স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সিলেটের হোসনে আরার by ওয়েছ খছরু
গুলির
শব্দ শুনেই অসুস্থ স্বামীর কাছে দৌড় দেন হোসনে আরা পারভীন। কিন্তু স্বামী
বাঁচলেন ঠিকই। ঘাতকের বুলেট প্রাণ কেড়ে নিলো হোসনে আরা পারভীনের। ঘটনার খবর
বাংলাদেশে পৌঁছার পর থেকে কান্নার রোল পড়েছে সিলেটে। নিহত হোসনে আরার
বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জের স্বজনরা কাঁদছেন। হোসনে আরা পারভীনের বয়স প্রায় ৪০
বছর। স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদকে নিয়ে তিনি বসবাস করেন নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টচার্চ এলাকায়। গতকাল যখন মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয় তখন মহিলাদের
মসজিদে অবস্থান করছিলেন হোসনে আরা পারভীন।
আর তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ ছিলেন পুরুষদের মসজিদে। মসজিদের ভেতরে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পান হোসনে আরা।
এমন সময় তিনি অসুস্থ স্বামীর কাছে দৌড় দেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরপরই ঘাতকের বুলেট তাকে বিদ্ধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হোসনে আরা পারভীন। তবে, প্রাণে বেঁচে যান স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ। এ ঘটনার খবর গতকাল সকাল ১০টার দিকে নিউজিল্যান্ডে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে দেশে থাকা স্বজনরা জানতে পান। খবর পেয়ে কান্নার রোল পড়েছে বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জে। স্বজনরা জানিয়েছেন, হোসনে আরা পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার মীরের চক গ্রামে। আর হোসনে আরা পারভীনের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালহাটা গ্রামে। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় ফরিদ ও হোসনে আরার। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ড চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০৯ সালের দিকে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হোসনে আরা পারভীন। তখন তিনি স্বামীর বাড়ির পাশাপাশি পিতার বাড়িতেও বসবাস করেন।
গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা বাড়িতে তার ভাই নাজিম উদ্দিন বসবাস করেন। তিনিও অসুস্থ। স্বজনরা জানান, ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পরপরই স্বজনরা এসে মসজিদ থেকে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে নিয়ে যান। তাকে বাসায় রাখা হয়। এরপরও ঘটনার বিবরণ জানতে নিউজিল্যান্ড পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলেছে। তবে, গতকাল বিকাল পর্যন্ত হোসনে আরা পারভীনের মরদেহ পুলিশের কাছে ছিল। এখনো লাশ নিউজিল্যান্ড থাকা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে দেশে থাকা হোসনে আরার স্বজনরা জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় একটি মসজিদে দুটি আলাদা ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে এক ইউনিটে পুরুষ ও অন্য ইউনিটে মহিলারা নামাজ আদায় করেন। নামাজের প্রায় আধা ঘণ্টা আগে হোসনে আরা স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যান মসজিদে।
সেখানে পুরুষ ইউনিটে স্বামীকে রেখে তিনি নামাজ পড়তে মহিলা ইউনিটে চলে যান। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে নিহত হওয়া হোসনে আরা পারভীনের ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেন। এতে ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু পেছনে স্বামীর দিকে দৌড়ে যাওয়া পারভীনের উপর এসে বুলেট লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পারভীন বেগম। নিউজিল্যান্ডে বসবাস করেন নিহত হোসনে আরা পারভীনের ভাবি হিমা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন। তারা ফোন করে দেশে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। মাহফুজ জানান, ঘটনার পর থেকে তার মামা ও তাদের পরিবারে কান্নার রোল পড়েছে।
ঘটনা শুনে তিনিও বাড়িতে পৌঁছেছেন। বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার মাও শোকে কাতর। ফরিদ উদ্দিন আহমদের বিশ্বনাথের বাড়ি উত্তর মীরের চক গ্রামে বসবাস করেন ভাই মইন উদ্দিন। তিনি সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানিয়েছেন, গতকাল জুমার পর ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ওই সময় ফরিদ উদ্দিন তাকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী হোসনে আরা পারভীন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি বেঁচে যান। মইনউদ্দিন জানান, ফরিদ ও হোসনে আরার পরিবারের তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই মেয়ের নাম শিপা বেগম। সে বর্তমানে পিতার কাছেই আছে। এক সময় ভিজিট ভিসায় নিউজিল্যান্ড যান ফরিদ উদ্দিন। পরে দেশে এসে বিয়ে করে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে যান। দেশে বেড়াতে এলে বিশ্বনাথেই থাকতেন বলে জানান তিনি।
