পর্যটকদের নজর কাড়ছে জৈন্তাপুরের বড়জুরী ছোটজুরী জলারবন by ওয়েছ খছরু
সিলেটে
এবার পর্যটনের নজর কাড়ছে সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুরের করগ্রামের বড়জুরী ও
ছোটজুরী জলারবন। পর্যটন আকৃষ্ট করছে এই জলারবন। ডিবির হাওরের শাপলা বিলের
পর নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় করগ্রামের বড়জুরী ও ছোটজুরী জলারবন।
পর্যটকদের জন্য হতে পারে অন্যতম নিদর্শন। সন্ধ্যা আসার পূর্ব থেকেই হিজল,
করই, ইকড় বিন্না ও পাখির কিচিরমিচির ডাকে প্রকৃতির অপরূপ বাজনা বেজে উঠে
করগ্রামের বড় জুরী ও ছোট জুরী হাওরে। মনে হয় যেন এখানে প্রকৃতির সর্বজনীন
নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে। ডাহুক, শামুকউজা, কানাবক, ঘুঘু, মাছরাঙা,
বালিহাঁসসহ নাম না জানা বিচিত্র সব পাখির কলরবে মুখরিত হয় চারদিক। সন্ধ্যায়
শেয়ালের হুক্কা হুয়া আওয়াজ সেটিকে করে তুলে আরো বেশি জীবন্ত।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তৈল গ্যাসের জন্য খ্যাতি সারা দেশে শ্রীপুর, সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, লাল শাপলার রাজ্য, হরিপুরের গ্যাসকুপ, সারী নদীর নীল জল, লালাখাল চা-বাগান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যে কথা আগে থেকেই জানা পর্যটকদের। সময়-সুযোগ হলেই এসব স্থানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা।
চলতি বৎসর জুড়ে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছেন বড়জুরী ও ছোটজুরী হাওরে। প্রকৃতির এ অসাধারণ বনে চারদিকে কেবলই মনমাতানো সৌন্দর্য। প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সাজিয়েছে বনটি। বর্ষায় চারদিকে অথৈ পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে হিজল, করচ, বরুণ, শেওড়াসহ দেশি পানিবান্ধব নানা প্রজাতির গাছ গাছালি। সে গাছগুলোর ঝোপজঙ্গলের নিবিড়তা অন্য যেকোনো বনভূমির চেয়ে বেশি। গাছের মধ্যে আবার হিজলের সংখ্যা লক্ষণীয়। মানুষের ছোঁয়া বহির্ভূত সেসব গাছ তার আদি রূপ অনেকটাই ধরে রেখেছে। এসবের মধ্যে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইকড় আর ছনের বন। যেন সাপ, বিচ্চু আর পাখিদের এক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। এখানে রয়েছে শতবর্ষী অগণিত হিজল, করই গাছ মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুটিজুরী নদী। বর্ষায় কোমর পর্যন্ত পানিতে দাঁড়িয়ে থাকে গাছগুলো। মাথায় পাতার বিশাল ঝাঁপি নিয়ে সাধকের মতো যেন পাহারা দিচ্ছে পুরো জলারবনকে। ঘন ইকড় আর খাগ ও ছন থেকে থেকে ভেসে আসে শেয়ালের ছোটাছুটির শব্দ। শুকনো মৌসুমে দিনের বেলা মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা এবং বোরো ধান চাষিদের চাষাবাদের তৎপরতা নেই কোনো কমতি। সন্ধ্যা হতে না হতে শিয়ালসহ বন্য প্রাণীদের বিচরণ যেন মাতিয়ে রেখেছে। শিয়াল, নেউল কিংবা উদ বা বনবিড়ালরা বেরিয়ে পড়ছে রাতে খাবারের খোঁজে। বনের ফাঁকের ছোট ছোট কূপে গজার, বোয়াল আর শোলমাছ শিকারিদের পাতানো ফাঁদ। সন্ধ্যার আগেই এখানে নেমে রাত্রির পুরো আয়োজন। প্রকৃতির এরকম বিচিত্র সব কারবার আর মনমাতানো সৌন্দর্যে দেখা মিলে কারগ্রাম ও চাল্লাইন হাওরের মায়াবি জলারবনটিতে।
