আশুরাই ইয়েমেনিদের সাড়ে তিন বছরের সফল প্রতিরোধের রহস্য
আগ্রাসীদের শিক্ষা দেয়ার দৃঢ় শপথ নিয়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও সা'দা শহরে আশুরার মিছিলে অংশ নিয়েছেন লাখ লাখ ইয়েমেনি।
তারা বলেছেন, ইমাম হুসাইন (আ) মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মহান প্রতিরোধ সংগ্রামের নেতা এবং ইয়েমেনে জনগণ বীরত্ব, দৃঢ়তা ও কঠিন সংকল্পের প্রেরণা নেয় মহান আশুরা থেকে।
ইতিহাসের নানা ঘটনা-প্রবাহ থেকে স্পষ্ট কারবালার তথা আশুরার মহাবিপ্লব প্রায় ১৪০০ বছর পরও মানবজাতির জন্য সংগ্রামের অনুপম ও সর্বজনীন আদর্শ হয়ে বিরাজ করছে। ইমাম হুসাইনের (আ) প্রতি ভালবাসা ও আশুরার সংস্কৃতি মানব-প্রজন্মগুলোর কাছে পেয়েছে চিরস্থায়িত্ব। আশুরার সংস্কৃতি ও বিপ্লবকে আঁকড়ে ধরেই ইয়েমেনের জনগণ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি-নেতৃত্বাধীন ও পশ্চিমা মদদপুষ্ট বহুজাতিক বাহিনীর আগ্রাসন মোকাবেলা করছে। বিশ্ববাসীও ইয়েমেনি জনগণের প্রতিরোধ-আন্দোলনের রহস্য সম্পর্কে বিস্মিত।
যে কোনো আধিপত্যকামিতার মোকাবেলায় স্বাধীনচেতা মনোভাব বা মুক্তিকামিতা ইয়েমেনি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। আর এরই আলোকে তারা স্বৈরশাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। খাঁটি মুহাম্মাদি ইসলাম বা বিশ্বনবীর (সা) আহলে বাইতপন্থীদের এই আদর্শকে সব সময়ই মধ্যপ্রাচ্যে নিজস্ব আধিপত্য বিস্তারের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখে আসছে পশ্চিমা, মার্কিন ও সৌদি শাসকগোষ্ঠী। তাই এ অঞ্চলের মুক্তিকামী জনগণকে প্রতিরোধের আদর্শ থেকে দূরে রাখার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে এইসব জালিম ও তাগুতি সরকার।
কিন্তু এ অঞ্চলে আশুরার কালজয়ী ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি দিনকে দিন জোরদার হচ্ছে। এই আদর্শের কল্যাণে স্বাধীনচেতা মুসলমানরা খোদাদ্রোহী ও জালিম শক্তির ব্যাপারে নীরব থাকা বা এইসব শক্তির সহযোগী হওয়াকে লজ্জাজনক বলে মনে করেন। আশুরার বিশ্বজনীন সংস্কৃতির লালনকারীরা মনে করেন সম্মানজনক মৃত্যুই গৌরবময় জীবনের সূচনা করে এবং খোদাদ্রোহী ও জালিম শক্তিগুলোকে দমনের জন্য সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।
এটা স্পষ্ট যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সেবাদাস সৌদি শাসকগোষ্ঠী এবং তার সব সহযোগী বা লেজুড় শক্তিগুলো তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে নির্বিচার হামলা চালানোর পরও রাজনৈতিক, সামরিক ও নৈতিক দিক থেকে হয়েছে পরাজিত। অথচ এইসব শাসকগোষ্ঠী ভেবেছিল খুব দ্রুত ইয়েমেন দখল করে সেখানে জনপ্রিয় আনাসারুল্লাহ আন্দোলনের সমর্থিত বিপ্লবী সরকারকে সরিয়ে দিয়ে তাদের পুতুল হিসেবে সক্রিয় পদত্যাগী ও পলাতক মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে। প্রতিরোধের পাশাপাশি ইয়েমেনিরা সৌদির ভেতরেও প্রায়ই বড় ধরনের আঘাত হানছে।
আসলে ইয়েমেন বিরোধী জোটের আশুরার প্রেরণায় উজ্জীবিত ইয়েমেনি জনগণের ব্যাপক শক্তিকে বুঝতে পারেনি। অর্থ ও সামরিক শক্তির দিক থেকে পশ্চিমা মদদপুষ্ট সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের চেয়ে শত-সহস্র গুণ বেশি সুবিধার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ঈমানের শক্তি না থাকায় তারা ক্রমেই ইয়েমেনের চোরাবালিতে আটকা পড়ছে এবং লজ্জাজনক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তারা বলেছেন, ইমাম হুসাইন (আ) মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মহান প্রতিরোধ সংগ্রামের নেতা এবং ইয়েমেনে জনগণ বীরত্ব, দৃঢ়তা ও কঠিন সংকল্পের প্রেরণা নেয় মহান আশুরা থেকে।
