ব্যবসায়ীদের কাছে পতিতা সরবরাহের অভিযোগ শিল্পীর বিরুদ্ধে
ব্যবসায়ীদের
কাছে পতিতা সরবরাহ দেয়ার অভিযোগ উঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় ছেলেদের সবচেয়ে
সফল অন্যতম ব্যান্ডের শিল্পী সেঙ্গুরি শোবিজ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
২০০৬ সালে যাত্রা শুরুর পর তাদের ব্যান্ড ১৪ কোটিরও বেশি রেকর্ড বিক্রি
করেছে। তারা পরিচিতি পেয়েছে ‘কিংস অব কে-পপ’ অর্থাৎ কোরিয়ার পপ সঙ্গীতের
রাজা হিসেবে। পাঁচ সদস্যের এই ব্যান্ড থেকে সেউঙ্গরির বিদায় নেয়াকে তাই
আখ্যায়িত করা হচ্ছে বিগ ব্যাং হিসেবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সেউঙ্গরির বয়স ২৮ বছর। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, বিতর্ক এত বড় আকার ধারণ করার কারণে আমি অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পতিতা সরবরাহ দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সেউঙ্গরির আসল নাম লি সেউঙ্গ-হিউন। ফেব্রুযারিতে যেসব অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল তা তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। আর মার্চেও ছিল তার সলো ট্যুর। তাও বাতিল করে দিয়েছেন। ব্যান্ড ছেড়ে বা শোবিজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য তিনি ভক্তদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উত্থাপিত সব অভিযোগের তদন্তে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে অংশ নেবেন।
কি অভিযোগ সেউঙ্গরির বিরুদ্ধে
স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেক্স ব্রাইব বা যৌনতা বিষয়ক অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার কোম্পানির নাম ইউরি হোল্ডিং। এ কোম্পানিটি তার বিনোদন ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার দেখাশোনা করে। সেখানে বিদেশী যেসব বিনিয়োগকারীরা যান তাদেরকে বিনোদনের জন্য তিনি পতিতা সরবরাহ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে নাইটক্লাবগুলোতে এমন অপকর্ম হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়াতে পতিতাবৃত্তি অবৈধ।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে একটি গ্রুপ ম্যাসেজিং চ্যাটের মাধ্যমে খদ্দেরদের জন্য পতিতা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন সেউঙ্গরি। এ জন্য তিনি ব্যবহার করেন ‘কাকাও টক’ অ্যাপ। এতে দেখা যায়, তিনি একজন স্টাফকে পতিতা সংগ্রহের বিষয়ে আয়োজন করতে বলেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বার্নিং সান ক্লাবে মাদক ও যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই ক্লাবের জনসংযোগ বিষয়ক পরিচালক ছিলেন সেউঙ্গরি।
দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টিকে কোন চোখে দেখছে
বিলাসবহুল জীবনধারা সেউঙ্গরির। এ জন্য এক সময় তাকে ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি অব কোরিয়া’ বলে আখ্যায়িত করা হতো। তার রয়েছে অসীম ভক্ত। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে আসায় ভক্তরা মনে করছেন এটা তাদের কাছে এক বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ।
ব্যান্ডেরা সুনামে অপূরণীয় ক্ষতি করার অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে গ্রুপ থেকে সরে যাওয়ার একটি আবেদন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইন্সটাগ্রামে দেয়া বিবৃতিতে সেউঙ্গরি বলেছেন, গত দেড় মাস ধরে জনগণের কাছ থেকে আমি প্রচন্ড সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছি। দেশের সব রকম তদন্তকারী সংস্থা আমার বিষয়ে তদন্ত করছে। আমাকে বলা হচ্ছে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক। তাই আমি এমন অবস্থানে থেকে নিজের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি করতে পারি না।
তার এমন বক্তব্যের জবাবে সাবেক একজন ভক্ত পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, গত ১০টি বছর নিজে আপনার একজন ভক্ত হওয়ার কারণে আমি বিব্রতবোধ করছি।
আবার অনেকে সেউঙ্গরিকে সমর্থন করছেন। তাদের একজন বলেছেন, আমরা আপনাকে কোথাও যেতে দেবো না। অর্থাৎ তিনি ব্যান্ড ছেড়ে যান এটা মানতে পারছেন না তারা।
এ অবস্থায় সেউঙ্গরির ট্যালেন্ট বিষয়ক এজেন্সি ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট ইনকরপোরেশনের শেয়ারের পতন ঘটেছে সোমবার। এদিন শতকরা ১৫.৬ ভাগ পড়ে যায় এ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তার অবসর নেয়ার ঘোষণার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর থেকে এটাই ওই কোম্পানির সর্বনিম্ন দরপতন।
