কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না চীনা নাগরিকের মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রীর
চীন সফরের আগে দেশে হঠাৎ করে একজন চীনা নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা দু’দেশের
মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হলে এবং
বিচারে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে সেটি মেনে নেবে চীন। এতে
দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
গত ১৯ জুন ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়। সরকারের তরফ থেকে অবশ্য এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভুলবোঝাবুঝির জের ধরে মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। আহতদের দুজন বাংলাদেশি ও পাঁচজন চীনের নাগরিক।
বাংলাদেশে বিদেশি কোনো শ্রমিক হত্যার ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, দেশের ভাবমূর্তির স্বার্থে এ ধরনের হত্যা বা দেশি-বিদেশি শ্রমিক দ্বন্দ্ব যাতে তৈরি না হয় বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আগামী ১ জুলাই পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে চীনা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এমতাবস্থায় চীন বিষয়টি কীভাবে দেখবে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে একজন বিদেশি হিসেবে চীন অত্যন্ত অভিজাত জাতি। তারা সুপার পাওয়ার। তাদের দেশের একজন নাগরিক কীভাবে, কেন মারা গেল সেটা চীন হয়তো জানতে চাইবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারা তড়িঘড়ি করবে না। তারা অপেক্ষা করবে। এ ছাড়া কূটনৈতিক চ্যানেলে বিচারের দাবি থাকবে। বাংলাদেশও নিশ্চয় বিচারিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবে।’
বিষয়টি দুদেশের সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ‘এটা বিচারিক প্রক্রিয়ায় থাকবে। আমাদের দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি ন্যায়বিচার হয় তাহলে চীনেরও কোনো আপত্তি থাকবে না। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ইস্যু হওয়ায় দেশের বিচার ব্যবস্থাও সেই স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলবে।’
এ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পায়রা বন্দরে চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দরে চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। এটি এমন একটি সময়ে ঘটল, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন।’
ড. মোমেন বলেন, ‘পায়রা বন্দরে বাংলাদেশের একজন শ্রমিক ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন। আর আমাদের লোক মনে করেছেন, এ শ্রমিককে চীনারা মেরে ফেলেছেন। এমন গুজবের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
২০১০ সাল থেকে চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। চীনের সংস্থাগুলো পদ্মা সেতু, বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সড়ক, সেতু এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ করছে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের মোট ২টি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং একই বছর ৩১ অক্টোবর শেষ হবে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে।
চীন সফরকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের পাশাপাশি বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে চীন বিনিয়োগ করছে। তবে শান্তি-শৃঙ্খলা না থাকলে, বিনিয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। এটা আমরা চীনকে বোঝাতে চাই। এ অঞ্চলে চীন, মিয়ানমার, প্রতিবেশী ভারত সবার মঙ্গলের জন্যই শান্তি দরকার।’
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে এ অঞ্চলে মৌলবাদের উত্থানসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বেইজিংকে জানাবে বাংলাদেশ।
গত ১৯ জুন ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়। সরকারের তরফ থেকে অবশ্য এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভুলবোঝাবুঝির জের ধরে মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন। আহতদের দুজন বাংলাদেশি ও পাঁচজন চীনের নাগরিক।
বাংলাদেশে বিদেশি কোনো শ্রমিক হত্যার ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলছেন, দেশের ভাবমূর্তির স্বার্থে এ ধরনের হত্যা বা দেশি-বিদেশি শ্রমিক দ্বন্দ্ব যাতে তৈরি না হয় বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আগামী ১ জুলাই পাঁচ দিনের সরকারি সফরে চীন যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে চীনা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এমতাবস্থায় চীন বিষয়টি কীভাবে দেখবে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে একজন বিদেশি হিসেবে চীন অত্যন্ত অভিজাত জাতি। তারা সুপার পাওয়ার। তাদের দেশের একজন নাগরিক কীভাবে, কেন মারা গেল সেটা চীন হয়তো জানতে চাইবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারা তড়িঘড়ি করবে না। তারা অপেক্ষা করবে। এ ছাড়া কূটনৈতিক চ্যানেলে বিচারের দাবি থাকবে। বাংলাদেশও নিশ্চয় বিচারিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবে।’
বিষয়টি দুদেশের সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব পড়বে না উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ‘এটা বিচারিক প্রক্রিয়ায় থাকবে। আমাদের দেশের বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি ন্যায়বিচার হয় তাহলে চীনেরও কোনো আপত্তি থাকবে না। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ইস্যু হওয়ায় দেশের বিচার ব্যবস্থাও সেই স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলবে।’
এ ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পায়রা বন্দরে চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পায়রা বন্দরে চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। এটি এমন একটি সময়ে ঘটল, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাচ্ছেন।’
ড. মোমেন বলেন, ‘পায়রা বন্দরে বাংলাদেশের একজন শ্রমিক ওপর থেকে পড়ে মারা গেছেন। আর আমাদের লোক মনে করেছেন, এ শ্রমিককে চীনারা মেরে ফেলেছেন। এমন গুজবের ফলে এ ঘটনা ঘটেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’
২০১০ সাল থেকে চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। চীনের সংস্থাগুলো পদ্মা সেতু, বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সড়ক, সেতু এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণ করছে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
যৌথভাবে বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের মোট ২টি ইউনিট নির্মাণ করা হবে। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং একই বছর ৩১ অক্টোবর শেষ হবে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার মাধ্যমে।
চীন সফরকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের পাশাপাশি বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়গুলোও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে চীন বিনিয়োগ করছে। তবে শান্তি-শৃঙ্খলা না থাকলে, বিনিয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। এটা আমরা চীনকে বোঝাতে চাই। এ অঞ্চলে চীন, মিয়ানমার, প্রতিবেশী ভারত সবার মঙ্গলের জন্যই শান্তি দরকার।’
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে এ অঞ্চলে মৌলবাদের উত্থানসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বেইজিংকে জানাবে বাংলাদেশ।
No comments