তুরস্কে সৌদি সরকার বিরোধী সাংবাদিক নিহতের আশঙ্কা: সন্দেহের তীর রিয়াদের দিকে
সৌদি
আরবের সরকার বিরোধী নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগ ইস্তাম্বুলে সৌদি
কনস্যুলেটের ভেতর নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে তুর্কি কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছে।
তুর্কি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি
কনস্যুলেটে ওই সাংবাদিককে হত্যা করা হতে পারে।
সৌদি আরবের এই সাংবাদিক গত মঙ্গলবার বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি আর বের হয়ে না আসায় তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে সাংবাদিক জামাল খাশোগি কনস্যুলেট ত্যাগ করে চলে গেছেন কিন্তু তুরস্ক সরকার বলছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ওই ভবন থেকে আর বের হননি।
কোনো কোনো সংবাদ সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের সরকার বিরোধী নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ব্যাপক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরবে এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে এবং এ কারণে গ্রেফতার এড়াতে তিনি সৌদি আরবের বাইরে জীবন যাপন করছেন।
জামাল খাশোগি ২০০৩ সালে সৌদি গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আল ওয়াতান পত্রিকার সম্পাদকীয়র পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর ২০১০ সালে তিনি ফের পত্রিকার কাজে যোগ দিলে তাকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকে তিনি আরবি ভাষায় প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতার কাজ করতেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় সৌদি আরব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় এবং গত মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের সূত্রগুলো যদিও দাবি করছে জামাল খাশোগি সৌদি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন কিন্তু অন্য কেউই এমনকি বাইরে অপেক্ষমাণ তার বাগদত্তাও তাকে বেরিয়ে যেতে দেখেননি। তুরস্কের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও সৌদি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের একটি ঘাতক বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন এবং হত্যার পরই তাকে কনস্যুলেট থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ থেকে বোঝা যায়, তুরস্কসহ আরো বহু দেশে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটগুলো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কারণ এর আগেও এ ধরণের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উগ্র সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের কারণে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মহল বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেলফোর কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক নাওয়াফ ওবাইদ সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে এক নিবন্ধে লিখেছেন, "সৌদি সরকার সন্ত্রাসীদের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও দেশটির কংগ্রেসের প্রতিবেদনেও সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই সব প্রতিবেদনে সৌদি আরবের হাত থাকা সংক্রান্ত তথ্যগুলো গায়েব করে দেয়া হয়েছিল।
যাইহোক, জামাল খাশোগিকে হত্যার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় নিজ কূটনৈতিক মিশনগুলোতে সৌদি আরবের গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে নীরবতা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
সৌদি আরবের এই সাংবাদিক গত মঙ্গলবার বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতে ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। কিন্তু সেখান থেকে তিনি আর বের হয়ে না আসায় তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে সাংবাদিক জামাল খাশোগি কনস্যুলেট ত্যাগ করে চলে গেছেন কিন্তু তুরস্ক সরকার বলছে, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি ওই ভবন থেকে আর বের হননি।
কোনো কোনো সংবাদ সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরবের সরকার বিরোধী নিখোঁজ সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ব্যাপক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরবে এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে এবং এ কারণে গ্রেফতার এড়াতে তিনি সৌদি আরবের বাইরে জীবন যাপন করছেন।
জামাল খাশোগি ২০০৩ সালে সৌদি গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আল ওয়াতান পত্রিকার সম্পাদকীয়র পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর ২০১০ সালে তিনি ফের পত্রিকার কাজে যোগ দিলে তাকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকে তিনি আরবি ভাষায় প্রকাশিত অন্যান্য দৈনিক ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতার কাজ করতেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় সৌদি আরব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় এবং গত মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের সূত্রগুলো যদিও দাবি করছে জামাল খাশোগি সৌদি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে গেছেন কিন্তু অন্য কেউই এমনকি বাইরে অপেক্ষমাণ তার বাগদত্তাও তাকে বেরিয়ে যেতে দেখেননি। তুরস্কের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও সৌদি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি। সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের একটি ঘাতক বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন এবং হত্যার পরই তাকে কনস্যুলেট থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ থেকে বোঝা যায়, তুরস্কসহ আরো বহু দেশে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটগুলো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কারণ এর আগেও এ ধরণের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উগ্র সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের কারণে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মহল বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেলফোর কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক নাওয়াফ ওবাইদ সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে এক নিবন্ধে লিখেছেন, "সৌদি সরকার সন্ত্রাসীদের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা ও দেশটির কংগ্রেসের প্রতিবেদনেও সন্ত্রাসীদের প্রতি সৌদি সমর্থনের বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই সব প্রতিবেদনে সৌদি আরবের হাত থাকা সংক্রান্ত তথ্যগুলো গায়েব করে দেয়া হয়েছিল।
যাইহোক, জামাল খাশোগিকে হত্যার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় নিজ কূটনৈতিক মিশনগুলোতে সৌদি আরবের গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেখানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে নীরবতা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।
No comments