অর্থনীতির আড়ালে বাহরাইনে শেষ হল ট্রাম্পের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা নিয়ে সম্মেলন
বাহরাইনের
রাজধানী মানামায় কথিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্মেলনের আজ ছিল দ্বিতীয় ও শেষ
দিন। গতকাল ওই সম্মেলন শুরু হয়েছিল। বাহরাইনের জনগণ এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে
তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
দু'দিনের এ সম্মেলনকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্মেলন বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে, অর্থনীতির আড়ালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা এ সম্মেলনকে অর্থনৈতিক সম্মেলন হিসেবে প্রচার চালালেও প্রকৃতপক্ষে, 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের বিরোধিতার মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ওই পরিকল্পনা প্রণয়নের অন্যতম হোতা জারেড কুশনার বাহরাইনে সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে দাবি করেছেন, "ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনির কর্মসংস্থান হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জর্দান, লেবানন ও মিশরে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মানামা সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। কারণ এ সম্মেলনের আয়োজকরা যদিও দাবি করেছেন, এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা করা কিন্তু ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক দল মানামা বৈঠক বর্জন করেছে। ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ সব রাজনৈতিক দল মানামা সম্মেলনের বিরোধিতা করে এতে আরব দেশগুলোর অংশগ্রহণকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করেছে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, অর্থনৈতিক সম্মেলনের আড়ালে বাহরাইন সম্মেলনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা। সম্মেলনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এখানে উপস্থিত ইসরাইলি প্রতিনিধিরা আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশে বসে কথাবার্তা বলেছেন। এ ছাড়া ইসরাইলের অন্তত ২০ জন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
যাইহোক ষড়যন্ত্রমূলক এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে জনমত ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বাহরাইন, জর্দান, কুয়েত, মরক্কো ও মিশরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। মানামায় যখন সম্মেলন চলে তখন বাহরাইনের জনগণ বাইরে বিক্ষোভ করেছে এবং ঘরে ঘরে ফিলিস্তিনিদের পতাকা উড়িয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাহরাইন সম্মেলনের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের জনগণের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায় এটি কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। এ ব্যাপারে আরবের খ্যাতনামা বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতাওয়ান বলেছেন, কথিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্মেলনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এবং এর আসল উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে।
মোটকথা, ইসরাইলকে রক্ষার স্বার্থেই মানামা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে এখানে ফিলিস্তিনিদের কোনো স্বার্থে নেই। তবে আমেরিকার এ প্রচেষ্টা সফল হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
দু'দিনের এ সম্মেলনকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্মেলন বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে, অর্থনীতির আড়ালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা এ সম্মেলনকে অর্থনৈতিক সম্মেলন হিসেবে প্রচার চালালেও প্রকৃতপক্ষে, 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনার ব্যাপারে ফিলিস্তিনিদের বিরোধিতার মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও ওই পরিকল্পনা প্রণয়নের অন্যতম হোতা জারেড কুশনার বাহরাইনে সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে দাবি করেছেন, "ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অন্তত ১০ লাখ ফিলিস্তিনির কর্মসংস্থান হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জর্দান, লেবানন ও মিশরে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মানামা সম্মেলন পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। কারণ এ সম্মেলনের আয়োজকরা যদিও দাবি করেছেন, এ সম্মেলনের উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষা করা কিন্তু ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক দল মানামা বৈঠক বর্জন করেছে। ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ সব রাজনৈতিক দল মানামা সম্মেলনের বিরোধিতা করে এতে আরব দেশগুলোর অংশগ্রহণকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করেছে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, অর্থনৈতিক সম্মেলনের আড়ালে বাহরাইন সম্মেলনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা করা। সম্মেলনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এখানে উপস্থিত ইসরাইলি প্রতিনিধিরা আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশে বসে কথাবার্তা বলেছেন। এ ছাড়া ইসরাইলের অন্তত ২০ জন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
যাইহোক ষড়যন্ত্রমূলক এ সম্মেলনের বিরুদ্ধে জনমত ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বাহরাইন, জর্দান, কুয়েত, মরক্কো ও মিশরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের 'ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি' পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। মানামায় যখন সম্মেলন চলে তখন বাহরাইনের জনগণ বাইরে বিক্ষোভ করেছে এবং ঘরে ঘরে ফিলিস্তিনিদের পতাকা উড়িয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাহরাইন সম্মেলনের ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের জনগণের প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায় এটি কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা ব্যর্থ হতে বাধ্য। এ ব্যাপারে আরবের খ্যাতনামা বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতাওয়ান বলেছেন, কথিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্মেলনের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এবং এর আসল উদ্দেশ্য এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে।
মোটকথা, ইসরাইলকে রক্ষার স্বার্থেই মানামা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে এখানে ফিলিস্তিনিদের কোনো স্বার্থে নেই। তবে আমেরিকার এ প্রচেষ্টা সফল হবে না বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
No comments