দেশে রাসায়নিক অস্ত্র ঢুকতেছে
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক
জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, ‘মানুষ
বলে এতিমের টাকা চুরি কইরা খালেদা জিয়া জেলে গেছে। আমি বলি না। এতোগুলো
মানুষরে পোড়াইয়া মারছে সেই পাপ আছে না? পাপ বাপেরেও ছাড়ে না। নিজের ছেলে
কোকো যখন মারা গেছে তখন কান্নায় ভেঙে পড়ছে। কিন্তু মানুষের ছেলেরে মারছে
ভাইবা দেখেন নাই। এখন মায় জেলে আছে আর ছেলে বিদেশে বইসা হুকুম দিতেছে। এই
মাসের শেষের দিকে শুরু হবে আবার সন্ত্রাসের রাজনীতি। দেশে রাসায়নিক অস্ত্র
ঢুকতেছে।
আবার আরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তারা। রোববার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের বাঘপাড়া এলাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি জ্যান্ত মানুষের গায়ে আগুন জ্বালাইয়া দিছে। মানুষ তো মানুষ, গরুরেও আগুনে পোড়াইয়া মারছে। এটা কেমন রাজনীতি। নিজেকে রাজনীতিবিদ বলতে লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত কয়দিন আমারে বাঁচতে দিবো আমি জানি না। বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলতেছে, আমারে মারার চেষ্টা করতেছে। মারলে মারুক, মারার মালিক তো আল্লাহ।
মরে গেলে তো মরেই গেলাম। আর যদি মরে না যাই তো আগামী দেড়-দুই বছরের মধ্যে ডেমরা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হাতিরঝিল থেকেও সুন্দর হবে। ঢাকা থেকে মানুষ দেখতে আইবো। আমার কাছে নারায়ণগঞ্জ মানেই পুরো বাংলাদেশ। শামীম ওসমান বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপির যারা ভালো আছেন আপনাদের জন্য দরজা খোলা আছে। আসেন, আমরা আপনাদের সম্মান দেবো। তিনি বলেন, আপনারা কেউ যদি মনে করেন অতীতের মতো আবারো কিছু করবেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। পারবেন না কারণ, জনগণ এবার আপনাদের ছাড় দিবে না। আমি আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন, ভবিষ্যতেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিচ্ছু করতে পারবে না ওরা।
যাদের হাতে এতো রক্ত, তাদের আল্লাহ ছাড় দিবেন না। তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত কোন এলাকায় গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাই নাই। ভোট ভিক্ষা চাওয়া খুব লজ্জার। নৌকায় ভোট চাইতে হবে না। আপনার বিবেক আছে। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেন, দেশটাকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চান নাকি দেশের ধ্বংস চান। যার গুলশান, বনানীতে বাড়ি আছে তার এমপি না হইলেও চলবে। সমস্যাটা আপনার, আমার না। উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিবেন। ভালো লাগলে ভোট দিবেন, না লাগলে দিবেন না। শামীম ওসমান বলেন, আমি এলাকার সমস্ত ইয়াং ছেলেমেয়েদের কাছে মাফ চাই। আমি লজ্জিত। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই, আমি কাজ করছি, আগামীতেও করবো। কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। সাত হাজার চারশো কোটি টাকার কাজ, অনেক কাজ জানি। কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। আমি দুনিয়ার অনেক দেশ দেখছি। নিজের মেয়েকে ভর্তি করাইছি বিদেশে। কাছের দেশ মালয়েশিয়ার পরিবেশ দেখলাম। আমার দেশে আমরা এমনটা করবো না?
