মেজাজ হারান ওয়েইসি। তা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে ওয়েইসিকে শান্ত হতে বলেন অমিত শাহ। চুপ করে শুনতে বলেন। কিন্তু বিজেপি সভাপতি তার দিকে আঙুল তোলায় চটে যান ওয়েইসি।
তিনি বলেন, এভাবে ভয় দেখাতে পারবেন না আমাদের। আর সেটার জবাবে অমিত শাহ বলেন, কথার মাঝে এভাবে কথা বলা যায় না। এখানে কাউকে ভয় দেখাচ্ছি না আমি। কিন্তু আপনার মনে ভয় ঢুকে গিয়ে থাকলে কী-ইবা করতে পারি!
এতে দমে যাননি ওয়েইসি। এনআইএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বিদেশে তদন্ত করতে পাঠিয়ে এনআইএ-কে কী ক্ষমতা দিচ্ছেন আপনারা? অন্য সার্বভৌম দেশগুলো আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের অনুমতি দেবে কীভাবে? আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে যদি হামলা হয়, সে ক্ষেত্রে সেই দেশের আইন মেনেই তদন্ত হবে। সেখানে এনআইএ-কে কী বিশেষ অধিকার দেয়া হয়েছে?
ওয়েইসি আরো বলেন, হামলাকারী যদি অমুসলিম হয় আর ভুক্তভোগী যদি হয় মুসলিম, সে ক্ষেত্রে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করা হয়। তাদের দাবি, এনআইএ-র হাতে ব্যাপক ক্ষমতা তুলে দিয়ে দেশে পুলিশতন্ত্র কায়েম করার প্রচেষ্টা চলছে।
অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে ওয়েইসি বলেন, এ ভাবে ভয় দেখাতে পারবেন না। জবাবে অমিত শাহ বলেন, আপনার মনে ভয় ঢুকে গেলে আমরা কী করতে পারি!
২০০৯ সালে এনআইএ গঠন করার পর তাদের ভূমিকা ছিল সন্ত্রাস দমন তথা তদন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এবার তাতে মানব পাচার, দেশবিরোধী গতিবিধি, জাল নোট, বেআইনি অস্ত্রের নির্মাণ ও কারবার, সাইবার সন্ত্রাস এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আওতায় থাকা অপরাধগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ফলে বিশেষ আদালত গঠন করে কোনো মামলার শুনানিও করতে পারবে এনআইএ।
বিল সংশোধনের ফলে কেবল দেশের ভেতরেই নয়, অন্য দেশে ভারতীয়দের ওপর হামলা হলে, সেখানে গিয়েও তদন্ত করতে পারবে ভারতীয় গোয়েন্দারা। তবে লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে বিলটি পাশ হয়ে গেলেও, রাজ্যসভাতে সেটি পাশ করাতে হবে বিজেপিকে। তাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলে তবেই নতুন আইন চালু হবে।
তা নিয়ে আলোচনার সময় বিলটির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। বিলটি সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার আসলে এনআইএ-র অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তাদের থামাতে অমিত শাহ জানান, ধর্মের নিরিখে এই বিলের অপব্যবহার কোনো ভাবেই হতে দেবে না সরকার। বরং ধর্ম যাই হোক না কেন, সব ধরনের সন্ত্রাস নির্মূল করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তা নিয়ে হট্টগোলের মধ্যেই মারাত্মক অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা সত্যপাল সিংহ। নাম না করে বলেন, একসময় এনআইএ-কে তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের এক নেতা।
সত্যপালের এই অভিযোগে মেজাজ হারান ওয়েইসি। তা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে ওয়েইসিকে শান্ত হতে বলেন অমিত শাহ। চুপ করে শুনতে বলেন। কিন্তু বিজেপি সভাপতি তার দিকে আঙুল তোলায় চটে যান ওয়েইসি।
তিনি বলেন, এভাবে ভয় দেখাতে পারবেন না আমাদের। আর সেটার জবাবে অমিত শাহ বলেন, কথার মাঝে এভাবে কথা বলা যায় না। এখানে কাউকে ভয় দেখাচ্ছি না আমি। কিন্তু আপনার মনে ভয় ঢুকে গিয়ে থাকলে কী-ইবা করতে পারি!
এতে দমে যাননি ওয়েইসি। এনআইএ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, বিদেশে তদন্ত করতে পাঠিয়ে এনআইএ-কে কী ক্ষমতা দিচ্ছেন আপনারা? অন্য সার্বভৌম দেশগুলো আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের অনুমতি দেবে কীভাবে? আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে যদি হামলা হয়, সে ক্ষেত্রে সেই দেশের আইন মেনেই তদন্ত হবে। সেখানে এনআইএ-কে কী বিশেষ অধিকার দেয়া হয়েছে?
ওয়েইসি আরো বলেন, হামলাকারী যদি অমুসলিম হয় আর ভুক্তভোগী যদি হয় মুসলিম, সে ক্ষেত্রে সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করা হয়। তাদের দাবি, এনআইএ-র হাতে ব্যাপক ক্ষমতা তুলে দিয়ে দেশে পুলিশতন্ত্র কায়েম করার প্রচেষ্টা চলছে।
No comments