আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সমাচার by অনিম আরাফাত
সমপ্রতি
রাশিয়ার ভস্তক-২০১৮ সামরিক মহড়াটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটি
ছিল গত ৩০ বছরের মধ্যে দেশটির সব থেকে বড় সামরিক মহড়া। একে তুলনা করা
হচ্ছে ১৯৮১ সালে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন আয়োজিত জাপদ-১৯৮১ সামরিক
মহড়ার সঙ্গে। ভস্তক-২০১৮তে প্রায় তিন লক্ষাধিক রাশিয়ান সেনা অংশ নেয়।
রাশিয়ার আমন্ত্রণে সারা দিয়ে চীন ও মঙ্গোলিয়ার সেনারাও এই মহড়ায় যোগ
দিয়েছিল। তবে, পূর্ব সাইবেরিয়ায় অনুষ্ঠিত এ মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে
ন্যাটো। জোটটির দাবি বড় কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবেই রাশিয়া তার
অস্ত্রশস্ত্র শানিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা একে শুধু একটি সামরিক মহড়া
থেকেও বড় কিছু ভাবছেন। এই মহড়াকে রাশিয়া বিশ্বের কাছে নিজের আধুনিক সব
সমরাস্ত্র প্রদর্শনের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
ভস্তক-২০১৮ মহড়া চলাকালীন রাশিয়া পৃথিবীর আধুনিকতম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ প্রদর্শন করে। গত কয়েক বছরের হিসেবে রাশিয়ার সমরাস্ত্রগুলোর মধ্যে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চাহিদাই সর্বাধিক। এটি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আধুনিক রূপ। যেকোনো যুদ্ধে এর সক্ষমতার কারণে সৌদি আরব, চীন, ভারত, তুরস্ক ও কাতারের মতো বেশ কয়েকটি দেশ এস-৪০০ কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, যে দেশই রাশিয়ার এ অস্ত্র ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেসব দেশকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সরবরাহ করতে পারে এ রকম যেকোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকে এস-৪০০ অনেক বেশি আধুনিক।
এটির রাডার ও অন্যান্য সেন্সরগুলো অবিশ্বাস্য রকমের। এটি ৬শ’ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে শত্রু বিমান, মিসাইল, ড্রোন বা যেকোনো হুমকি শনাক্ত করতে পারে। এর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার দূরের টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম। এর সব থেকে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এস-৪০০ একইসঙ্গে একাধিক টার্গেট শনাক্ত করতে পারে এবং একইসঙ্গে প্রায় ৩৬টি টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম। এমনকি স্টিলথ যুদ্ধবিমান ধ্বংসেও ব্যাপক কার্যকরি এস-৪০০। এ ছাড়া এটি সহজেই পরিবহন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজনে কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলা চালিয়ে এটিকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব। দূরের লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি কাছের লক্ষ্যবস্তুতে হামলাতেও এস-৪০০ বেশ কার্যকর।
এর বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও এস-৪০০ ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এমনকি ন্যাটো সদস্য তুরস্কও এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আগস্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আঙ্কারা যত দ্রুত সম্ভব এস-৪০০ কিনতে চায়। তবে, রাশিয়া জানিয়েছে এর জন্য তুরস্ককে অন্তত ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ে তুরস্কের এ আগ্রহ রাজনৈতিক দিক থেকে দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে, এর বাইরেও দেশগুলো আশঙ্কা করছে এর পেছনে রাশিয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। তুরস্কে এস-৪০০ স্থাপন করলে দেশটিতে থাকা ন্যাটোর সার্বিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্বাভাবিকভাবেই রুশ পার্সোনালের দরকার পড়বে। রাশিয়ার পক্ষে তখন ন্যাটোর তথ্যভাণ্ডারে পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে। তবে, তুরস্কের দিক থেকে দেখলে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে বোঝাতে চাইছে তুরস্ক কারো কথায় উঠবস করবে না।
কিন্তু ভারত, সৌদি আরব ও কাতার ন্যাটো সদস্য নয়। তারপরেও এস-৪০০ কেনার চেষ্টা চালাতেই যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক হুমকির মুখে পড়তে হয় দেশগুলোকে। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, রাশিয়া থেকে বড় অর্থের কোনো অস্ত্র ক্রয় করলে সে দেশকে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে হবে। এস-৪০০ ক্রয়ের পর চীনকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। সমপ্রতি ভারতকেও অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেও দেশটি এস-৪০০ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যেকার সমপর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে এস-৪০০ ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষর করেছে ভারত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে নিয়ে ভাবছে না।
সৌদি আরব ও ভারতের মতো রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াশিংটন তাই এখনি এসব দেশের সঙ্গে সমপর্ক খারাপে ইচ্ছুক হবে না। তবে, সমরাস্ত্র বিক্রি থেকে রাশিয়ার বৈদেশিক আয় কমাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে। তাই হয়তো অন্যান্য দেশগুলোকে সাবধান করতে ভারতের উপর আংশিক অবরোধ আরোপ করতে পারে দেশটি।
কথা হচ্ছে, ভারতের মতো একটি রাষ্ট্র কেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমপর্কের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি নিচ্ছে? অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও ভারতের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সেনাবাহিনী। সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রে দেশটি পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। কিন্তু ভারত কখনো নির্দিষ্ট কোনো দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে না। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় রাষ্ট্রই ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে দেশটি একটি ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে, ভারতের রয়েছে রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনার কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা। তাই রুশ প্রযুক্তির প্রতি দেশটির এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া কিছুক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় করে।
