ইরানকে বিরত রাখতে সবকিছু করবে ইসরাইল
পারমাণবিক
অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখতে ইরানের বিরুদ্ধে সবকিছুই করবে
ইসরাইল। রাশিয়ার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা নিকোলাই পাত্রুশেভের সফরের সময় এ
কথা জানিয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সবকিছু
বা এভরিথিং বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেন নি। এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান আমাদের ধ্বংস চায়।
তাদেরকে আমাদের সীমান্তে ধারেকাছে আসতে অনুমোদন দেবে না ইসরাইল। তাদেরকে
পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বিরত রাখতে আমরা সব কিছুই করবো।
মস্কোর শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাইকে পাশে রেখে এসব কথা বলেন তিনি।
পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা যখন শিরদাড়া বেয়ে নামছে তখন এ সফর করেছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানি বাহিনীকে বিরত রাখতে ইসরাইল বেশ কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। এই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান ও মস্কো উভয়েই। এমনিতেই ইরানের ঘোর বিরোধী ইসরাইল। তাদের অভিযোগ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু ইসরাইলে কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে বা তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে কিনা, সে বিষয়টি রয়েছে গোপন। কাউকে এ বিষয়ে জানার কোনো সুযোগ দেয়া হয় না। তাদের ভয়, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়, তাহলে তারা ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে। এ জন্য ইসরাইল সরকার ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের ঘোর বিরোধিতা করে। ইরান যতই বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্য। তাদের সেই যুক্তিতে কান দিচ্ছে না পশ্চিমা বিশ্ব।
২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক ঐতিহাসিক চুক্তি করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা অবরোধ শিথিল করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে একতরফাভাবে ওই চুক্তি বাতিল করে দেন। নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেন। এতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সঙ্কট নতুন রূপ পায়, যা এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেও নিকোলাই পাত্রুশেভ সরাসরি ইরানের নাম উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি বলেছেন, আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখি। সিরিয়া সহ এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পরে নিকোলাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত হলো নেতানিয়াহুর। জন বোল্টন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থানকে সমর্থন করেন। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মায়ার বেন শাবাতের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাতের কথা রয়েছে জন বোল্টন ও নিকোলাই পাত্রুশেভের। ওদিকে এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে অবরোধ আরোপ করেছে সোমবার। এ অবরোধকে সোমবার অবৈধ বলে এর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তেহরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে তা হবে এক বিপর্যয়।
মস্কোর শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাইকে পাশে রেখে এসব কথা বলেন তিনি।
পারস্য উপসাগরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনা যখন শিরদাড়া বেয়ে নামছে তখন এ সফর করেছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানি বাহিনীকে বিরত রাখতে ইসরাইল বেশ কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে। এই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান ও মস্কো উভয়েই। এমনিতেই ইরানের ঘোর বিরোধী ইসরাইল। তাদের অভিযোগ ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু ইসরাইলে কি পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে বা তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে কিনা, সে বিষয়টি রয়েছে গোপন। কাউকে এ বিষয়ে জানার কোনো সুযোগ দেয়া হয় না। তাদের ভয়, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়, তাহলে তারা ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে। এ জন্য ইসরাইল সরকার ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের ঘোর বিরোধিতা করে। ইরান যতই বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্য। তাদের সেই যুক্তিতে কান দিচ্ছে না পশ্চিমা বিশ্ব।
২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক ঐতিহাসিক চুক্তি করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপ করা অবরোধ শিথিল করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে একতরফাভাবে ওই চুক্তি বাতিল করে দেন। নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেন। এতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সঙ্কট নতুন রূপ পায়, যা এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেও নিকোলাই পাত্রুশেভ সরাসরি ইরানের নাম উল্লেখ করেন নি। তবে তিনি বলেছেন, আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখি। সিরিয়া সহ এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পরে নিকোলাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত হলো নেতানিয়াহুর। জন বোল্টন ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থানকে সমর্থন করেন। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মায়ার বেন শাবাতের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাতের কথা রয়েছে জন বোল্টন ও নিকোলাই পাত্রুশেভের। ওদিকে এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে অবরোধ আরোপ করেছে সোমবার। এ অবরোধকে সোমবার অবৈধ বলে এর নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তেহরানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে তা হবে এক বিপর্যয়।
No comments