কিডনির বড় ক্ষতি হয় অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধে
মানব
শরীরের অভ্যন্তরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতিবছর কিডনি অকেজো হয়ে পঞ্চাশ লক্ষের বেশী
মানুষ মারা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগ প্রতিরোধ যোগ্য, তবে প্রয়োজন
সচেতনতা।
রাজধানীতে আয়োজিত 'কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য: প্রয়োজন সচেতনতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চাহিদার তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও সীমিত। তবে, কিডনি সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে তা চিকিৎসা করে নিরাময় করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনির ক্ষতি করে। সে জন্য বছরে দুইবার ইউরিন টেস্ট ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে কিডনির কী অবস্থা তা জানা দরকার।
কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, অনেক ডাক্তার রোগীকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। এতে জ্বর ভালো হলেও রোগীর কিডনি যে বিকল হয়ে যায় সেটা বোঝে না। কিডনি রোগকে ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে হারুন অর রশীদ বলেন, ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে হবে। আর কোনো ব্যথানাশক ওষুধ নিরাপদ নয়।
অধ্যাপক ডা. এম এ রহমান বলেন, প্রচুর পানি পান করলে কিডনি সমস্যা হয় না। পিপাসা লাগলে পানি পান করতে হবে। এছাড়া প্রস্রাব ধরে রাখা যাবে না। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাবার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
অধ্যাপক ডা. এম এ সালাম বলেন, অনেক সময় ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এতে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়, কিন্তু কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক চিকিৎসক প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া হলেও অ্যান্টিবায়োটিক দেন।এভাবে অসতর্কভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, অনেক হার্বাল মেডিসিন কিডনি বিকল করে দেয়। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনের পাশে খোলা খাবার পরিহার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিডনি রোগ শুরুতে ধরা পড়লে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বছরে দুইবার ইউরিন টেস্ট করলেই বোঝা যায় কিডনি ঠিকঠাক চলছে কী না। আর এই ইউরিন টেস্ট গ্রামাঞ্চলে হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকেও করা যায়।
রাজধানীতে আয়োজিত 'কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য: প্রয়োজন সচেতনতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। তারা আরও জানিয়েছেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চাহিদার তুলনায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও সীমিত। তবে, কিডনি সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে তা চিকিৎসা করে নিরাময় করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনির ক্ষতি করে। সে জন্য বছরে দুইবার ইউরিন টেস্ট ও সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করে কিডনির কী অবস্থা তা জানা দরকার।
কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, অনেক ডাক্তার রোগীকে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। জ্বর হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। এতে জ্বর ভালো হলেও রোগীর কিডনি যে বিকল হয়ে যায় সেটা বোঝে না। কিডনি রোগকে ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে হারুন অর রশীদ বলেন, ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে হবে। আর কোনো ব্যথানাশক ওষুধ নিরাপদ নয়।
অধ্যাপক ডা. এম এ রহমান বলেন, প্রচুর পানি পান করলে কিডনি সমস্যা হয় না। পিপাসা লাগলে পানি পান করতে হবে। এছাড়া প্রস্রাব ধরে রাখা যাবে না। তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাবার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
অধ্যাপক ডা. এম এ সালাম বলেন, অনেক সময় ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এতে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায়, কিন্তু কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক চিকিৎসক প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া হলেও অ্যান্টিবায়োটিক দেন।এভাবে অসতর্কভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, অনেক হার্বাল মেডিসিন কিডনি বিকল করে দেয়। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঙ্গনের পাশে খোলা খাবার পরিহার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিডনি রোগ শুরুতে ধরা পড়লে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বছরে দুইবার ইউরিন টেস্ট করলেই বোঝা যায় কিডনি ঠিকঠাক চলছে কী না। আর এই ইউরিন টেস্ট গ্রামাঞ্চলে হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকেও করা যায়।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও মুহাম্মদ রফিকুল আলম |
No comments