‘মাইকেলের প্রতিটি স্পর্শ আমাকে শিহরিত করেছে’
শানা
মাঙ্গাতাল। তাকে বলা হয় পপ সম্রাট প্রয়াত মাইকেল জ্যাকসনের ‘গোপন’
প্রেমিকা। সম্প্রতি মাইকেল জ্যাকসনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে, তার যৌন আসক্তি
নিয়ে যে তথ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে এবং তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে, তখন সেই
শানা মুখ খুললেন। তিনি বললেন, নারীদের প্রতি মাইকেল জ্যাকসনের ছিল গভীর
শ্রদ্ধা। তার যৌন জীবন নিয়ে যেসব গল্প বলা হচ্ছে তার সবই মিথ্যা। প্রয়াত
মাইকেলের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগকারীরাই আসলে মাইকেল জ্যাকসনকে ‘হত্যা’
করেছেন। ১৯৯০’র দশকে ‘থ্রিলার’ গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে মাইকেল
জ্যাকসন। ওই সময় তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িত ছিলেন শানা মাঙ্গাতাল।
তিনি বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন মেয়েদের ভালোবাসতেন। তাই বাচ্চাদের প্রতি তার কোনোই যৌন আসক্তি ছিল না।
তাকে যতটা শিশুদের প্রতি যৌন আসক্ত বলা হয় বা ভাবা হয়, তিনি আসলে তা নন। তিনি চমৎকার অভিজ্ঞ এবং বিস্ময়কর একজন প্রেমিক ছিলেন। তার সঙ্গে অন্য কোনো পুরুষকে কখনোই তুলনা করা যাবে না। শানা মাঙ্গাতালের বয়স এখন ৪৮ বছর। তিনি স্মরণ করেছেন মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে সেইসব দিনগুলোকে। ওই সময় মাইকেল জ্যাকসন তার সঙ্গে প্রেমের ভান করতেন। ফোনে তাকে যৌন আসক্তিমূলক গানের কথা শুনিয়ে তার মাঝে যৌন আসক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করতেন। কখনো কখনো তিনি যুবতীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করতেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ছেলেদের যেসব অভিযোগ এসেছে তা বিশ্বাস করার মতো নয়।
মাইকেল জ্যাকসনের কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে কাজ করেছেন শানা মাঙ্গাতাল। তিনি বলেছেন, উল্টো অনেক পিতামাতাই তাদের বাচ্চা ছেলেদের মাইকেলের কাছে পাঠিয়ে দিতেন তার সঙ্গে থাকতে। তাদেরকে বলতেন মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ঘুমাতে। একটি শিশু বেশি নজর পাচ্ছে এটা দেখলে অন্যরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়তেন।
সম্প্রতি মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ প্রকাশ হয়েছে। এতে ওয়াডে রবসন এবং জেমস সেফচাক অভিযোগ করেছেন শিশু অবস্থায় তাদের সঙ্গে যৌন নির্যাতন করেছেন মাইকেল জ্যাকসন। এ নিয়ে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের সঙ্গে কথা বলেছেন শানা মাঙ্গাতাল। তিনি মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ পুরোপুরি বানচাল করে দিয়েছেন। বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন কখনোই শিশুদের প্রতি যৌন আসক্ত ছিলেন না। যে দুজন এ অভিযোগ এনেছেন তারা ছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের বেস্ট ফ্রেন্ড। তাদের ভীষণ যত্ন নিতেন মাইকেল জ্যাকসন। কিন্তু মাইকেল কখনো ভাবেন নি তারাই তার বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারে। বাস্তবে এ দুজনকে একটি পৃথিবী উপহার দিয়েছেন মাইকেল। এ ধরনের যৌন নির্যাতনের অভিযোগই মাইকেলকে হত্যা করেছে।
