অবৈধ বাংলাদেশীদের ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হতে পারে না আসাম -আসু প্রেসিডেন্ট
আসাম
ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে
তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও এসব রাজ্যে এ ইস্যুতে বিক্ষোভ
মিছিল হয়েছে। রাতে মশাল মিছিল করেছে অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু)। তা
থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ বাংলাদেশীদের ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হতে পারে না আসাম।
আমরা বাঙালিদের বিরুদ্ধে নই। আমরা অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে। এ ইস্যুতে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করে
আসু। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্ক্রোল ডট ইন।
এতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করছে আসু। এ জন্য তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে, যাতে আসামে কোণঠাসা করে ফেলা যায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, তার সংগঠন সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেন ও’ব্রায়েন ও সৌগত রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। তাতে নিশ্চিত করা হয়েছে এই ইউনিয়ন বাঙালিদের বিরোধী নয়। সমুজ¦ল আরো বলেন, আসামের বাইরে একটি প্রচারণা আছে যে, আমরা বাঙালিদের বিরোধী। কিন্তু আমরা শুধুই অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরোধী। আমরা আশা করি আসাম অবৈধ বাংলাদেশীদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড হতে পারে না। তাই ভারতে বসবাসকারী, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী সম্প্রদায়কে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা শুধু বাংলাদেশীদের বিরোধী।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন সংশোধন করে তার নাম দিয়েছে সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। তা পাস করানোর চেষ্টা চলছে। এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতনের শিকার হওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান, যারা ভারতে বসবাস করছেন ৬ বছর ধরে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আইনের এই সংশোধন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে সম্প্রতি বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, সব বাঙালি অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর।
সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, এ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। তিনি বলেন, আমরা এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাশা করি। তার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আমরা। ভারত যেহেতু একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তাই ধর্মের ওরর ভিত্তি করে এখানে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যাবে না। এ ইস্যুটি হিন্দু বনাম মুসলিম অথবা বাঙালি বনাম আসামের মানুষ কেন্দ্রীক নয়। এ ইস্যুটি হলো নাগরিক বনাম নাগরিক নন এমন মানুষদের ইস্যু।
প্রস্তাবিত এ আইনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আসু। অন্য রাজ্যগুলোতেও এ বিক্ষোভ হওয়ার কথা। মণিপুরে একটি গ্রুপ ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছে। রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ত্রিপুরা কংগ্রেস ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মনের নেতৃত্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বেশ কিছু উপজাতি রাজনৈতিক দল।
সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের একজন সদস্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। কিন্তু তিনি রাজ্যের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। দুঃখজনক হলো আসামের জনগণের প্রতি মনোভাবের কোন পরিবর্তন নেই। একই রাজনৈতিক অবিচার বিরাজ করছে উত্তর পূর্ব ভারতজুড়ে। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন প্রত্যাশা করছে আসু। এ জন্য তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে, যাতে আসামে কোণঠাসা করে ফেলা যায় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, তার সংগঠন সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেন ও’ব্রায়েন ও সৌগত রায়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে। তাতে নিশ্চিত করা হয়েছে এই ইউনিয়ন বাঙালিদের বিরোধী নয়। সমুজ¦ল আরো বলেন, আসামের বাইরে একটি প্রচারণা আছে যে, আমরা বাঙালিদের বিরোধী। কিন্তু আমরা শুধুই অবৈধ বাংলাদেশীদের বিরোধী। আমরা আশা করি আসাম অবৈধ বাংলাদেশীদের ডাম্পিং গ্রাউন্ড হতে পারে না। তাই ভারতে বসবাসকারী, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী সম্প্রদায়কে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা শুধু বাংলাদেশীদের বিরোধী।
উল্লেখ্য, ভারতের ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন সংশোধন করে তার নাম দিয়েছে সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। তা পাস করানোর চেষ্টা চলছে। এ আইনের অধীনে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতনের শিকার হওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান, যারা ভারতে বসবাস করছেন ৬ বছর ধরে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আইনের এই সংশোধন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে সম্প্রতি বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, সব বাঙালি অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর।
সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, এ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। তিনি বলেন, আমরা এ জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাশা করি। তার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আমরা। ভারত যেহেতু একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তাই ধর্মের ওরর ভিত্তি করে এখানে নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যাবে না। এ ইস্যুটি হিন্দু বনাম মুসলিম অথবা বাঙালি বনাম আসামের মানুষ কেন্দ্রীক নয়। এ ইস্যুটি হলো নাগরিক বনাম নাগরিক নন এমন মানুষদের ইস্যু।
প্রস্তাবিত এ আইনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আসামের গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আসু। অন্য রাজ্যগুলোতেও এ বিক্ষোভ হওয়ার কথা। মণিপুরে একটি গ্রুপ ২৪ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছে। রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ত্রিপুরা কংগ্রেস ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রদ্যোত মানিক্য দেব বর্মনের নেতৃত্বের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বেশ কিছু উপজাতি রাজনৈতিক দল।
সমুজ¦ল ভট্টাচার্য বলেছেন, অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের একজন সদস্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। কিন্তু তিনি রাজ্যের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। দুঃখজনক হলো আসামের জনগণের প্রতি মনোভাবের কোন পরিবর্তন নেই। একই রাজনৈতিক অবিচার বিরাজ করছে উত্তর পূর্ব ভারতজুড়ে। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
No comments