কারাবন্দিদের জবানিতে জেলজীবন by জিয়া চৌধুরী
ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি,
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নানা অনিয়মে কারাগারে বন্দিদের অসহনীয় জীবন। বিভিন্ন
মামলায় কারাভোগের পর মুক্তি পাওয়া অনেকের মুখে ফুটে উঠেছে অসহনীয় জীবনের
কথা। কারাজীবনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে কেঁদে ওঠেন কেউ কেউ।
ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশের পর বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় আড়াই মাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা ছাত্রদলের এক নেতা। তিনি বলেন, পুরো কারাগার তখন রাজনৈতিক ও গায়েবি মামলায় আটক বন্দিতে ঠাসা। কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ভবনে যেখানে ২০ জন থাকার কথা সেখানে প্রায় ৫০ জন করে থাকতো। কেরানীগঞ্জ কিংবা কাশিমপুর দুই কারাগারেই টাকা ছাড়া কোনো সুবিধা পাওয়া যেতনা। বলেন, শুরুর দিকে তাকে রাখা হয় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সেখানে প্রথমে সাধারণ বন্দি হিসেবে ওয়ার্ডে রাখা হয়।
একজন বন্দির জায়গায় সেখানে রাখা হয় অন্তত তিনজনকে। তিনি বলেন, কারাগারে এমনিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না, তার মধ্যে ভোটের আগে ব্যাপক গ্রেপ্তারে কারাগারে বাসের পরিবেশ ছিল না। সাধারণ ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে থাকতে হতো। কারাগারের ভাষায় যাকে বলে, কেচকি ফাইল। গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন সবখানেই অতিরিক্ত মানুষের চাপ। পরে অবশ্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোগী হিসেবে জায়গা হয় কেরানীগঞ্জের মেডিকেল সেলে। সেখানে থাকতে প্রতিমাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা করে দিতে হতো বলেও জানান তিনি। বলেন, কারাগারের যেখানেই যাবেন টাকা দিতেই হবে। টাকা দিলে ন্যূনতম সুবিধা পাওয়া যেত, নইলে অমানবিক পরিবেশ। এরপর তাকে স্থানান্তর করা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানেও ছিল ভয়াবহ পরিবেশ। শুরুতে সাধারণ ওয়ার্ডে থাকলেও কাশিমপুর কারাগারের মেডিকেল জায়গা পান কয়েকদিন পরেই। সেখানেও প্রতিমাসে খরচ করতে হতো অন্তত সাত হাজার টাকা।
ইলিশ ফাইল ও কেচকি ফাইলের তুলনায় মেডিকেলে ভালো পরিবেশ পেলেও খাবার ছিল নিম্নমানের। মেডিকেলের খাবার না খেয়ে বাইরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতেন তারা। বাইরের দামের তুলনায় এজন্য চারগুণ বেশি টাকা খরচ করতে হতো। মাঝে-মধ্যে পরিবারের লোকজন এলে, মুড়ি, বিস্কুট ও শুকনো খাবার পেতেন। তিনি বলেন, কারাগারের মেডিকেলে ও সাধারণ ওয়ার্ডে অবৈধভাবে মুঠোফোন ব্যবহার করা যায়। শুধু কয়েকজনকে ম্যানেজ করতে পারলেই সম্ভব হয়। টাকা দিলে ইয়াবা, গাঁজা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। মেডিকেল ও সাধারণ ওয়ার্ডের দেয়া কম্বলগুলো ছিল অপরিচ্ছন্ন। অনেকে এসব কম্বল ব্যবহার করতে পারতেন না, কষ্ট পেতেন শীতে। নিয়ম না থাকলেও কেউ কেউ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে কম্বল কিনে আনাতেন। এককথায় সাধারণ মানুষের থাকার মতো পরিবেশ ছিল না। যাদের পরিবার খোঁজ-খবর নিতে পারতেন না তাদের অবস্থা ছিল আরো করুণ। গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ কারাগারে ছিলেন এক ব্যবসায়ী। তিনিও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন।
