নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দ্রুত সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
দেশের
ঝুঁকিপূর্ণ সব রেল ও সড়ক সেতু সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। জরিপের মাধ্যমে নড়বড়ে সেতু চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে
সংস্কার করতে বলেছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান,
গত ২৩ জুন দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারে রেলের বগি পড়ে হতাহতের ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন। সবগুলো রেলসেতু জরিপ করার
দায়িত্ব দিয়েছেন রেলপথ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে। জরিপের মাধ্যমে যেসব সেতু
ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উঠে আসবে, সেগুলো দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ব্রিফিংয়ে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল আমীন, কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব অধ্যাপক শামসুল আলমসহ সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সভায় ছয় হাজার ৯৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দশটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই অর্থ জিওবি থেকে ৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা, সংস্থা ২৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প অনুদান থেকে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জোগান দেয়া হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের কোন কোন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর দেখাশুনা করবে, আর কোন কোন সড়ক এলজিইডি দেখাশুনা করবে, তা জরিপের পর ভাগ করে নিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশে সমন্বিতভাবে সরকারি অফিস স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বড়, ছোট ও মাঝারি এই তিন ভাগে ভাগ করে জেলা সদরের সরকারি অফিসগুলো যেন একই ডিজাইনের হয় সে জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সন্ত্রাস মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং জাপান সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। সরকার সন্ত্রাস মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কিন্তু সুরক্ষিত যানবাহনের অভাবে অনেক সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। সীমিত জনবল, লজিস্টিকস ও যন্ত্রপাতি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বিগত কয়েক বছরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অপারেশনে সফলতা অর্জন করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের এই অর্জন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এপিসি, এস্কট গাড়ি ও ফাড লাইট গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মূল কাজ হলো, ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের অভিযান সরঞ্জাম কেনা। এগুলোর মধ্যে ১০টি আরমোরড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), ২০টি এস্কট ভেহিকেল এবং ৫টি ফ্লাড লাইট ভেহিকেল ক্রয় করা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে বামনডাঙ্গা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জোনের প্রধান সংযোগ রাস্তা প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্প, ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মানিকগঞ্জ বহুতল বিশিষ্ট সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ২৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ণ প্রকল্প, ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে কোনাবাড়ি, গাজীপুর দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ, প্রকল্প, ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্ত্রাস মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর ফরিদপুর সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ব্রিফিংয়ে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল আমীন, কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব অধ্যাপক শামসুল আলমসহ সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সভায় ছয় হাজার ৯৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দশটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই অর্থ জিওবি থেকে ৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা, সংস্থা ২৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং প্রকল্প অনুদান থেকে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা জোগান দেয়া হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের কোন কোন সড়ক ও জনপথ অধিদফতর দেখাশুনা করবে, আর কোন কোন সড়ক এলজিইডি দেখাশুনা করবে, তা জরিপের পর ভাগ করে নিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশে সমন্বিতভাবে সরকারি অফিস স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বড়, ছোট ও মাঝারি এই তিন ভাগে ভাগ করে জেলা সদরের সরকারি অফিসগুলো যেন একই ডিজাইনের হয় সে জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সন্ত্রাস মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং জাপান সরকার অনুদান হিসেবে দেবে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। সরকার সন্ত্রাস মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। কিন্তু সুরক্ষিত যানবাহনের অভাবে অনেক সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। সীমিত জনবল, লজিস্টিকস ও যন্ত্রপাতি দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বিগত কয়েক বছরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অপারেশনে সফলতা অর্জন করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের এই অর্জন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এটা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এপিসি, এস্কট গাড়ি ও ফাড লাইট গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মূল কাজ হলো, ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের অভিযান সরঞ্জাম কেনা। এগুলোর মধ্যে ১০টি আরমোরড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), ২০টি এস্কট ভেহিকেল এবং ৫টি ফ্লাড লাইট ভেহিকেল ক্রয় করা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে বামনডাঙ্গা (গাইবান্ধা)-শঠিবাড়ী-আফতাবগঞ্জ জেলা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ৩ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জোনের প্রধান সংযোগ রাস্তা প্রশস্তকরণসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্প, ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মানিকগঞ্জ বহুতল বিশিষ্ট সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প, ২৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপায়ণ প্রকল্প, ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে কোনাবাড়ি, গাজীপুর দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ, প্রকল্প, ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্ত্রাস মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর ফরিদপুর সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়েস্ট জোন এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন প্রকল্প।
No comments