নিউজিল্যান্ডে জাকারিয়ার লাশ শনাক্ত, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ by মিজানুর রহমান
নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলায় বাংলাদেশী নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫-এ
দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার
শফিকুর রহমান ভূঁইয়া স্থানীয় সূত্রের বরাতে মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত
করেছেন। বিকালে টেলিফোন আলাপে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নরসিংদীর বাসিন্দা
জাকারিয়া ভুঁইয়া নিখোঁজ ছিলেন।
তার পূর্ব পরিচিত স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম তার লাশ শনাক্ত করেছেন। ফলে বেসরকারীভাবে বাংলাদেশী মৃতের সংখ্যা এখন ৫-ই বলা হচ্ছে। নরসিংদীর জাকারিয়া প্রায় ১৮ মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন।
এদিকে নিখোঁজ জাকারিয়ার বাড়িতে তার নিহত হওয়ার খবর আগেই পৌঁছেছে। গত দুদিন ধরে তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে বলে স্থানীয় সংবাদদাতারা খবর পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, রোববার সর্বশেষ চার বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের খবর জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
নিহতের সংখ্যা ছয়জন পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে সেদিনই প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, হামলার পরপরই দুই বাংলাদেশি নিহতের খবর নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
তারা এখনও সেই অবস্থানেই আছে। দেশটিতে থাকা অন্যান্য বাংলাদেশী এবং স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী বেসরকারীভাবে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ড সরকারের শনাক্ত করা নিহত দু’জন বাংলাদেশী হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ ও সিলেটের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা আহমেদ। রোববার বেসরকারীভাবে শনাক্ত হওয়া দু’জন হলেন- নারায়ণগঞ্জের মো. ওমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্যানবেরা মিশন এবং নিউজিল্যান্ডের (অনারারী) কনস্যুলেটের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় আহতদের মধ্যে লিপির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার আরেকটি অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা লিপিকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন নিউজিল্যন্ডের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। ওদিকে পয়ে গুলিবিদ্ধ গাজিপুরের মুতাসসিম ও শেখ হাসান রুবেলের অবস্থা বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় ওই বাংলাদেশীসহ ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন। হামলার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ মসজিদে রাখা হয়। নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিহতদের মোট সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এখনও নিহতদের জাতীয়তা ও আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। কর্মকর্তাদের মতে, শিগগিরই তাদের বিচার বিভাগ এসব ঘোষণা করবে।
তার পূর্ব পরিচিত স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম তার লাশ শনাক্ত করেছেন। ফলে বেসরকারীভাবে বাংলাদেশী মৃতের সংখ্যা এখন ৫-ই বলা হচ্ছে। নরসিংদীর জাকারিয়া প্রায় ১৮ মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন।
এদিকে নিখোঁজ জাকারিয়ার বাড়িতে তার নিহত হওয়ার খবর আগেই পৌঁছেছে। গত দুদিন ধরে তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে বলে স্থানীয় সংবাদদাতারা খবর পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, রোববার সর্বশেষ চার বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের খবর জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
নিহতের সংখ্যা ছয়জন পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে সেদিনই প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, হামলার পরপরই দুই বাংলাদেশি নিহতের খবর নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
তারা এখনও সেই অবস্থানেই আছে। দেশটিতে থাকা অন্যান্য বাংলাদেশী এবং স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতিমন্ত্রী বেসরকারীভাবে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
নিউজিল্যান্ড সরকারের শনাক্ত করা নিহত দু’জন বাংলাদেশী হলেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ ও সিলেটের ফরিদ আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা আহমেদ। রোববার বেসরকারীভাবে শনাক্ত হওয়া দু’জন হলেন- নারায়ণগঞ্জের মো. ওমর ফারুক ও চাঁদপুরের মোজাম্মেল হক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্যানবেরা মিশন এবং নিউজিল্যান্ডের (অনারারী) কনস্যুলেটের তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় আহতদের মধ্যে লিপির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার আরেকটি অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা লিপিকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন নিউজিল্যন্ডের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজ-খবর নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। ওদিকে পয়ে গুলিবিদ্ধ গাজিপুরের মুতাসসিম ও শেখ হাসান রুবেলের অবস্থা বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হামলায় ওই বাংলাদেশীসহ ৫০ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন। হামলার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ মসজিদে রাখা হয়। নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ নিহতদের মোট সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এখনও নিহতদের জাতীয়তা ও আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। কর্মকর্তাদের মতে, শিগগিরই তাদের বিচার বিভাগ এসব ঘোষণা করবে।
No comments