এমন ঘটনায় শোবিজ ছাড়ার ঘটনা সেউঙ্গরির বেলায়ই ঘটেছে এমন না। ২০১১ সালে ব্রান্ডের প্রধান জি-ড্রাগনের বিরুদ্ধে মারিজোয়ানা পান করার অভিযোগে তদন্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মাদকটি বেআইনি। পরে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই মুক্তি দেয়া হয়। ২০১৭ সালে মারিজুয়ানা সেবনের অভিযোগে আরেকজন র্যাপার টি.ও.পি’কে ১০ মাসের জেল দেয়া হয়।
সেউঙ্গরির বয়স ২৮ বছর। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, বিতর্ক এত বড় আকার ধারণ করার কারণে আমি অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে পতিতা সরবরাহ দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সেউঙ্গরির আসল নাম লি সেউঙ্গ-হিউন। ফেব্রুযারিতে যেসব অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল তা তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। আর মার্চেও ছিল তার সলো ট্যুর। তাও বাতিল করে দিয়েছেন। ব্যান্ড ছেড়ে বা শোবিজ ছেড়ে যাওয়ার জন্য তিনি ভক্তদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাদের প্রতি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, উত্থাপিত সব অভিযোগের তদন্তে তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে অংশ নেবেন।
কি অভিযোগ সেউঙ্গরির বিরুদ্ধে
স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেক্স ব্রাইব বা যৌনতা বিষয়ক অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত তিনি। তার কোম্পানির নাম ইউরি হোল্ডিং। এ কোম্পানিটি তার বিনোদন ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার দেখাশোনা করে। সেখানে বিদেশী যেসব বিনিয়োগকারীরা যান তাদেরকে বিনোদনের জন্য তিনি পতিতা সরবরাহ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে নাইটক্লাবগুলোতে এমন অপকর্ম হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়াতে পতিতাবৃত্তি অবৈধ।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে একটি গ্রুপ ম্যাসেজিং চ্যাটের মাধ্যমে খদ্দেরদের জন্য পতিতা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন সেউঙ্গরি। এ জন্য তিনি ব্যবহার করেন ‘কাকাও টক’ অ্যাপ। এতে দেখা যায়, তিনি একজন স্টাফকে পতিতা সংগ্রহের বিষয়ে আয়োজন করতে বলেন।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে বার্নিং সান ক্লাবে মাদক ও যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই ক্লাবের জনসংযোগ বিষয়ক পরিচালক ছিলেন সেউঙ্গরি।
দক্ষিণ কোরিয়া বিষয়টিকে কোন চোখে দেখছে
বিলাসবহুল জীবনধারা সেউঙ্গরির। এ জন্য এক সময় তাকে ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি অব কোরিয়া’ বলে আখ্যায়িত করা হতো। তার রয়েছে অসীম ভক্ত। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে আসায় ভক্তরা মনে করছেন এটা তাদের কাছে এক বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ।
ব্যান্ডেরা সুনামে অপূরণীয় ক্ষতি করার অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে গ্রুপ থেকে সরে যাওয়ার একটি আবেদন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ইন্সটাগ্রামে দেয়া বিবৃতিতে সেউঙ্গরি বলেছেন, গত দেড় মাস ধরে জনগণের কাছ থেকে আমি প্রচন্ড সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছি। দেশের সব রকম তদন্তকারী সংস্থা আমার বিষয়ে তদন্ত করছে। আমাকে বলা হচ্ছে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক। তাই আমি এমন অবস্থানে থেকে নিজের ভালোর জন্য অন্যের ক্ষতি করতে পারি না।
তার এমন বক্তব্যের জবাবে সাবেক একজন ভক্ত পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, গত ১০টি বছর নিজে আপনার একজন ভক্ত হওয়ার কারণে আমি বিব্রতবোধ করছি।
আবার অনেকে সেউঙ্গরিকে সমর্থন করছেন। তাদের একজন বলেছেন, আমরা আপনাকে কোথাও যেতে দেবো না। অর্থাৎ তিনি ব্যান্ড ছেড়ে যান এটা মানতে পারছেন না তারা।
এ অবস্থায় সেউঙ্গরির ট্যালেন্ট বিষয়ক এজেন্সি ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট ইনকরপোরেশনের শেয়ারের পতন ঘটেছে সোমবার। এদিন শতকরা ১৫.৬ ভাগ পড়ে যায় এ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তার অবসর নেয়ার ঘোষণার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের পর থেকে এটাই ওই কোম্পানির সর্বনিম্ন দরপতন।
এমন ঘটনায় শোবিজ ছাড়ার ঘটনা সেউঙ্গরির বেলায়ই ঘটেছে এমন না। ২০১১ সালে ব্রান্ডের প্রধান জি-ড্রাগনের বিরুদ্ধে মারিজোয়ানা পান করার অভিযোগে তদন্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মাদকটি বেআইনি। পরে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই মুক্তি দেয়া হয়। ২০১৭ সালে মারিজুয়ানা সেবনের অভিযোগে আরেকজন র্যাপার টি.ও.পি’কে ১০ মাসের জেল দেয়া হয়।
No comments