এখানেই ইরানের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করেছিল আমেরিকা
১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই ইরানের যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল আমেরিকা |
ইরান
গত বৃহস্পতিবার পারস্য উপসাগরের যে এলাকায় একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন
গুলি করে ভূপাতিত করেছে সেই একই এলাকায় তিন দশক আগে ইরানের একটি যাত্রীবাহী
বিমান গুলি করে সাগরে ফেলে দিয়েছিল আমেরিকা।
আরবি টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়াদিন এ স্মৃতিচারণ করে বলেছে, মার্কিন ‘গ্লোবাল হক’ ড্রোনটি ঠিক সেই স্থানে বিধ্বস্ত হয়েছে যেখানে ১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। পারস্য উপসাগরে মোতায়েন মার্কিন রণতরী ইউএসএস ভিনসেস থেকে ওই বিমানে গুলি করা হয়। এর ফলে ওই বিমানের ২৯০ হতভাগ্য আরোহীর সবাই নিহত হন যাদের মধ্যে ৫৩ জন শিশু ছিল।
আল-মায়াদিন আরো জানিয়েছে, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে, আমেরিকা তিন দশক আগে যে স্থানে ইরানের বিমান ভূপাতিত করে নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড় নিয়েছিল ঠিক সেই স্থানে এবার আমেরিকার সম্মান ধুলায় মিশে গেল।
ইরানের যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর ৩১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আমেরিকা ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি বা ক্ষমা চায়নি। এমনকি ওই ঘটনায় মার্কিন সরকার ইউএসএস ভিনসেস’র কমান্ডার উইলিয়াম রজার্সকে পদক দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। তবে আন্তর্জাতিক সমাজ আমেরিকার ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানায় এবং ওই পদক্ষেপকে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত বৃহস্পতিবার ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী একটি অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া, আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদে বলেন, “ভূপাতিত মার্কিন ড্রোনটির সঙ্গে একটি মার্কিন পি-৮ সামরিক বিমান ছিল এবং সে বিমানে ৩৫ জন আরোহী ছিল।” তিনি আরো বলেন, “ওই বিমানটিও আমাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল এবং আমরা সেটিকে ভূপাতিত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি কারণ, আমরা শুধুমাত্র ড্রোনটিকে বিধ্বস্ত করে আমেরিকাকে সতর্ক করতে চেয়েছি।”
আরবি টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়াদিন এ স্মৃতিচারণ করে বলেছে, মার্কিন ‘গ্লোবাল হক’ ড্রোনটি ঠিক সেই স্থানে বিধ্বস্ত হয়েছে যেখানে ১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। পারস্য উপসাগরে মোতায়েন মার্কিন রণতরী ইউএসএস ভিনসেস থেকে ওই বিমানে গুলি করা হয়। এর ফলে ওই বিমানের ২৯০ হতভাগ্য আরোহীর সবাই নিহত হন যাদের মধ্যে ৫৩ জন শিশু ছিল।
আল-মায়াদিন আরো জানিয়েছে, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই যে, আমেরিকা তিন দশক আগে যে স্থানে ইরানের বিমান ভূপাতিত করে নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড় নিয়েছিল ঠিক সেই স্থানে এবার আমেরিকার সম্মান ধুলায় মিশে গেল।
ইরানের যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার পর ৩১ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আমেরিকা ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেনি বা ক্ষমা চায়নি। এমনকি ওই ঘটনায় মার্কিন সরকার ইউএসএস ভিনসেস’র কমান্ডার উইলিয়াম রজার্সকে পদক দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। তবে আন্তর্জাতিক সমাজ আমেরিকার ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানায় এবং ওই পদক্ষেপকে মানবতা বিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করে।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গত বৃহস্পতিবার ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী একটি অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া, আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদে বলেন, “ভূপাতিত মার্কিন ড্রোনটির সঙ্গে একটি মার্কিন পি-৮ সামরিক বিমান ছিল এবং সে বিমানে ৩৫ জন আরোহী ছিল।” তিনি আরো বলেন, “ওই বিমানটিও আমাদের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল এবং আমরা সেটিকে ভূপাতিত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি কারণ, আমরা শুধুমাত্র ড্রোনটিকে বিধ্বস্ত করে আমেরিকাকে সতর্ক করতে চেয়েছি।”
মার্কিন ড্রোনের বিধ্বস্ত ধ্বংসাবশেষ দেখছেন জেনারেল হাজিযাদে |
No comments