দেশে ঘণ্টায় কিডনি বিকল হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু
দেশে
প্রতি ঘণ্টায় কিডনি বিকল হয়ে ৫ জন অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। বাংলাদেশে ২
কোটিরও বেশি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকল হয়ে গেলে
বেঁচে থাকার উপায় কিডনি সংযোজন বা ডায়ালাইসিস। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের
ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের
শীর্ষস্থানীয় কিডনি বিষয়ক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি অ্যাওয়ারনেস
মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বক্তারা কিডনি রোগের ব্যাপক প্রকোপ, এ রোগের মারাত্মক পরিণতি, অতিরিক্ত চিকিৎসার খরচ এবং সিংহভাগ কিডনি বিকল রোগীর অর্থাভাবে প্রায় বিনা চিকিৎসায় করুণ মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, ধনি-গরিব কিংবা সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি নির্বিশেষে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সর্বস্তরের কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার এবং বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। ক্যাম্পসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং বিআরবি হসপিটালসের কিডনি বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট, অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ এ গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালন করেন এবং তিনি কিডনি রোগের প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং কিডনি রোগ চিকিৎসায় সবার জন্য সমান সুযোগ- এ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, উন্নত দেশে মোট কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে হয়।
দুর্ঘটনায় বা অকালে এবং রোগ-শোকে মৃৃত্যুবরণকারীদের কিডনিগুলো সংগ্রহ করে কিডনি বিকল রোগীদের সংযোজন করে দিতে পারলে কিডনি চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি হবে।
এখন বছরে ২০০ থেকে ২৫০ রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। অথচ মৃতব্যক্তিদের কিডনি সংগ্রহ করে তা জীবিত রোগীদের সংযোজন করলে ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, ক্যাম্পস কিডনি রোগ প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে দেশে ও বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। বিশ্বে ৮৫০ মিলিয়ন লোক কিডনি রোগী। এর লাইন আপে বাংলাদেশ কিডনি রোগীর প্রাদুর্ভাবে ১১১তম পর্যায়ে রয়েছে। কিডনি সমস্যা আজ দেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। এর পেছনে অ্যাকসেস টু ট্রিটমেন্ট বড় কারণ।
ডা. এমএ সামাদ তার মূল প্রবন্ধে বলেন, পৃথিবীব্যাপী কিডনি রোগের প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত ব্যাপক। বাংলাদেশে ২ কোটিরও অধিক লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় এদেশের শতকরা ১০ জন রোগী এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। অর্থাভাবে চিকিৎসাহীন থেকে অকালে প্রাণ হারান সিংহভাগ রোগী। পক্ষান্তরে, একটু সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের উপস্থিতি ও এর কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করা। তিনি সুস্থ জীবনধারা চর্চার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা, পরিমিত সুসম খাবার, কাঁচা লবণ পরিহার করার তাগিদ দেন।
তিনি রোগের প্রধান কারণ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলস্টেরলের ওষুধ গরিব রোগীদের জন্য বিনামূল্যে প্রদানের দাবি জানান সরকারের কাছে। কিডনি বিকলের চিকিৎসা যেহেতু অনেক ব্যয়বহুল তাই এর চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য গরিবদের ভর্তুকিসহ সবাইকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর আবেদন জানান। জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, আমাদের নেত্বস্থানীয় লোক, শিক্ষক, ইমাম শ্রেণির প্রতিনিধিরা সচেতনতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
বক্তারা কিডনি রোগের ব্যাপক প্রকোপ, এ রোগের মারাত্মক পরিণতি, অতিরিক্ত চিকিৎসার খরচ এবং সিংহভাগ কিডনি বিকল রোগীর অর্থাভাবে প্রায় বিনা চিকিৎসায় করুণ মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, ধনি-গরিব কিংবা সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণি নির্বিশেষে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সর্বস্তরের কিডনি রোগীদের চিকিৎসা প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার এবং বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। ক্যাম্পসের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং বিআরবি হসপিটালসের কিডনি বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট, অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ এ গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালন করেন এবং তিনি কিডনি রোগের প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং কিডনি রোগ চিকিৎসায় সবার জন্য সমান সুযোগ- এ বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে কিডনি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, উন্নত দেশে মোট কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে হয়।
দুর্ঘটনায় বা অকালে এবং রোগ-শোকে মৃৃত্যুবরণকারীদের কিডনিগুলো সংগ্রহ করে কিডনি বিকল রোগীদের সংযোজন করে দিতে পারলে কিডনি চিকিৎসায় অনেক অগ্রগতি হবে।
এখন বছরে ২০০ থেকে ২৫০ রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। অথচ মৃতব্যক্তিদের কিডনি সংগ্রহ করে তা জীবিত রোগীদের সংযোজন করলে ১৫০০ থেকে ২০০০ রোগীর ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, ক্যাম্পস কিডনি রোগ প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে দেশে ও বিদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। বিশ্বে ৮৫০ মিলিয়ন লোক কিডনি রোগী। এর লাইন আপে বাংলাদেশ কিডনি রোগীর প্রাদুর্ভাবে ১১১তম পর্যায়ে রয়েছে। কিডনি সমস্যা আজ দেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব রাখছে। এর পেছনে অ্যাকসেস টু ট্রিটমেন্ট বড় কারণ।
ডা. এমএ সামাদ তার মূল প্রবন্ধে বলেন, পৃথিবীব্যাপী কিডনি রোগের প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত ব্যাপক। বাংলাদেশে ২ কোটিরও অধিক লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় এদেশের শতকরা ১০ জন রোগী এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। অর্থাভাবে চিকিৎসাহীন থেকে অকালে প্রাণ হারান সিংহভাগ রোগী। পক্ষান্তরে, একটু সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের উপস্থিতি ও এর কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করা। তিনি সুস্থ জীবনধারা চর্চার ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা, পরিমিত সুসম খাবার, কাঁচা লবণ পরিহার করার তাগিদ দেন।
তিনি রোগের প্রধান কারণ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলস্টেরলের ওষুধ গরিব রোগীদের জন্য বিনামূল্যে প্রদানের দাবি জানান সরকারের কাছে। কিডনি বিকলের চিকিৎসা যেহেতু অনেক ব্যয়বহুল তাই এর চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য গরিবদের ভর্তুকিসহ সবাইকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর আবেদন জানান। জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, আমাদের নেত্বস্থানীয় লোক, শিক্ষক, ইমাম শ্রেণির প্রতিনিধিরা সচেতনতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
No comments