এটিও রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার অন্যতম কারণ। তারপরেও সবকিছু ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসহায়ত্ব এখানে সপষ্ট। পৃথিবীজুড়ে রুশ অস্ত্রের চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলেছে। তেলের পর অস্ত্র বিক্রি থেকেই দেশটি সব থেকে বেশি বৈদেশিক আয় করে থাকে। তাই যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির গতি টেনে ধরতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু এস-৪০০ ব্যবস্থার বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট বাজার ও এ অস্ত্র পেতে দেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে চলেছে।
ভস্তক-২০১৮ মহড়া চলাকালীন রাশিয়া পৃথিবীর আধুনিকতম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ প্রদর্শন করে। গত কয়েক বছরের হিসেবে রাশিয়ার সমরাস্ত্রগুলোর মধ্যে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার চাহিদাই সর্বাধিক। এটি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আধুনিক রূপ। যেকোনো যুদ্ধে এর সক্ষমতার কারণে সৌদি আরব, চীন, ভারত, তুরস্ক ও কাতারের মতো বেশ কয়েকটি দেশ এস-৪০০ কেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, যে দেশই রাশিয়ার এ অস্ত্র ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সেসব দেশকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো সরবরাহ করতে পারে এ রকম যেকোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকে এস-৪০০ অনেক বেশি আধুনিক।
এটির রাডার ও অন্যান্য সেন্সরগুলো অবিশ্বাস্য রকমের। এটি ৬শ’ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে শত্রু বিমান, মিসাইল, ড্রোন বা যেকোনো হুমকি শনাক্ত করতে পারে। এর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার দূরের টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম। এর সব থেকে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এস-৪০০ একইসঙ্গে একাধিক টার্গেট শনাক্ত করতে পারে এবং একইসঙ্গে প্রায় ৩৬টি টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম। এমনকি স্টিলথ যুদ্ধবিমান ধ্বংসেও ব্যাপক কার্যকরি এস-৪০০। এ ছাড়া এটি সহজেই পরিবহন করা যায়। অর্থাৎ প্রয়োজনে কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলা চালিয়ে এটিকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব। দূরের লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি কাছের লক্ষ্যবস্তুতে হামলাতেও এস-৪০০ বেশ কার্যকর।
এর বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও এস-৪০০ ক্রয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এমনকি ন্যাটো সদস্য তুরস্কও এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আগস্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, আঙ্কারা যত দ্রুত সম্ভব এস-৪০০ কিনতে চায়। তবে, রাশিয়া জানিয়েছে এর জন্য তুরস্ককে অন্তত ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ে তুরস্কের এ আগ্রহ রাজনৈতিক দিক থেকে দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে, এর বাইরেও দেশগুলো আশঙ্কা করছে এর পেছনে রাশিয়ার অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। তুরস্কে এস-৪০০ স্থাপন করলে দেশটিতে থাকা ন্যাটোর সার্বিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে। এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্বাভাবিকভাবেই রুশ পার্সোনালের দরকার পড়বে। রাশিয়ার পক্ষে তখন ন্যাটোর তথ্যভাণ্ডারে পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে। তবে, তুরস্কের দিক থেকে দেখলে, দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে বোঝাতে চাইছে তুরস্ক কারো কথায় উঠবস করবে না।
কিন্তু ভারত, সৌদি আরব ও কাতার ন্যাটো সদস্য নয়। তারপরেও এস-৪০০ কেনার চেষ্টা চালাতেই যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক হুমকির মুখে পড়তে হয় দেশগুলোকে। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, রাশিয়া থেকে বড় অর্থের কোনো অস্ত্র ক্রয় করলে সে দেশকে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে হবে। এস-৪০০ ক্রয়ের পর চীনকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। সমপ্রতি ভারতকেও অর্থনৈতিক অবরোধের হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেও দেশটি এস-৪০০ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যেকার সমপর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে এস-৪০০ ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষর করেছে ভারত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে নিয়ে ভাবছে না।
সৌদি আরব ও ভারতের মতো রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াশিংটন তাই এখনি এসব দেশের সঙ্গে সমপর্ক খারাপে ইচ্ছুক হবে না। তবে, সমরাস্ত্র বিক্রি থেকে রাশিয়ার বৈদেশিক আয় কমাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে। তাই হয়তো অন্যান্য দেশগুলোকে সাবধান করতে ভারতের উপর আংশিক অবরোধ আরোপ করতে পারে দেশটি।
কথা হচ্ছে, ভারতের মতো একটি রাষ্ট্র কেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমপর্কের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি নিচ্ছে? অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও ভারতের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সেনাবাহিনী। সমরাস্ত্রের ক্ষেত্রে দেশটি পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। কিন্তু ভারত কখনো নির্দিষ্ট কোনো দেশ থেকে অস্ত্র ক্রয় করে না। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় রাষ্ট্রই ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে দেশটি একটি ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে, ভারতের রয়েছে রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনার কয়েক যুগের অভিজ্ঞতা। তাই রুশ প্রযুক্তির প্রতি দেশটির এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া কিছুক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় করে।
এটিও রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার অন্যতম কারণ। তারপরেও সবকিছু ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অসহায়ত্ব এখানে সপষ্ট। পৃথিবীজুড়ে রুশ অস্ত্রের চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলেছে। তেলের পর অস্ত্র বিক্রি থেকেই দেশটি সব থেকে বেশি বৈদেশিক আয় করে থাকে। তাই যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির গতি টেনে ধরতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু এস-৪০০ ব্যবস্থার বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট বাজার ও এ অস্ত্র পেতে দেশগুলোর ব্যাপক আগ্রহই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে চলেছে।
No comments