এছাড়া বনের মধ্যে নৌকায় করে এবং শুষ্ক মৌসুমে সাইকেলযোগে গেলে মনে হবে- কোন দিক রেখে কোনদিকে তাকাবেন। সামনে তাকালে মনে হয় পেছন দেখা দরকার। পেছনে তাকালে মনে হবে ডানপাশের বন মিস করছি। শুষ্ক মৌসুমে অভিন্ন রূপ ধারণ করে জলার বনটি। মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের পর বিল শুকিয়ে গেলেই তৈরি হয় অনন্য দৃশ্য। যে দিকে তাকাবেন মনে হবে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়ে তৈরি করেছে বিশাল খেলার মাঠ। হাওরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান হতে আসা পর্যটকরা ঘোড়া, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মনের অনন্দে বনটির ভেতরে নেচে গেয়ে সময় কাটাচ্ছে কেউবা খেলা করছে। তাদের একজন হোসেন আহমদ বলেন আমাদের বাড়ির পার্শ্বে মায়াবতী দৃশ্য নিয়ে হাওরের বনটি অবস্থিত। যখন সময় পাই তখন কিছু সময় বনটিতে ঘুরতে আসি এখানকার প্রকৃতি অত্যন্ত মনোমুগ্ধ কর। এছাড়া কাজল, সোগাহসহ অনেকেই বলেন, এই হাওরের এমন দৃশ্য রাতারগুলে নেই। শতবর্ষী গাছ এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দ খুব ভালো লাগছে। বর্ষা এলে ফের এখানে ঘুরতে আসব। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন- বড়জুরী এবং ছোটজুরী নামক হাওর দুটি সরকারি মালিকানায় রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পুটিজুরী নদী তার অনতি দূরে রয়েছে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী অন্য পার্শ্বে জৈন্তাপুর উপজেলার করগ্রাম চাল্লাইনসহ কয়েকটি গ্রাম। তবে মূলত করগ্রামের লোকজন এটি ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের উপজেলায় বিভিন্ন প্রান্তে এরকম পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই হাওরটি অন্যতম। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তিনি আরো বলেন পরিকল্পনা মাফিক এটি সাজিয়ে তুললে অন্যান্য জলার বনের চেয়ে এটি হয়ে উঠবে আরো আর্কষণীয়।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তৈল গ্যাসের জন্য খ্যাতি সারা দেশে শ্রীপুর, সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র, লাল শাপলার রাজ্য, হরিপুরের গ্যাসকুপ, সারী নদীর নীল জল, লালাখাল চা-বাগান, নৈসর্গিক সৌন্দর্যে কথা আগে থেকেই জানা পর্যটকদের। সময়-সুযোগ হলেই এসব স্থানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা।
চলতি বৎসর জুড়ে ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছেন বড়জুরী ও ছোটজুরী হাওরে। প্রকৃতির এ অসাধারণ বনে চারদিকে কেবলই মনমাতানো সৌন্দর্য। প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সাজিয়েছে বনটি। বর্ষায় চারদিকে অথৈ পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে হিজল, করচ, বরুণ, শেওড়াসহ দেশি পানিবান্ধব নানা প্রজাতির গাছ গাছালি। সে গাছগুলোর ঝোপজঙ্গলের নিবিড়তা অন্য যেকোনো বনভূমির চেয়ে বেশি। গাছের মধ্যে আবার হিজলের সংখ্যা লক্ষণীয়। মানুষের ছোঁয়া বহির্ভূত সেসব গাছ তার আদি রূপ অনেকটাই ধরে রেখেছে। এসবের