রেজা কিবরিয়া ঐক্যফ্রন্টে: নির্বাচন করবেন হবিগঞ্জ-১ আসনে
সাবেক
অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া তনয় ড. রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের
হয়ে জাতীয় নির্বাচনে লড়বেন। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের
গণফোরামে যোগ দিয়েছেন তিনি। গণফোরামের হয়ে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়নপত্রও
নিয়েছেন। গতকাল বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকায় চলছে নতুন আলোচনা।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া
ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ বছর ধরে যেভাবে
দেশ পরিচালনা করছে, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। তার আদর্শের সঙ্গে মিল নেই।
নির্বাচনের ব্যাপারে ড. রেজা কিবরিয়া মানবজমিনকে বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন
ছিল নিজের এলাকা হবিগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচন করার। তাই আমি আগামী নির্বাচনে ড.
কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম থেকে এ আসনে নির্বাচন করবো- এটা
নিশ্চিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ২ বছর ক্ষমতায় ছিল। এসময় তারা ঠিকমতো তদন্ত করেনি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ পরবর্তী ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছুই করেনি। এলাকার বিরোধী দলের কিছু নেতাকর্মীকে তারা অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু মূল মদতদাতা যারা গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারেনি। টাকার বিনিময়ে মূল মদতদাতারা তদন্তের বাইরে রয়ে গেছে। যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এখন জনগণই বিচার করবে কার উপর বেশি দায় পড়ে। আর বিএনপি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে প্রমাণ ছাড়া আমি অবশ্যই তা বলতে পারি না। বাবার হত্যাকাণ্ডের পরও আমি বা আমার পরিবার কোনো দলকে দায়ী করে কোনো বক্তব্য দেইনি। আর আমার বাবা যে আওয়ামী লীগ করতেন বিগত ১০ বছর সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ দলে তেমন আদর্শ আমি খুঁজে পাইনি। বিএনপির সঙ্গে আদর্শিক কোনো মতবিরোধ হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ড. কামাল হোসেনের পরামর্শ ও আদর্শ অনুসরণ করে চলবো।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কিবরিয়া হত্যার দায়ে কারাবরণকারী হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ মানবজমিনকে বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছি। এ আন্দোলনে যারাই আমাদের সঙ্গে শরিক হবে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাই। আর এজন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে। আর আমার বিশ্বাস তার মতো গুণী লোক নির্বাচন করলে এলাকার মানুষ অবশ্যই সঠিক মূল্যায়ন করবে। এক্ষেত্রে তার বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। এ ছাড়া কিবরিয়া হত্যা মামলায় আমাদেরকে রেজা কিবরিয়া বা তার পরিবার আসামি করেনি। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, তারা চার্জশিট গ্রহণ করেনি। তাদেরকে চার্জশিট মানতে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের সরাসরি অভিযোগ থাকলে আমরা আরো ভয়ানক নির্যাতনের শিকার হতাম। আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করতে মামলায় আসামি করে নির্যাতন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সেই বিতর্কিত নেতা। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে কিবরিয়া হত্যায় জড়িত নেপথ্য নায়কদের বের করে সঠিকভাবে বিচার করবে।
ড. রেজা কিবরিয়ার ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গ্রেনেড হামলায় আহত অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আসলে আমি ভালো করে জানি না। আর আমি মনে করি এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার প্রার্থিতা ঘোষণায় হবিগঞ্জ-১ আসনে জটিল সমীকরণ দেখা দিয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৭ জন। মহাজোট প্রার্থী নিয়ে টেনশন থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল বিএনপি। দলের একক প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। হঠাৎ রেজা কিবরিয়াকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণায় সুজাত শিবিরে কিছুই হতাশা দেখা দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, কেন্দ্র থেকে দল এবং জোটের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত আসবে তারা তা মেনে নেবেন। এদিকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো রাজ্যের বিএনপি সভাপতি শাহ মোজাম্মেল নান্টু। এ ছাড়াও আরেক প্রবাসী (যুক্তরাজ্য) শেখ মহিউদ্দিন বিএনপির মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে একাধিকবার বিজয়ী হন তৃণমূল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দেওয়ান ফরিদ গাজী। নবম জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী ফরিদ গাজী ২০১১ সালে মারা যান। ওই বছরই অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে চমক দেখিয়ে বিজয়ী হন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। সামান্য ভোটে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। দেশব্যাপী আলোচিত ওই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েক ডজন জাতীয় নেতা প্রচারণায় অংশ নেন। জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এত কিছুর পরও জাপা মনোনীত প্রার্থী আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু নির্বাচনে হেরে যান।