ইতিহাসের নানা ঘটনা-প্রবাহ থেকে স্পষ্ট কারবালার তথা আশুরার মহাবিপ্লব প্রায় ১৪০০ বছর পরও মানবজাতির জন্য সংগ্রামের অনুপম ও সর্বজনীন আদর্শ হয়ে বিরাজ করছে। ইমাম হুসাইনের (আ) প্রতি ভালবাসা ও আশুরার সংস্কৃতি মানব-প্রজন্মগুলোর কাছে পেয়েছে চিরস্থায়িত্ব। আশুরার সংস্কৃতি ও বিপ্লবকে আঁকড়ে ধরেই ইয়েমেনের জনগণ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি-নেতৃত্বাধীন ও পশ্চিমা মদদপুষ্ট বহুজাতিক বাহিনীর আগ্রাসন মোকাবেলা করছে। বিশ্ববাসীও ইয়েমেনি জনগণের প্রতিরোধ-আন্দোলনের রহস্য সম্পর্কে বিস্মিত।
যে কোনো আধিপত্যকামিতার মোকাবেলায় স্বাধীনচেতা মনোভাব বা মুক্তিকামিতা ইয়েমেনি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ। আর এরই আলোকে তারা স্বৈরশাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। খাঁটি মুহাম্মাদি ইসলাম বা বিশ্বনবীর (সা) আহলে বাইতপন্থীদের এই আদর্শকে সব সময়ই মধ্যপ্রাচ্যে নিজস্ব আধিপত্য বিস্তারের পথে বড় বাধা হিসেবে দেখে আসছে পশ্চিমা, মার্কিন ও সৌদি শাসকগোষ্ঠী। তাই এ অঞ্চলের মুক্তিকামী জনগণকে প্রতিরোধের আদর্শ থেকে দূরে রাখার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে এইসব জালিম ও তাগুতি সরকার।
কিন্তু এ অঞ্চলে আশুরার কালজয়ী ত্যাগ-তিতিক্ষা ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি দিনকে দিন জোরদার হচ্ছে। এই আদর্শের কল্যাণে স্বাধীনচেতা মুসলমানরা খোদাদ্রোহী ও জালিম শক্তির ব্যাপারে নীরব থাকা বা এইসব শক্তির সহযোগী হওয়াকে লজ্জাজনক বলে মনে করেন। আশুরার বিশ্বজনীন সংস্কৃতির লালনকারীরা মনে করেন সম্মানজনক মৃত্যুই গৌরবময় জীবনের সূচনা করে এবং খোদাদ্রোহী ও জালিম শক্তিগুলোকে দমনের জন্য সব ধরনের সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।
এটা স্পষ্ট যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সেবাদাস সৌদি শাসকগোষ্ঠী এবং তার সব সহযোগী বা লেজুড় শক্তিগুলো তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে নির্বিচার হামলা চালানোর পরও রাজনৈতিক, সামরিক ও নৈতিক দিক থেকে হয়েছে পরাজিত। অথচ এইসব শাসকগোষ্ঠী ভেবেছিল খুব দ্রুত ইয়েমেন দখল করে সেখানে জনপ্রিয় আনাসারুল্লাহ আন্দোলনের সমর্থিত বিপ্লবী সরকারকে সরিয়ে দিয়ে তাদের পুতুল হিসেবে সক্রিয় পদত্যাগী ও পলাতক মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে। প্রতিরোধের পাশাপাশি ইয়েমেনিরা সৌদির ভেতরেও প্রায়ই বড় ধরনের আঘাত হানছে।
আসলে ইয়েমেন বিরোধী জোটের আশুরার প্রেরণায় উজ্জীবিত ইয়েমেনি জনগণের ব্যাপক শক্তিকে বুঝতে পারেনি। অর্থ ও সামরিক শক্তির দিক থেকে পশ্চিমা মদদপুষ্ট সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনের চেয়ে শত-সহস্র গুণ বেশি সুবিধার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ঈমানের শক্তি না থাকায় তারা ক্রমেই ইয়েমেনের চোরাবালিতে আটকা পড়ছে এবং লজ্জাজনক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
No comments