ওর সামনেই মা–বাবা–বোনকে গুলি করে হত্যা
ঘটনার
পরপর পাকিস্তানের পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযানে চার ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। তিন
জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা গেল ঘটনা ছিল ভিন্ন।
শিশুসন্তানদের সামনেই বাবা, মা, বোনসহ চারজনকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
ওই পরিবারের বেঁচে যাওয়া তিন শিশুর মধ্যে নয় বছর বয়সী এক ছেলেশিশুর বয়ানে
উঠে এসেছে পুলিশের নির্মমতার চিত্র। ছেলেটির বক্তব্যের ভিডিও এখন ঘুরছে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিশের এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া
জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত শনিবার পাকিস্তানের লাহোরের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাহিওয়াল শহরে ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গি দমনে উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী দাবি করেছিল, নিহত চারজনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সম্পৃক্ততা ছিল। অন্য তিন ‘জঙ্গি’ মোটরবাইকে করে পালিয়ে গেছে।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নয় বছরের উমায়ের খলিল সাংবাদিকদের বলেছে ভিন্ন গল্প। সে জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে তার পরিবার একটি গাড়িতে করে লাহোর থেকে যাচ্ছিল। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার বাবার বন্ধু। টোল বুথের সামনে তাদের গাড়িটি পুলিশ থামায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, উমায়ের বলছে, ‘আমার বাবা তাদের বলছিলেন, আমাদের অর্থ নিয়ে যাও, কিন্তু গুলি কোরো না। কিন্তু তারা গুলি করা শুরু করে।’
উমায়ের জানায়, তার বাবা-মা একটি মুদির দোকান চালাতেন। ঘটনাস্থলেই তার বাবা-মা, ১২ বছর বয়সী বোন ও বাবার বন্ধু মারা যান। এ ঘটনায় উমায়ের ও তাঁর দুই শিশু বোনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পুলিশ স্টেশনের কাছে পাওয়া যায়।
উমায়ের ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সেই ভিডিওচিত্র পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
পথচারীদের করা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ গাড়িটিতে গুলি করছে। তিন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করছে এবং শিশুদের নিয়ে গাড়িতে তোলার আগে ওই গাড়িতে আরও কয়েকটি গুলি করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির ভেতর চারজনের লাশ পড়ে আছে। যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তাঁর হাত তখনো স্টিয়ারিং ধরা অবস্থায় রয়েছে। চালকের পাশের আসনে একজনের মৃতদেহ। আর পেছনে একজন নারী ও কিশোরীর মৃতদেহ।
এসব ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তানের লোকজন।
পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটবার্তায় বলেন, বাবা-মাকে চোখের সামনে গুলি করতে দেখা ভীত–হতবিহ্বল শিশুদের দেখে তিনি শোকাহত। এ শিশুদের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রের।
আরেকটি টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, সবারই আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের প্রথম কাজ।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারাত বলেন, তদন্তের পর জঙ্গিবাদ দমনে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পাকিস্তানে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পাকিস্তানের পুলিশেও কয়েক বছর ধরে ভয়াবহ রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে। এই বাহিনী এখন শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার দাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, দেশের পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরে গেলে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে তাঁরা সুরক্ষিত থাকবেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় এনকাউন্টারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানে রাও আনোয়ার নামের করাচির একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের শুরুতে ‘জঙ্গি’ উল্লেখ করে নাকিবুল্লাহ মাশুদ নামের একজন উদীয়মান মডেলকে হত্যা করা হয়। নাকিবুল্লাহসহ আরও অনেকের হত্যার জন্য রাও আনোয়ারকে পুলিশের তদন্তে দোষী পাওয়া গেলেও তাঁকে কখনো বিচারের সম্মুখীন করা হয়নি।
অনেক পাকিস্তানি পুলিশের এমন নির্মমতায় বীতশ্রদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এসব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াও কঠিন। শনিবারের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে ইমরান খান সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।
শুরুতে পুলিশ জানায়, একজন সাবেক এমপির মার্কিন নাগরিক পুত্র অপহরণে সম্পৃক্ততা ছিল উমায়ের বাবা মোহাম্মদ খলিল, মা নাবিলা, বোন আরিবা ও বাবার বন্ধু জিশানের। তাঁরা ‘জঙ্গি’ ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভিডিওতে গাড়ির সঙ্গে কোনো মোটরবাইককে দেখা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের কোনো অস্ত্র ছিল বা পুলিশের ওপর তাঁরা হামলা চালিয়েছিল—এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গাড়িটিকে পেছন থেকে প্রথমে গুলি করেছিল পুলিশ। এ কারণে গাড়িটি ফুটপাতে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। এরপর পুলিশ গাড়িতে গুলিবর্ষণের আগে তিন শিশুকে টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়। এর কিছু পর আরেকটি পুলিশের গাড়ি যায় সেখানে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নেমে গুলি করা গাড়ি থেকে কয়েকটি লাগেজ নামিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
ওই গাড়িতে চারটি মরদেহ পড়ে থাকা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। সাধারণত, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তা নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও দেয়, আহত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুই করা হয়নি।