ডায়াবেটিসসহ বেশকিছু সমস্যা ছিল তার। সাধারণ বন্দি হিসেবে ওয়ার্ডে ছিলেন শুরুর দিকে। সেখানে থাকতে না পেরে টাকা দিয়ে থাকতেন মেডিকেলে। জানুয়ারির শুরুর দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান চালায় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। এদের সবাইকে তখন মেডিকেল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। মণিহার নামে একটি ভবনের ছয়তলায় অব্যবহৃত একটি ফ্লোরে উঠেন সবাই। ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় কয়েকজন মিলেই পরিষ্কার করে নেন। শীতের প্রকোপ ও ডায়বেটিসের কারণে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে। রূপসা ভবনে একজনের জায়গায় ৫ জনকেও থাকতে দেখেছেন তিনি। খাবার হিসেবে সকালে দেয়া হতো রুটি আর গুড়, দুপুরে ডাল আর ভাত। আর রাতের খাবারে থাকতো ডাল, ভাত, মাছ। এসব খাবার ছিল পুষ্টিহীন ও অপরিচ্ছন্ন। প্রায় মাসখানেক কেরানীগঞ্জের কারাগারে থাকা আরেক বন্দি জানান, হাজারো অনিয়ম আর কষ্ট সেখানে।
যতদিন ছিলেন মানবেতর জীবন কাটাতে দেখেছেন সাধারণ ওয়ার্ডের বন্দিদের। নিজেও কয়েকদিন ছিলেন সেখানে। বলেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার বন্দিদের কষ্টের সীমা নেই কারাগারে। টাকা দিলে একটু ভালো থাকা যায় নইলে অস্বাস্থ্যকর গাদাগাদি পরিবেশে রাত কাটাতে হয়। সাধারণ ওয়ার্ডের ভেতরে আছে মেস সিস্টেম থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। একটু ভালোভাবে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে তিন হাজার টাকা। এরপর দুই হাজার ও দেড় হাজারেরও প্যাকেজ আছে। সাধারণ ওয়ার্ডে ইলিশ ও কেচকি ফাইলে গাদাগাদি করে থাকতে হয় এসব বন্দিকে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বন্দি সংখ্যা বাড়ায় কষ্টও বাড়ে কয়েকগুণ। ছারপোকা, শীতের প্রকোপ আর রাতে না ঘুমানোর যন্ত্রণাও পোহাতে হয়েছে এসব বন্দিদের। যেসব বন্দিরা নিজেরাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন তাদের ভোগান্তি সীমাহীন। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পুষ্টিহীন খাবার আর একজনের গায়ের ওপর আরেকজন গাদাগাদি করে থাকতে হতো। টাকা-পয়সা থাকলে সেলে থাকার ব্যবস্থা আছে বলেও জানান এই বন্দি। তিনি জানান, সেলে থাকতে হলে শুরুতে দিতে হয় সাত হাজার টাকা।
আর প্রতিদিন দিতে হবে ৩০০ থেকে অন্তত এক হাজার টাকা। কিছুদিন যাওয়ার পরই আবার কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে স্থানান্তরের ভয় দেখানো হয়। যারা যেতে চান না তারা আটহাজার টাকা করে দিলে কেরানীগঞ্জের সেলেই থাকতে পারতেন। এসব টাকা থেকে লাইন চিফ বলে দায়িত্বরতরা পান দুই হাজার টাকা আর বাকি টাকা চলে যেত কর্তৃপক্ষের ভাগে। অপরিচ্ছন্ন, মানবেতর পরিবেশে থাকতে না চাইলে পদে পদে গুনতে হয় টাকা। তিনি বলেন, সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৫-৪০ জন থাকার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও প্রায় একশ’ জনও থাকছেন। আর প্রতিটি সেলে তিনজন করে থাকার উপযোগী হলেও সর্বোচ্চ ৫ জন থাকছেন। কারাগারে টাকার লেনদেন ওপেন সিক্রেট।
ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশের পর বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় আড়াই মাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা ছাত্রদলের এক নেতা। তিনি বলেন, পুরো কারাগার তখন রাজনৈতিক ও গায়েবি মামলায় আটক বন্দিতে ঠাসা। কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ভবনে যেখানে ২০ জন থাকার কথা সেখানে প্রায় ৫০ জন করে থাকতো। কেরানীগঞ্জ কিংবা কাশিমপুর দুই কারাগারেই টাকা ছাড়া কোনো সুবিধা পাওয়া যেতনা। বলেন, শুরুর দিকে তাকে রাখা হয় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সেখানে প্রথমে সাধারণ বন্দি হিসেবে ওয়ার্ডে রাখা হয়।
একজন বন্দির জায়গায় সেখানে রাখা হয় অন্তত তিনজনকে। তিনি বলেন, কারাগারে এমনিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না, তার মধ্যে ভোটের আগে ব্যাপক গ্রেপ্তারে কারাগারে বাসের পরিবেশ ছিল না। সাধারণ ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে থাকতে হতো। কারাগারের ভাষায় যাকে বলে, কেচকি ফাইল। গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন সবখানেই অতিরিক্ত মানুষের চাপ। পরে অবশ্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোগী হিসেবে জায়গা হয় কেরানীগঞ্জের মেডিকেল সেলে। সেখানে থাকতে প্রতিমাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা করে দিতে হতো বলেও জানান তিনি। বলেন, কারাগারের যেখানেই যাবেন টাকা দিতেই হবে। টাকা দিলে ন্যূনতম সুবিধা পাওয়া যেত, নইলে অমানবিক পরিবেশ। এরপর তাকে স্থানান্তর করা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানেও ছিল ভয়াবহ পরিবেশ। শুরুতে সাধারণ ওয়ার্ডে থাকলেও কাশিমপুর কারাগারের মেডিকেল জায়গা পান কয়েকদিন পরেই। সেখানেও প্রতিমাসে খরচ করতে হতো অন্তত সাত হাজার টাকা।
ইলিশ ফাইল ও কেচকি ফাইলের তুলনায় মেডিকেলে ভালো পরিবেশ পেলেও খাবার ছিল নিম্নমানের। মেডিকেলের খাবার না খেয়ে বাইরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতেন তারা। বাইরের দামের তুলনায় এজন্য চারগুণ বেশি টাকা খরচ করতে হতো। মাঝে-মধ্যে পরিবারের লোকজন এলে, মুড়ি, বিস্কুট ও শুকনো খাবার পেতেন। তিনি বলেন, কারাগারের মেডিকেলে ও সাধারণ ওয়ার্ডে অবৈধভাবে মুঠোফোন ব্যবহার করা যায়। শুধু কয়েকজনকে ম্যানেজ করতে পারলেই সম্ভব হয়। টাকা দিলে ইয়াবা, গাঁজা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাদক পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। মেডিকেল ও সাধারণ ওয়ার্ডের দেয়া কম্বলগুলো ছিল অপরিচ্ছন্ন। অনেকে এসব কম্বল ব্যবহার করতে পারতেন না, কষ্ট পেতেন শীতে। নিয়ম না থাকলেও কেউ কেউ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে কম্বল কিনে আনাতেন। এককথায় সাধারণ মানুষের থাকার মতো পরিবেশ ছিল না। যাদের পরিবার খোঁজ-খবর নিতে পারতেন না তাদের অবস্থা ছিল আরো করুণ। গত বছরের ২৬শে ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ কারাগারে ছিলেন এক ব্যবসায়ী। তিনিও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন।