আর তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ ছিলেন পুরুষদের মসজিদে। মসজিদের ভেতরে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পান হোসনে আরা।
এমন সময় তিনি অসুস্থ স্বামীর কাছে দৌড় দেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরপরই ঘাতকের বুলেট তাকে বিদ্ধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হোসনে আরা পারভীন। তবে, প্রাণে বেঁচে যান স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ। এ ঘটনার খবর গতকাল সকাল ১০টার দিকে নিউজিল্যান্ডে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে দেশে থাকা স্বজনরা জানতে পান। খবর পেয়ে কান্নার রোল পড়েছে বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জে। স্বজনরা জানিয়েছেন, হোসনে আরা পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার মীরের চক গ্রামে। আর হোসনে আরা পারভীনের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালহাটা গ্রামে। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় ফরিদ ও হোসনে আরার। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ড চলে যান। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০৯ সালের দিকে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হোসনে আরা পারভীন। তখন তিনি স্বামীর বাড়ির পাশাপাশি পিতার বাড়িতেও বসবাস করেন।
গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা বাড়িতে তার ভাই নাজিম উদ্দিন বসবাস করেন। তিনিও অসুস্থ। স্বজনরা জানান, ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনার পরপরই স্বজনরা এসে মসজিদ থেকে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে নিয়ে যান। তাকে বাসায় রাখা হয়। এরপরও ঘটনার বিবরণ জানতে নিউজিল্যান্ড পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলেছে। তবে, গতকাল বিকাল পর্যন্ত হোসনে আরা পারভীনের মরদেহ পুলিশের কাছে ছিল। এখনো লাশ নিউজিল্যান্ড থাকা স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে দেশে থাকা হোসনে আরার স্বজনরা জানিয়েছেন, ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় একটি মসজিদে দুটি আলাদা ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে এক ইউনিটে পুরুষ ও অন্য ইউনিটে মহিলারা নামাজ আদায় করেন। নামাজের প্রায় আধা ঘণ্টা আগে হোসনে আরা স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যান মসজিদে।
সেখানে পুরুষ ইউনিটে স্বামীকে রেখে তিনি নামাজ পড়তে মহিলা ইউনিটে চলে যান। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে নিহত হওয়া হোসনে আরা পারভীনের ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মসজিদের বাইরে গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন মুসল্লি হুইল চেয়ারে করে ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেন। এতে ফরিদ উদ্দিন আহমদ প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু পেছনে স্বামীর দিকে দৌড়ে যাওয়া পারভীনের উপর এসে বুলেট লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পারভীন বেগম। নিউজিল্যান্ডে বসবাস করেন নিহত হোসনে আরা পারভীনের ভাবি হিমা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন। তারা ফোন করে দেশে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন। মাহফুজ জানান, ঘটনার পর থেকে তার মামা ও তাদের পরিবারে কান্নার রোল পড়েছে।
ঘটনা শুনে তিনিও বাড়িতে পৌঁছেছেন। বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার মাও শোকে কাতর। ফরিদ উদ্দিন আহমদের বিশ্বনাথের বাড়ি উত্তর মীরের চক গ্রামে বসবাস করেন ভাই মইন উদ্দিন। তিনি সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানিয়েছেন, গতকাল জুমার পর ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ওই সময় ফরিদ উদ্দিন তাকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী হোসনে আরা পারভীন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা তাকে মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি বেঁচে যান। মইনউদ্দিন জানান, ফরিদ ও হোসনে আরার পরিবারের তাদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ওই মেয়ের নাম শিপা বেগম। সে বর্তমানে পিতার কাছেই আছে। এক সময় ভিজিট ভিসায় নিউজিল্যান্ড যান ফরিদ উদ্দিন। পরে দেশে এসে বিয়ে করে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে যান। দেশে বেড়াতে এলে বিশ্বনাথেই থাকতেন বলে জানান তিনি।
No comments