এ ঘটনায় এমন হইচই সত্ত্বেও পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, গাড়িচালক জিশান ‘তালিকাভুক্ত জঙ্গি’ ছিলেন।
এমনকি গতকাল জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সময়ও পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারাত পুলিশের অভিযানকে ‘শতভাগ সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গত শনিবার পাকিস্তানের লাহোরের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাহিওয়াল শহরে ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গি দমনে উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী দাবি করেছিল, নিহত চারজনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সম্পৃক্ততা ছিল। অন্য তিন ‘জঙ্গি’ মোটরবাইকে করে পালিয়ে গেছে।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নয় বছরের উমায়ের খলিল সাংবাদিকদের বলেছে ভিন্ন গল্প। সে জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে তার পরিবার একটি গাড়িতে করে লাহোর থেকে যাচ্ছিল। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার বাবার বন্ধু। টোল বুথের সামনে তাদের গাড়িটি পুলিশ থামায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, উমায়ের বলছে, ‘আমার বাবা তাদের বলছিলেন, আমাদের অর্থ নিয়ে যাও, কিন্তু গুলি কোরো না। কিন্তু তারা গুলি করা শুরু করে।’
উমায়ের জানায়, তার বাবা-মা একটি মুদির দোকান চালাতেন। ঘটনাস্থলেই তার বাবা-মা, ১২ বছর বয়সী বোন ও বাবার বন্ধু মারা যান। এ ঘটনায় উমায়ের ও তাঁর দুই শিশু বোনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পুলিশ স্টেশনের কাছে পাওয়া যায়।
উমায়ের ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সেই ভিডিওচিত্র পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
পথচারীদের করা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ গাড়িটিতে গুলি করছে। তিন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করছে এবং শিশুদের নিয়ে গাড়িতে তোলার আগে ওই গাড়িতে আরও কয়েকটি গুলি করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির ভেতর চারজনের লাশ পড়ে আছে। যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তাঁর হাত তখনো স্টিয়ারিং ধরা অবস্থায় রয়েছে। চালকের পাশের আসনে একজনের মৃতদেহ। আর পেছনে একজন নারী ও কিশোরীর মৃতদেহ।
এসব ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পাকিস্তানের লোকজন।
পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটবার্তায় বলেন, বাবা-মাকে চোখের সামনে গুলি করতে দেখা ভীত–হতবিহ্বল শিশুদের দেখে তিনি শোকাহত। এ শিশুদের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন রাষ্ট্রের।
আরেকটি টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, সবারই আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের প্রথম কাজ।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
গতকাল মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারাত বলেন, তদন্তের পর জঙ্গিবাদ দমনে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
পাকিস্তানে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পাকিস্তানের পুলিশেও কয়েক বছর ধরে ভয়াবহ রাজনৈতিকীকরণ হয়েছে। এই বাহিনী এখন শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার দাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, দেশের পরিস্থিতি অন্য দিকে ঘুরে গেলে সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে তাঁরা সুরক্ষিত থাকবেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় এনকাউন্টারের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানে রাও আনোয়ার নামের করাচির একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের শুরুতে ‘জঙ্গি’ উল্লেখ করে নাকিবুল্লাহ মাশুদ নামের একজন উদীয়মান মডেলকে হত্যা করা হয়। নাকিবুল্লাহসহ আরও অনেকের হত্যার জন্য রাও আনোয়ারকে পুলিশের তদন্তে দোষী পাওয়া গেলেও তাঁকে কখনো বিচারের সম্মুখীন করা হয়নি।
অনেক পাকিস্তানি পুলিশের এমন নির্মমতায় বীতশ্রদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এসব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়াও কঠিন। শনিবারের ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে ইমরান খান সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।
শুরুতে পুলিশ জানায়, একজন সাবেক এমপির মার্কিন নাগরিক পুত্র অপহরণে সম্পৃক্ততা ছিল উমায়ের বাবা মোহাম্মদ খলিল, মা নাবিলা, বোন আরিবা ও বাবার বন্ধু জিশানের। তাঁরা ‘জঙ্গি’ ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের ভিডিওতে গাড়ির সঙ্গে কোনো মোটরবাইককে দেখা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের কোনো অস্ত্র ছিল বা পুলিশের ওপর তাঁরা হামলা চালিয়েছিল—এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গাড়িটিকে পেছন থেকে প্রথমে গুলি করেছিল পুলিশ। এ কারণে গাড়িটি ফুটপাতে ধাক্কা খেয়ে থেমে যায়। এরপর পুলিশ গাড়িতে গুলিবর্ষণের আগে তিন শিশুকে টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়। এর কিছু পর আরেকটি পুলিশের গাড়ি যায় সেখানে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য নেমে গুলি করা গাড়ি থেকে কয়েকটি লাগেজ নামিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
ওই গাড়িতে চারটি মরদেহ পড়ে থাকা নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। সাধারণত, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তা নিরাপত্তাবেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও দেয়, আহত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুই করা হয়নি।
এ ঘটনায় এমন হইচই সত্ত্বেও পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, গাড়িচালক জিশান ‘তালিকাভুক্ত জঙ্গি’ ছিলেন।
এমনকি গতকাল জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সময়ও পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রাজা বাশারাত পুলিশের অভিযানকে ‘শতভাগ সঠিক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
No comments