মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা : তসলিমা নাসরিনের বিস্ফোরণ
তসলিমা নাসরিন |
ঝাড়খণ্ডে ১৮ ঘণ্টা ধরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় স্তম্ভিত সারা ভারত। এই ঘটনার ধিক্কার জানালেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
ঝাড়খণ্ডে মৃত ওই যুবকের নাম তাবরেজ আনসারি। তাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলিয়ে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন যুবক। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, একটি মোটরবাইকের সামনে ওই যুবককে দাঁড়াতে দেখে মোটরবাইক চোর সন্দেহ করে ওই যুবকরা। তারপরেই শুরু হয় নৃশংস অত্যাচার।
২৪ বছরের ওই মুসলমান যুবকটিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে হিন্দুত্ববাদীদের দিকে। পুলিশ তাবরেজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ঝাড়খন্ডে গত দু-তিন বছরে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে এমন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বারেবারেই প্রকাশ্যে এসেছে।
ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে তসলিমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, '২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটিয়েছে তারা, যারা তাকে জয় শ্রীরাম আর জয় হনুমান বলতে বাধ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মরতে হলো তাবরেজকে। মোটর সাইকেল চুরি করতে চেয়েছিল তাবরেজ । বেটা চোর। কিন্তু চোরকে কি পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? চোরকে কেনই বা জয় শ্রীরাম বলতে বলা হবে। রাগটা কি তবে যত না সে চোর বলে, তার চেয়ে বেশি মুসলমান বলে? ভারত নিয়ে আমি কতই না গর্ব করি যে এই দেশটি এর সংখ্যালঘুদের বড় ভালো রাখে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তো তাদের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। কিন্তু কদিন পর পরই এই ভারতবর্ষে ঘটে যাচ্ছে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারার কাহিনী, জোর করে জয় শ্রীরাম বলার কাহিনী। আমি জানি না কী মনে করে এরা মুসলমানদের মুখ থেকে জয় শ্রীরাম শুনতে চায়। রামের যারা ভক্ত, তারা তো জয় শ্রীরাম বলছেই, তাদের তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। জয় শ্রীরাম বললে কি মুসলমানরা হিন্দু হয়ে যায় বা রামকে ঈশ্বর বলে মানতে শুরু করে ? তা তো নয়, বরং এসবের জন্য হিন্দুদের বদনাম হয়। পিটিয়ে কি ১৭ কোটি মুসলমানকে মেরে ফেলা যাবে, সে তো যাবে না।শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলা ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় নেই। অন্যের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে দিনের পর দিন বাস করাও দুর্বিষহ।প্রাণের আরাম হয় না। সে কারণে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বই একমাত্র সমাধান। ভারত মহান। ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না।'
সূত্র : কলকাতা২৪৭
ঝাড়খণ্ডে মৃত ওই যুবকের নাম তাবরেজ আনসারি। তাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলিয়ে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন যুবক। মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, একটি মোটরবাইকের সামনে ওই যুবককে দাঁড়াতে দেখে মোটরবাইক চোর সন্দেহ করে ওই যুবকরা। তারপরেই শুরু হয় নৃশংস অত্যাচার।
২৪ বছরের ওই মুসলমান যুবকটিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে হিন্দুত্ববাদীদের দিকে। পুলিশ তাবরেজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ঝাড়খন্ডে গত দু-তিন বছরে হিন্দুত্ববাদীদের হাতে এমন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বারেবারেই প্রকাশ্যে এসেছে।
ঘটনার ধিক্কার জানিয়ে তসলিমা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, '২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিটিয়েছে তারা, যারা তাকে জয় শ্রীরাম আর জয় হনুমান বলতে বাধ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মরতে হলো তাবরেজকে। মোটর সাইকেল চুরি করতে চেয়েছিল তাবরেজ । বেটা চোর। কিন্তু চোরকে কি পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়? চোরকে কেনই বা জয় শ্রীরাম বলতে বলা হবে। রাগটা কি তবে যত না সে চোর বলে, তার চেয়ে বেশি মুসলমান বলে? ভারত নিয়ে আমি কতই না গর্ব করি যে এই দেশটি এর সংখ্যালঘুদের বড় ভালো রাখে। বাংলাদেশ আর পাকিস্তান তো তাদের সংখ্যালঘুদের নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে। কিন্তু কদিন পর পরই এই ভারতবর্ষে ঘটে যাচ্ছে সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে মারার কাহিনী, জোর করে জয় শ্রীরাম বলার কাহিনী। আমি জানি না কী মনে করে এরা মুসলমানদের মুখ থেকে জয় শ্রীরাম শুনতে চায়। রামের যারা ভক্ত, তারা তো জয় শ্রীরাম বলছেই, তাদের তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। জয় শ্রীরাম বললে কি মুসলমানরা হিন্দু হয়ে যায় বা রামকে ঈশ্বর বলে মানতে শুরু করে ? তা তো নয়, বরং এসবের জন্য হিন্দুদের বদনাম হয়। পিটিয়ে কি ১৭ কোটি মুসলমানকে মেরে ফেলা যাবে, সে তো যাবে না।শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলা ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় নেই। অন্যের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে দিনের পর দিন বাস করাও দুর্বিষহ।প্রাণের আরাম হয় না। সে কারণে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বন্ধুত্বই একমাত্র সমাধান। ভারত মহান। ভারতকে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো হওয়া মানায় না।'
সূত্র : কলকাতা২৪৭
No comments