ডায়াবেটিসসহ বেশকিছু সমস্যা ছিল তার। সাধারণ বন্দি হিসেবে ওয়ার্ডে ছিলেন শুরুর দিকে। সেখানে থাকতে না পেরে টাকা দিয়ে থাকতেন মেডিকেলে। জানুয়ারির শুরুর দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান চালায় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। এদের সবাইকে তখন মেডিকেল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। মণিহার নামে একটি ভবনের ছয়তলায় অব্যবহৃত একটি ফ্লোরে উঠেন সবাই। ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় কয়েকজন মিলেই পরিষ্কার করে নেন। শীতের প্রকোপ ও ডায়বেটিসের কারণে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে। রূপসা ভবনে একজনের জায়গায় ৫ জনকেও থাকতে দেখেছেন তিনি। খাবার হিসেবে সকালে দেয়া হতো রুটি আর গুড়, দুপুরে ডাল আর ভাত। আর রাতের খাবারে থাকতো ডাল, ভাত, মাছ। এসব খাবার ছিল পুষ্টিহীন ও অপরিচ্ছন্ন। প্রায় মাসখানেক কেরানীগঞ্জের কারাগারে থাকা আরেক বন্দি জানান, হাজারো অনিয়ম আর কষ্ট সেখানে।
যতদিন ছিলেন মানবেতর জীবন কাটাতে দেখেছেন সাধারণ ওয়ার্ডের বন্দিদের। নিজেও কয়েকদিন ছিলেন সেখানে। বলেন, রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার বন্দিদের কষ্টের সীমা নেই কারাগারে। টাকা দিলে একটু ভালো থাকা যায় নইলে অস্বাস্থ্যকর গাদাগাদি পরিবেশে রাত কাটাতে হয়। সাধারণ ওয়ার্ডের ভেতরে আছে মেস সিস্টেম থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। একটু ভালোভাবে থাকতে গেলে খরচ করতে হবে তিন হাজার টাকা। এরপর দুই হাজার ও দেড় হাজারেরও প্যাকেজ আছে। সাধারণ ওয়ার্ডে ইলিশ ও কেচকি ফাইলে গাদাগাদি করে থাকতে হয় এসব বন্দিকে। জাতীয় নির্বাচনের আগে বন্দি সংখ্যা বাড়ায় কষ্টও বাড়ে কয়েকগুণ। ছারপোকা, শীতের প্রকোপ আর রাতে না ঘুমানোর যন্ত্রণাও পোহাতে হয়েছে এসব বন্দিদের। যেসব বন্দিরা নিজেরাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন তাদের ভোগান্তি সীমাহীন। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, পুষ্টিহীন খাবার আর একজনের গায়ের ওপর আরেকজন গাদাগাদি করে থাকতে হতো। টাকা-পয়সা থাকলে সেলে থাকার ব্যবস্থা আছে বলেও জানান এই বন্দি। তিনি জানান, সেলে থাকতে হলে শুরুতে দিতে হয় সাত হাজার টাকা।
আর প্রতিদিন দিতে হবে ৩০০ থেকে অন্তত এক হাজার টাকা। কিছুদিন যাওয়ার পরই আবার কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে স্থানান্তরের ভয় দেখানো হয়। যারা যেতে চান না তারা আটহাজার টাকা করে দিলে কেরানীগঞ্জের সেলেই থাকতে পারতেন। এসব টাকা থেকে লাইন চিফ বলে দায়িত্বরতরা পান দুই হাজার টাকা আর বাকি টাকা চলে যেত কর্তৃপক্ষের ভাগে। অপরিচ্ছন্ন, মানবেতর পরিবেশে থাকতে না চাইলে পদে পদে গুনতে হয় টাকা। তিনি বলেন, সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৫-৪০ জন থাকার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও প্রায় একশ’ জনও থাকছেন। আর প্রতিটি সেলে তিনজন করে থাকার উপযোগী হলেও সর্বোচ্চ ৫ জন থাকছেন। কারাগারে টাকার লেনদেন ওপেন সিক্রেট।
No comments