মধ্যে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইকড় আর ছনের বন। যেন সাপ, বিচ্চু আর পাখিদের এক নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র। এখানে রয়েছে শতবর্ষী অগণিত হিজল, করই গাছ মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুটিজুরী নদী। বর্ষায় কোমর পর্যন্ত পানিতে দাঁড়িয়ে থাকে গাছগুলো। মাথায় পাতার বিশাল ঝাঁপি নিয়ে সাধকের মতো যেন পাহারা দিচ্ছে পুরো জলারবনকে। ঘন ইকড় আর খাগ ও ছন থেকে থেকে ভেসে আসে শেয়ালের ছোটাছুটির শব্দ। শুকনো মৌসুমে দিনের বেলা মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা এবং বোরো ধান চাষিদের চাষাবাদের তৎপরতা নেই কোনো কমতি। সন্ধ্যা হতে না হতে শিয়ালসহ বন্য প্রাণীদের বিচরণ যেন মাতিয়ে রেখেছে। শিয়াল, নেউল কিংবা উদ বা বনবিড়ালরা বেরিয়ে পড়ছে রাতে খাবারের খোঁজে। বনের ফাঁকের ছোট ছোট কূপে গজার, বোয়াল আর শোলমাছ শিকারিদের পাতানো ফাঁদ। সন্ধ্যার আগেই এখানে নেমে রাত্রির পুরো আয়োজন। প্রকৃতির এরকম বিচিত্র সব কারবার আর মনমাতানো সৌন্দর্যে দেখা মিলে কারগ্রাম ও চাল্লাইন হাওরের মায়াবি জলারবনটিতে।
এছাড়া বনের মধ্যে নৌকায় করে এবং শুষ্ক মৌসুমে সাইকেলযোগে গেলে মনে হবে- কোন দিক রেখে কোনদিকে তাকাবেন। সামনে তাকালে মনে হয় পেছন দেখা দরকার। পেছনে তাকালে মনে হবে ডানপাশের বন মিস করছি। শুষ্ক মৌসুমে অভিন্ন রূপ ধারণ করে জলার বনটি। মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের পর বিল শুকিয়ে গেলেই তৈরি হয় অনন্য দৃশ্য। যে দিকে তাকাবেন মনে হবে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়ে তৈরি করেছে বিশাল খেলার মাঠ। হাওরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান হতে আসা পর্যটকরা ঘোড়া, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মনের অনন্দে বনটির ভেতরে নেচে গেয়ে সময় কাটাচ্ছে কেউবা খেলা করছে। তাদের একজন হোসেন আহমদ বলেন আমাদের বাড়ির পার্শ্বে মায়াবতী দৃশ্য নিয়ে হাওরের বনটি অবস্থিত। যখন সময় পাই তখন কিছু সময় বনটিতে ঘুরতে আসি এখানকার প্রকৃতি অত্যন্ত মনোমুগ্ধ কর। এছাড়া কাজল, সোগাহসহ অনেকেই বলেন, এই হাওরের এমন দৃশ্য রাতারগুলে নেই। শতবর্ষী গাছ এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দ খুব ভালো লাগছে। বর্ষা এলে ফের এখানে ঘুরতে আসব। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন- বড়জুরী এবং ছোটজুরী নামক হাওর দুটি সরকারি মালিকানায় রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে পুটিজুরী নদী তার অনতি দূরে রয়েছে কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী অন্য পার্শ্বে জৈন্তাপুর উপজেলার করগ্রাম চাল্লাইনসহ কয়েকটি গ্রাম। তবে মূলত করগ্রামের লোকজন এটি ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের উপজেলায় বিভিন্ন প্রান্তে এরকম পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই হাওরটি অন্যতম। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। তিনি আরো বলেন পরিকল্পনা মাফিক এটি সাজিয়ে তুললে অন্যান্য জলার বনের চেয়ে এটি হয়ে উঠবে আরো আর্কষণীয়।
No comments