শানা মাঙ্গাতাল এখন লস অ্যানজেলেসের বিনোদন শিল্পের সঙ্গে কাজ করেন। ১৭ বছর বয়সে প্রথম মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। এক পর্যায়ে তিনি মাইকেলের অফিসের রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। তখন তার বয়স ২০ বছর। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। বেশ কয়েক মাস ফোনে এবং অফিসে তার সঙ্গে ডেটিং দিতে থাকেন মাইকেল। এরপরই প্রথমবার তাকে চুমু খান তিনি। শানা মাঙ্গাতাল ওই চুমুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার সারা জীবনের স্বপ্ন যেন তখন সত্য হয়েছিল’। কিন্তু এর কয়েক সপ্তাহ পরেই একটি ম্যাগাজিনে চোখ আটকে যায় শানার। তিনি দেখতে পান এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাইকেল। তা দেখে ‘হৃদয় ভেঙে যায় আমার’।
তারপরও বুকে আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন শানা। আশা করেন, একদিন মাইকেলের সঙ্গে তিনি একত্রিত হবেন। অবশেষে কয়েক মাস পর লিসাকে ডিভোর্স দিলেন মাইকেল। এরপর লস অ্যানজেলেসের ইউনিভার্সেল সিটিতে ইউনিভার্সাল হিলটন হোটেলে শানাকে আমন্ত্রণ জানালেন মাইকেল জ্যাকসন। সেখানে তারা পপকর্ন খান। ছবি দেখেন। এক বোতল ওয়াইন পান করেন। তারপর এক সঙ্গে রাত যাপন করেন। ওই সময় তাদের এই সম্পর্কের কথা গোপন রেখেছিলেন শানা। চেয়েছিলেন আরো অন্তরঙ্গ হলে তবেই এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করবেন।
শানা বলেন, যখনই মাইকেল জ্যাকসন আমাকে স্পর্শ করতেন প্রতিবারই আমি শিহরিত হতাম। কাঁপতাম। আসলে আমি তো অনভিজ্ঞ ছিলাম। অন্য মেয়েদের যেমন থাকে আমার তেমন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি আমাকে প্রস্তুত করার জন্য সবই করতেন, যা ছিল বিস্ময়কর। আমিও তো সব কিছু সেভাবেই চাইতাম। অবশ্যই মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন অভিজ্ঞ। ওই রাতে আমরা সারারাত ঘুমাই নি। মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন ভালোবাসাময়, প্রেমময়। আমার মনে হয় আমার ইনোসেন্স তাকে আকৃষ্ট করেছিল আমার প্রতি। মনে হয়েছিল আমি যদি আগ্রাসী হই তাতে তিনি তার মতো করে আমার কাছে আসতে পারবেন না। ২০ বছর পরও তার প্রতি আমার অসীম ভালোবাসা রয়েছে।
তিনি বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন মেয়েদের ভালোবাসতেন। তাই বাচ্চাদের প্রতি তার কোনোই যৌন আসক্তি ছিল না।
তাকে যতটা শিশুদের প্রতি যৌন আসক্ত বলা হয় বা ভাবা হয়, তিনি আসলে তা নন। তিনি চমৎকার অভিজ্ঞ এবং বিস্ময়কর একজন প্রেমিক ছিলেন। তার সঙ্গে অন্য কোনো পুরুষকে কখনোই তুলনা করা যাবে না। শানা মাঙ্গাতালের বয়স এখন ৪৮ বছর। তিনি স্মরণ করেছেন মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে সেইসব দিনগুলোকে। ওই সময় মাইকেল জ্যাকসন তার সঙ্গে প্রেমের ভান করতেন। ফোনে তাকে যৌন আসক্তিমূলক গানের কথা শুনিয়ে তার মাঝে যৌন আসক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করতেন। কখনো কখনো তিনি যুবতীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করতেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ছেলেদের যেসব অভিযোগ এসেছে তা বিশ্বাস করার মতো নয়।
মাইকেল জ্যাকসনের কোম্পানির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে কাজ করেছেন শানা মাঙ্গাতাল। তিনি বলেছেন, উল্টো অনেক পিতামাতাই তাদের বাচ্চা ছেলেদের মাইকেলের কাছে পাঠিয়ে দিতেন তার সঙ্গে থাকতে। তাদেরকে বলতেন মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ঘুমাতে। একটি শিশু বেশি নজর পাচ্ছে এটা দেখলে অন্যরা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়তেন।
