ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় আহতদের বাঁচাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা
পুরো
নিউজিল্যান্ডে বছরে ৫০টির মতো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অথচ সেই দেশের একটি
শহরে এক দিনে হত্যার শিকার হলেন ৫০ জন। আহত হয়েছেন ৫০ জন। গত শুক্রবার
ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশটি।
ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালগুলোয় এত–সংখ্যক আহত ব্যক্তির চিকিৎসার কোনো
প্রস্তুতি ছিল না। এখন সেখানে রাতদিন চিকিৎসক, নার্স যুদ্ধ করছেন আহত
ব্যক্তিদের বাঁচাতে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে এ তথ্য।
স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে প্রথমে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও পরে লিনউড মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট নামের এক অস্ট্রেলীয় যুবক। শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী ওই যুবক একাই দুই মসজিদে হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
এদিকে আজ রোববার আহত ৩৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অ্যালিন আলসাতি নামের চার বছরের এক মেয়েশিশুকে অকল্যান্ডের শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের প্রধান শল্য চিকিৎসক গ্রেগ রবার্টসন শুক্রবারের ভয়াবহ পরিস্থিতি–পরবর্তী চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রথমে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন আহত রক্তাক্ত ব্যক্তিদের আনা হচ্ছিল, তখন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা ‘আতঙ্কিত, স্তব্ধ, ক্ষুব্ধ’ হয়ে পড়েন।
শহরটিতে এই প্রথম এমন হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি; এর আগে ২০১০ ও ২০১১ সালে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে শহরে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন বহু।
এ ব্যাপারে গ্রেগ রবার্টসন বলেন, মানুষের সৃষ্ট এই দুর্যোগ (মসজিদে হামলা) স্টাফদের মনের ওপর অনেক বেশি চাপ ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিন্তু কেউ একজন আমাদের মানুষ, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে, এটা অবিশ্বাস্য।’
রবার্টসন জানান, এর আগেও গুলির আঘাতের অস্ত্রোপচার তাঁরা করেছেন। তবে এত ব্যাপকসংখ্যক কখনো করেননি।
অনেকের দেহে একাধিক গুলি। হাসপাতালে ভর্তি কোনো কোনো আহত ব্যক্তির একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অঙ্গহানি থেকে বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
শুরুতে হাসপাতালে আনা ব্যক্তিদের বাঁচাতে প্যারেমেডিকরা (জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রবার্টসন বলেন, হাসপাতালে আনার পর মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বেঁচে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমন নাস শুধু প্যারামেডিকদের তৎপরতায় বেঁচে গেছেন।
অন্যদিন ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে বড় ধরনের তিনটি অস্ত্রোপচার হয়। আজ সেখানে সাতজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। রাতদিন কাজ করছেন চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মীরা।
রবার্টসন বলেন, হামলাকারী এমনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যেন সর্বোচ্চ আঘাত করা যায়।
যাঁরা আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের অবধারিতভাবে এই ভয়াবহ আঘাতের দুঃসহ মানসিক স্মৃতি রয়ে যাবে। এই মুহূর্তে তাঁদের জীবন রক্ষা করার ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে প্রথমে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও পরে লিনউড মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট নামের এক অস্ট্রেলীয় যুবক। শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী ওই যুবক একাই দুই মসজিদে হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
এদিকে আজ রোববার আহত ৩৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অ্যালিন আলসাতি নামের চার বছরের এক মেয়েশিশুকে অকল্যান্ডের শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের প্রধান শল্য চিকিৎসক গ্রেগ রবার্টসন শুক্রবারের ভয়াবহ পরিস্থিতি–পরবর্তী চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রথমে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন আহত রক্তাক্ত ব্যক্তিদের আনা হচ্ছিল, তখন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা ‘আতঙ্কিত, স্তব্ধ, ক্ষুব্ধ’ হয়ে পড়েন।
শহরটিতে এই প্রথম এমন হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি; এর আগে ২০১০ ও ২০১১ সালে ধারাবাহিক ভূমিকম্পে শহরে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন বহু।
এ ব্যাপারে গ্রেগ রবার্টসন বলেন, মানুষের সৃষ্ট এই দুর্যোগ (মসজিদে হামলা) স্টাফদের মনের ওপর অনেক বেশি চাপ ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিন্তু কেউ একজন আমাদের মানুষ, আমাদের বন্ধু, আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে, এটা অবিশ্বাস্য।’
রবার্টসন জানান, এর আগেও গুলির আঘাতের অস্ত্রোপচার তাঁরা করেছেন। তবে এত ব্যাপকসংখ্যক কখনো করেননি।
অনেকের দেহে একাধিক গুলি। হাসপাতালে ভর্তি কোনো কোনো আহত ব্যক্তির একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অঙ্গহানি থেকে বাঁচাতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।
শুরুতে হাসপাতালে আনা ব্যক্তিদের বাঁচাতে প্যারেমেডিকরা (জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রবার্টসন বলেন, হাসপাতালে আনার পর মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বেঁচে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমন নাস শুধু প্যারামেডিকদের তৎপরতায় বেঁচে গেছেন।
অন্যদিন ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে বড় ধরনের তিনটি অস্ত্রোপচার হয়। আজ সেখানে সাতজনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। রাতদিন কাজ করছেন চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মীরা।
রবার্টসন বলেন, হামলাকারী এমনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যেন সর্বোচ্চ আঘাত করা যায়।
যাঁরা আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাঁদের অবধারিতভাবে এই ভয়াবহ আঘাতের দুঃসহ মানসিক স্মৃতি রয়ে যাবে। এই মুহূর্তে তাঁদের জীবন রক্ষা করার ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।
No comments