ওদের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ করে দেবো না? আমি ওয়াদা করছি, যদি শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন আর আমি ক্ষমতায় আসি তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ এলাকা এমন বানাবো যেন, ঢাকার ছেলেমেয়েরা নারায়ণগঞ্জে পড়তে আসবে। এই এলাকায় সবচেয়ে উন্নত মানের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে না। চিকিৎসার জন্য টপ ক্লাস মেডিকেল হাসপাতাল এন্ড কলেজ আমি বানাবো।’
নাসিক ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক মো. ইফতেখার আলম খোকনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক ও নাসিক প্যানেল মেয়র-২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহ্সানুল হক নিপু প্রমুখ।
আবার আরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তারা। রোববার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের বাঘপাড়া এলাকায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি জ্যান্ত মানুষের গায়ে আগুন জ্বালাইয়া দিছে। মানুষ তো মানুষ, গরুরেও আগুনে পোড়াইয়া মারছে। এটা কেমন রাজনীতি। নিজেকে রাজনীতিবিদ বলতে লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত কয়দিন আমারে বাঁচতে দিবো আমি জানি না। বিভিন্ন সংস্থা থেকে বলতেছে, আমারে মারার চেষ্টা করতেছে। মারলে মারুক, মারার মালিক তো আল্লাহ।
মরে গেলে তো মরেই গেলাম। আর যদি মরে না যাই তো আগামী দেড়-দুই বছরের মধ্যে ডেমরা থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা হাতিরঝিল থেকেও সুন্দর হবে। ঢাকা থেকে মানুষ দেখতে আইবো। আমার কাছে নারায়ণগঞ্জ মানেই পুরো বাংলাদেশ। শামীম ওসমান বিএনপির নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপির যারা ভালো আছেন আপনাদের জন্য দরজা খোলা আছে। আসেন, আমরা আপনাদের সম্মান দেবো। তিনি বলেন, আপনারা কেউ যদি মনে করেন অতীতের মতো আবারো কিছু করবেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। পারবেন না কারণ, জনগণ এবার আপনাদের ছাড় দিবে না। আমি আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন, ভবিষ্যতেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিচ্ছু করতে পারবে না ওরা।
যাদের হাতে এতো রক্ত, তাদের আল্লাহ ছাড় দিবেন না। তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত কোন এলাকায় গিয়ে ভোট ভিক্ষা চাই নাই। ভোট ভিক্ষা চাওয়া খুব লজ্জার। নৌকায় ভোট চাইতে হবে না। আপনার বিবেক আছে। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করেন, দেশটাকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চান নাকি দেশের ধ্বংস চান। যার গুলশান, বনানীতে বাড়ি আছে তার এমপি না হইলেও চলবে। সমস্যাটা আপনার, আমার না। উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিবেন। ভালো লাগলে ভোট দিবেন, না লাগলে দিবেন না। শামীম ওসমান বলেন, আমি এলাকার সমস্ত ইয়াং ছেলেমেয়েদের কাছে মাফ চাই। আমি লজ্জিত। আমি আপনাদের কাছে বলতে চাই, আমি কাজ করছি, আগামীতেও করবো। কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। সাত হাজার চারশো কোটি টাকার কাজ, অনেক কাজ জানি। কিন্তু আমার স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। আমি দুনিয়ার অনেক দেশ দেখছি। নিজের মেয়েকে ভর্তি করাইছি বিদেশে। কাছের দেশ মালয়েশিয়ার পরিবেশ দেখলাম। আমার দেশে আমরা এমনটা করবো না?
ওদের জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ করে দেবো না? আমি ওয়াদা করছি, যদি শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হন আর আমি ক্ষমতায় আসি তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ এলাকা এমন বানাবো যেন, ঢাকার ছেলেমেয়েরা নারায়ণগঞ্জে পড়তে আসবে। এই এলাকায় সবচেয়ে উন্নত মানের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় হবে। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে না। চিকিৎসার জন্য টপ ক্লাস মেডিকেল হাসপাতাল এন্ড কলেজ আমি বানাবো।’
নাসিক ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক মো. ইফতেখার আলম খোকনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক ও নাসিক প্যানেল মেয়র-২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মতিউর রহমান মতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহ্সানুল হক নিপু প্রমুখ।
No comments