সম্প্রতি মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ প্রকাশ হয়েছে। এতে ওয়াডে রবসন এবং জেমস সেফচাক অভিযোগ করেছেন শিশু অবস্থায় তাদের সঙ্গে যৌন নির্যাতন করেছেন মাইকেল জ্যাকসন। এ নিয়ে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের সঙ্গে কথা বলেছেন শানা মাঙ্গাতাল। তিনি মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ পুরোপুরি বানচাল করে দিয়েছেন। বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসন কখনোই শিশুদের প্রতি যৌন আসক্ত ছিলেন না। যে দুজন এ অভিযোগ এনেছেন তারা ছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের বেস্ট ফ্রেন্ড। তাদের ভীষণ যত্ন নিতেন মাইকেল জ্যাকসন। কিন্তু মাইকেল কখনো ভাবেন নি তারাই তার বিরুদ্ধে এভাবে কথা বলতে পারে। বাস্তবে এ দুজনকে একটি পৃথিবী উপহার দিয়েছেন মাইকেল। এ ধরনের যৌন নির্যাতনের অভিযোগই মাইকেলকে হত্যা করেছে।
শানা মাঙ্গাতাল এখন লস অ্যানজেলেসের বিনোদন শিল্পের সঙ্গে কাজ করেন। ১৭ বছর বয়সে প্রথম মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। এক পর্যায়ে তিনি মাইকেলের অফিসের রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। তখন তার বয়স ২০ বছর। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। বেশ কয়েক মাস ফোনে এবং অফিসে তার সঙ্গে ডেটিং দিতে থাকেন মাইকেল। এরপরই প্রথমবার তাকে চুমু খান তিনি। শানা মাঙ্গাতাল ওই চুমুর প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার সারা জীবনের স্বপ্ন যেন তখন সত্য হয়েছিল’। কিন্তু এর কয়েক সপ্তাহ পরেই একটি ম্যাগাজিনে চোখ আটকে যায় শানার। তিনি দেখতে পান এলভিস প্রিসলির মেয়ে লিসা মেরি প্রিসলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাইকেল। তা দেখে ‘হৃদয় ভেঙে যায় আমার’।
তারপরও বুকে আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকেন শানা। আশা করেন, একদিন মাইকেলের সঙ্গে তিনি একত্রিত হবেন। অবশেষে কয়েক মাস পর লিসাকে ডিভোর্স দিলেন মাইকেল। এরপর লস অ্যানজেলেসের ইউনিভার্সেল সিটিতে ইউনিভার্সাল হিলটন হোটেলে শানাকে আমন্ত্রণ জানালেন মাইকেল জ্যাকসন। সেখানে তারা পপকর্ন খান। ছবি দেখেন। এক বোতল ওয়াইন পান করেন। তারপর এক সঙ্গে রাত যাপন করেন। ওই সময় তাদের এই সম্পর্কের কথা গোপন রেখেছিলেন শানা। চেয়েছিলেন আরো অন্তরঙ্গ হলে তবেই এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ করবেন।
শানা বলেন, যখনই মাইকেল জ্যাকসন আমাকে স্পর্শ করতেন প্রতিবারই আমি শিহরিত হতাম। কাঁপতাম। আসলে আমি তো অনভিজ্ঞ ছিলাম। অন্য মেয়েদের যেমন থাকে আমার তেমন স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি আমাকে প্রস্তুত করার জন্য সবই করতেন, যা ছিল বিস্ময়কর। আমিও তো সব কিছু সেভাবেই চাইতাম। অবশ্যই মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন অভিজ্ঞ। ওই রাতে আমরা সারারাত ঘুমাই নি। মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন ভালোবাসাময়, প্রেমময়। আমার মনে হয় আমার ইনোসেন্স তাকে আকৃষ্ট করেছিল আমার প্রতি। মনে হয়েছিল আমি যদি আগ্রাসী হই তাতে তিনি তার মতো করে আমার কাছে আসতে পারবেন না। ২০ বছর পরও তার প্রতি আমার অসীম ভালোবাসা রয়েছে।
No comments