আসন্ন নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী তনয় শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য আবদুুল মুকিত চৌধুরী, মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক, কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ২ বছর ক্ষমতায় ছিল। এসময় তারা ঠিকমতো তদন্ত করেনি।
কিন্তু আওয়ামী লীগ পরবর্তী ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও আমার বাবার হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছুই করেনি। এলাকার বিরোধী দলের কিছু নেতাকর্মীকে তারা অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু মূল মদতদাতা যারা গ্রেনেড সরবরাহ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে পারেনি। টাকার বিনিময়ে মূল মদতদাতারা তদন্তের বাইরে রয়ে গেছে। যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এখন জনগণই বিচার করবে কার উপর বেশি দায় পড়ে। আর বিএনপি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে প্রমাণ ছাড়া আমি অবশ্যই তা বলতে পারি না। বাবার হত্যাকাণ্ডের পরও আমি বা আমার পরিবার কোনো দলকে দায়ী করে কোনো বক্তব্য দেইনি। আর আমার বাবা যে আওয়ামী লীগ করতেন বিগত ১০ বছর সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ দলে তেমন আদর্শ আমি খুঁজে পাইনি। বিএনপির সঙ্গে আদর্শিক কোনো মতবিরোধ হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ড. কামাল হোসেনের পরামর্শ ও আদর্শ অনুসরণ করে চলবো।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কিবরিয়া হত্যার দায়ে কারাবরণকারী হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ মানবজমিনকে বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছি। এ আন্দোলনে যারাই আমাদের সঙ্গে শরিক হবে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাই। আর এজন্য আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে। আর আমার বিশ্বাস তার মতো গুণী লোক নির্বাচন করলে এলাকার মানুষ অবশ্যই সঠিক মূল্যায়ন করবে। এক্ষেত্রে তার বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। এ ছাড়া কিবরিয়া হত্যা মামলায় আমাদেরকে রেজা কিবরিয়া বা তার পরিবার আসামি করেনি। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, তারা চার্জশিট গ্রহণ করেনি। তাদেরকে চার্জশিট মানতে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের সরাসরি অভিযোগ থাকলে আমরা আরো ভয়ানক নির্যাতনের শিকার হতাম। আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করতে মামলায় আসামি করে নির্যাতন করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সেই বিতর্কিত নেতা। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে কিবরিয়া হত্যায় জড়িত নেপথ্য নায়কদের বের করে সঠিকভাবে বিচার করবে।
ড. রেজা কিবরিয়ার ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গ্রেনেড হামলায় আহত অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আসলে আমি ভালো করে জানি না। আর আমি মনে করি এ ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি ঘটে। এদিকে ড. রেজা কিবরিয়ার প্রার্থিতা ঘোষণায় হবিগঞ্জ-১ আসনে জটিল সমীকরণ দেখা দিয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৭ জন। মহাজোট প্রার্থী নিয়ে টেনশন থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল বিএনপি। দলের একক প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। হঠাৎ রেজা কিবরিয়াকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণায় সুজাত শিবিরে কিছুই হতাশা দেখা দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, কেন্দ্র থেকে দল এবং জোটের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত আসবে তারা তা মেনে নেবেন। এদিকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র শিকাগো রাজ্যের বিএনপি সভাপতি শাহ মোজাম্মেল নান্টু। এ ছাড়াও আরেক প্রবাসী (যুক্তরাজ্য) শেখ মহিউদ্দিন বিএনপির মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে একাধিকবার বিজয়ী হন তৃণমূল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দেওয়ান ফরিদ গাজী। নবম জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী ফরিদ গাজী ২০১১ সালে মারা যান। ওই বছরই অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে চমক দেখিয়ে বিজয়ী হন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া। সামান্য ভোটে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। দেশব্যাপী আলোচিত ওই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েক ডজন জাতীয় নেতা প্রচারণায় অংশ নেন। জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এত কিছুর পরও জাপা মনোনীত প্রার্থী আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু নির্বাচনে হেরে যান।
আসন্ন নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন, দেওয়ান ফরিদ গাজী তনয় শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্বাহী সদস্য আবদুুল মুকিত চৌধুরী, মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাপার সভাপতি শিল্পপতি আতিকুর রহমান আতিক, কেন্দ্রীয় জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু।
No comments