যে কারণে পাক হাইকমিশনারকে গ্রহণে বাংলাদেশের অস্বীকৃতি by মিজানুর রহমান
ঢাকায়
পাকিস্তানের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে কূটনীতিক সাকলাইন সৈয়দাকে গ্রহণে
পুরোপুরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে বাংলাদেশ। তার বদলে নতুন কাউকে নিয়োগের
প্রস্তাব পাঠানোর বার্তা দিয়েছে ঢাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে সৈয়দাকে পরবর্তী
হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব (এগ্রিমো) পাঠায় ইসলামাবাদ। এগ্রিমো
আসার দুই মাসের মাথায় তিনি সরকারি ডেলিগেশনে বাংলাদেশ সফর করেন। ওআইসি
সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তাহমিনা জাঞ্জুয়ার নেতৃত্বাধীন
প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মন্ত্রণালয় মহাপরিচালক (কারস
অ্যান্ড ইকো) সাকলাইন সৈয়দা।
ঢাকায় তার সফর এবং কিছু বিষয়ে তার ব্যক্তিগত রিজার্ভেশনের বিষয়টি কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মনে করে ঢাকা। যদিও এ নিয়ে ঢাকার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু বলছেন না। ওই দূতকে গ্রহণে অসম্মতির বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি মিডিয়ায় নানা রকম খবর বেরিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো দূত নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের শীতল সম্পর্কের আরো অবনতির ইঙ্গিত করেছে। এ নিয়ে ঢাকার স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না থাকার বিষয়টিও সামনে আসছে পাকিস্তানি মিডিয়ায়। কিন্তু ঢাকার মতোই ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে কিছু বলেনি। ওয়াকিবহাল কূটনীতিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন বা কনভেনশন মতে হোস্ট কান্ট্রি বা স্বাগতিক দেশের তরফে দূতকে গ্রহণ বা অসম্মতিতে কোনো ব্যাখ্যা জরুরি নয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী স্বাগতিক দেশ আপত্তি জানালে নাম পরিবর্তনের বিধান রয়েছে। পাকিস্তান সরকার কূটনীতিক সৈয়দার বদলে নতুন কারও নাম প্রস্তাব করতে পারে। তাকে গ্রহণে ঢাকার সম্মতি পাওয়ার জন্য ১১ মাস অপেক্ষার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ‘বিভিন্ন কারণে’ ওই কূটনীতিককে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না সেই বার্তা ইসলামাবাদ অনেক আগেই পেয়েছে। কিন্তু তারা এতদিনেও নতুন কোনো নাম পাঠায়নি। বিদেশ নীতি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সরকারের একাধিক প্রতিনিধি গতকাল মানবজমিনকে বলেন, কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে পাকিস্তান নতুন কারও নাম পাঠালে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে। তবে অবশ্যই হাইকমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত ব্যক্তিকে বাংলাদেশ প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক কারণেই বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল উল্লেখ করে ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, সম্পর্ক ‘উষ্ণ’ করার একমাত্র পথ হচ্ছে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের প্রশ্নে দেশটির নীতিনির্ধারণী মহল বিভক্ত। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অনেক আগেই স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য- এদিকে দূত নিয়োগে ঢাকার অস্বীকৃতির বিষয়ে পাকিস্তানের অনলাইন ডেইলি টাইমস ও পাকিস্তান টুডে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার ভাষ্য প্রায় অভিন্ন। সেখানে বলা হয়েছে- এ নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে। ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সাকলাইন সৈয়দাকে মঙ্গলবার মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং এ পদের জন্য অন্য কারও নাম চাওয়ার ফলে নতুন মাত্রায় নেমে গেছে এ সম্পর্ক।
ওই রিপোর্টে কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কি কারণে সাকলাইন সৈয়দাকে ক্রেডেনশিয়াল বা স্বীকৃতি দেয়া হয়নি সে বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি বাংলাদেশ সরকার। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হাইকমিশনার হিসেবে রফিউজ্জামান সিদ্দিকী অবসরে যাওয়ার পর থেকে পাকিস্তান হাইকমিশনারের পদটি ফাঁকা। এ অবস্থায় বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় সাকলাইন সৈয়দার। তিনি পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। পাকিস্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির পরে ওই বিচার স্থগিত ছিল।
ঢাকায় তার সফর এবং কিছু বিষয়ে তার ব্যক্তিগত রিজার্ভেশনের বিষয়টি কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে মনে করে ঢাকা। যদিও এ নিয়ে ঢাকার তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু বলছেন না। ওই দূতকে গ্রহণে অসম্মতির বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি মিডিয়ায় নানা রকম খবর বেরিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলো দূত নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের শীতল সম্পর্কের আরো অবনতির ইঙ্গিত করেছে। এ নিয়ে ঢাকার স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা না থাকার বিষয়টিও সামনে আসছে পাকিস্তানি মিডিয়ায়। কিন্তু ঢাকার মতোই ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে কিছু বলেনি। ওয়াকিবহাল কূটনীতিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন বা কনভেনশন মতে হোস্ট কান্ট্রি বা স্বাগতিক দেশের তরফে দূতকে গ্রহণ বা অসম্মতিতে কোনো ব্যাখ্যা জরুরি নয়।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী স্বাগতিক দেশ আপত্তি জানালে নাম পরিবর্তনের বিধান রয়েছে। পাকিস্তান সরকার কূটনীতিক সৈয়দার বদলে নতুন কারও নাম প্রস্তাব করতে পারে। তাকে গ্রহণে ঢাকার সম্মতি পাওয়ার জন্য ১১ মাস অপেক্ষার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ‘বিভিন্ন কারণে’ ওই কূটনীতিককে বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না সেই বার্তা ইসলামাবাদ অনেক আগেই পেয়েছে। কিন্তু তারা এতদিনেও নতুন কোনো নাম পাঠায়নি। বিদেশ নীতি সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সরকারের একাধিক প্রতিনিধি গতকাল মানবজমিনকে বলেন, কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে পাকিস্তান নতুন কারও নাম পাঠালে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা হবে। তবে অবশ্যই হাইকমিশনার হিসেবে প্রস্তাবিত ব্যক্তিকে বাংলাদেশ প্রশ্নে ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক কারণেই বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল উল্লেখ করে ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, সম্পর্ক ‘উষ্ণ’ করার একমাত্র পথ হচ্ছে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের প্রশ্নে দেশটির নীতিনির্ধারণী মহল বিভক্ত। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অনেক আগেই স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য- এদিকে দূত নিয়োগে ঢাকার অস্বীকৃতির বিষয়ে পাকিস্তানের অনলাইন ডেইলি টাইমস ও পাকিস্তান টুডে পৃথক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যার ভাষ্য প্রায় অভিন্ন। সেখানে বলা হয়েছে- এ নিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে। ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সাকলাইন সৈয়দাকে মঙ্গলবার মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং এ পদের জন্য অন্য কারও নাম চাওয়ার ফলে নতুন মাত্রায় নেমে গেছে এ সম্পর্ক।
ওই রিপোর্টে কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কি কারণে সাকলাইন সৈয়দাকে ক্রেডেনশিয়াল বা স্বীকৃতি দেয়া হয়নি সে বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেনি বাংলাদেশ সরকার। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে হাইকমিশনার হিসেবে রফিউজ্জামান সিদ্দিকী অবসরে যাওয়ার পর থেকে পাকিস্তান হাইকমিশনারের পদটি ফাঁকা। এ অবস্থায় বাংলাদেশে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় সাকলাইন সৈয়দার। তিনি পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা। পাকিস্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর থেকেই ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির পরে ওই বিচার স্থগিত ছিল।
No comments