আসামি জানেন না মামলা কিসের by শাহনেওয়াজ বাবলু
গত
পহেলা নভেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৪০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে
একটি মামলা হয়। রোববার এই মামলার আসামিরা সবাই উচ্চ আদালতে আসেন আগাম
জামিনের জন্য। জামিনও পান। কিন্তু আসামিদের অনেকেই জানতেন না মামলার বিষয়ে।
এদেরই একজনের নাম মন্টু শেখ। তাঁতের কাজ করেন। বাড়ি সিরাজগঞ্জ শায়দাবাদ
ইউনিয়নের শারদীয়া গ্রামে। তিনি জানেন না কেন তাকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাঁতের কাজ কইরা খাই। কখনো কারো সঙ্গে জামেলায় যাই নাই। আর আমার সঙ্গেও কারো ঝামেলা নাই। মামলা হওয়ার পর থাইক্কা আমি বাড়িতে থাকতে পারি না। তাই আগাম জামিন নিতে আইছি।
আলী মিয়া। একই উপজেলার গাদাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। কৃষিকাজ করে পরিবার চালান। তিনিও এই মামলার আসামি। প্রথম বারের মতো মামলার শিকার হলেন বলে অভিযোগ করেন আলী মিয়া। তিনি বলেন, আমার জীবনে কোনো দিন থানায় যাইনি। মামলা কি জিনিস সেটাও জানি না। আমার নামেই মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে আমি বাড়িতে থাকতে পারি না। আমার পরিবার না খেয়ে আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি মূলত একটি বিস্ফোরক মামলা। এর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গত ১১ই ডিসেম্বর ৭৫ জনকে আসামি করে হামলা ও ভাঙচুরের একটি মামলা করা হয়। তবে আসামিরা বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। আসামিদের অনেকেই জানেন না তারা যে এই মামলার আসামি। এদের মধ্যে কেউ দর্জির কাজ করেন, কেউ খামারি আবার কেউ ব্যবসা করেন। তাদের অভিযোগ তারা কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
খোকন মিয়া। একই মামলার আসামি। তিনি হার্ডওয়ারের ব্যবসা করেন। রোববার তিনিও এসেছেন উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য। খোকন বলেন, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে আসামি করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমনকি এমন ঘটনা আমি শুনিওনি।
একই মামলার আসামি পোল্ট্রি খামারি আবুল হাসান। তিনিও এসেছেন উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য। আবুল হাসান বলেন, আমার নামে যে মামলা আছে সেটা আমি কয়েকদিন আগে শুনেছি। এই ঘটনা কবে ঘটেছিল তাও আমি জানি না।
মামলার বাদী রোকনউদ্দিন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। রোকনউদ্দিন বলেন, আমার ভাই মুকুল হাসান গত ১০ই ডিসেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তারাকান্দা বাজারে কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানকার লোকজন হামলাকারীদের চিনতে পারে। সবার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমি থানায় মামলা করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এস আই সায়েদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নির্বাচনের আগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। সবাই জামিনে বের হয়েছে। তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তাঁতের কাজ কইরা খাই। কখনো কারো সঙ্গে জামেলায় যাই নাই। আর আমার সঙ্গেও কারো ঝামেলা নাই। মামলা হওয়ার পর থাইক্কা আমি বাড়িতে থাকতে পারি না। তাই আগাম জামিন নিতে আইছি।
আলী মিয়া। একই উপজেলার গাদাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। কৃষিকাজ করে পরিবার চালান। তিনিও এই মামলার আসামি। প্রথম বারের মতো মামলার শিকার হলেন বলে অভিযোগ করেন আলী মিয়া। তিনি বলেন, আমার জীবনে কোনো দিন থানায় যাইনি। মামলা কি জিনিস সেটাও জানি না। আমার নামেই মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকে আমি বাড়িতে থাকতে পারি না। আমার পরিবার না খেয়ে আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি মূলত একটি বিস্ফোরক মামলা। এর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গত ১১ই ডিসেম্বর ৭৫ জনকে আসামি করে হামলা ও ভাঙচুরের একটি মামলা করা হয়। তবে আসামিরা বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়। আসামিদের অনেকেই জানেন না তারা যে এই মামলার আসামি। এদের মধ্যে কেউ দর্জির কাজ করেন, কেউ খামারি আবার কেউ ব্যবসা করেন। তাদের অভিযোগ তারা কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
খোকন মিয়া। একই মামলার আসামি। তিনি হার্ডওয়ারের ব্যবসা করেন। রোববার তিনিও এসেছেন উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য। খোকন বলেন, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে আসামি করা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমনকি এমন ঘটনা আমি শুনিওনি।
একই মামলার আসামি পোল্ট্রি খামারি আবুল হাসান। তিনিও এসেছেন উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য। আবুল হাসান বলেন, আমার নামে যে মামলা আছে সেটা আমি কয়েকদিন আগে শুনেছি। এই ঘটনা কবে ঘটেছিল তাও আমি জানি না।
মামলার বাদী রোকনউদ্দিন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। রোকনউদ্দিন বলেন, আমার ভাই মুকুল হাসান গত ১০ই ডিসেম্বর মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় তারাকান্দা বাজারে কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেখানকার লোকজন হামলাকারীদের চিনতে পারে। সবার সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আমি থানায় মামলা করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এস আই সায়েদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নির্বাচনের আগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। সবাই জামিনে বের হয়েছে। তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
No comments