আপত্তি অগ্রাহ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করলেন প্রেসিডেন্ট
অংশীজনের
তীব্র আপত্তি ও বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্বেগ অগ্রাহ্য করেই
আইনে পরিণত হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল। বিলটিতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল
হামিদ সই করায় এটি আইনে পরিণত হলো। গতকাল সংসদ সচিবালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত
করা হয়। এর আগে গত সপ্তাহে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে পাস হওয়া
বিলগুলো সম্মতির জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠান। সাংবাদিকসহ অংশীজনদের
আপত্তি উপেক্ষা করে ১৯শে সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা
বিল ২০১৮। বিলটি পাস না করতে সাংবাদিক এবং অংশীজনের পক্ষ থেকে আহ্বান
জানানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টের প্রতি। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাও এই
আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হবে উল্লেখ করে তা পাস না করার আহ্বান
জানায়।
আপত্তি উপেক্ষা করে বিল পাসের প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিলেও তথ্যমন্ত্রীর আলোচনার আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়।
আইনটি পাস হওয়ায় এখন আলোচনায়ও কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তথ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবাদিকদের আপত্তির বিষয়টি গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার কথা থাকলেও এ আইনের বিষয় বৈঠকে উঠেনি।
গত ২৯শে জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। তখন থেকেই আইনটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়। এ ছাড়া, ১০টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা আইনের ২১, ২৮, ৩২ ও ২৫ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি। কমিটি প্রতিবেদন দিতে তৃতীয় দফায় ১১ই সেপ্টেম্বর এক মাসের সময় নিয়েছিল। ১৭ই সেপ্টেম্বর তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করে। ওই প্রতিবেদনে অংশীজনদের মতামতের তেমন কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
ব্যাপক সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা তথ্যপ্রযুক্তি আইন থেকে সরিয়ে সেগুলো আরো বিশদ আকারে যুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এসব বিতর্কিত ধারার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংসদে আইনটি পাসের পরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংস্থা এতে সই না করার জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আপত্তি উপেক্ষা করে বিল পাসের প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের কয়েকটি সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিলেও তথ্যমন্ত্রীর আলোচনার আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়।
আইনটি পাস হওয়ায় এখন আলোচনায়ও কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। তথ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবাদিকদের আপত্তির বিষয়টি গতকালের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার কথা থাকলেও এ আইনের বিষয় বৈঠকে উঠেনি।
গত ২৯শে জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। তখন থেকেই আইনটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা নিয়ে আপত্তি জানায়। এ ছাড়া, ১০টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা আইনের ২১, ২৮, ৩২ ও ২৫ ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। সম্পাদক পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় কমিটি। কমিটি প্রতিবেদন দিতে তৃতীয় দফায় ১১ই সেপ্টেম্বর এক মাসের সময় নিয়েছিল। ১৭ই সেপ্টেম্বর তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন সংসদে উত্থাপন করে। ওই প্রতিবেদনে অংশীজনদের মতামতের তেমন কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
ব্যাপক সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা তথ্যপ্রযুক্তি আইন থেকে সরিয়ে সেগুলো আরো বিশদ আকারে যুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এসব বিতর্কিত ধারার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে আইনটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সংসদে আইনটি পাসের পরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংস্থা এতে সই না করার জন্য প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
No comments