রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ১৫০০ লার্নিং সেন্টার হচ্ছে by নূর মোহাম্মদ
রোহিঙ্গা
শিশুদের জন্য কক্সবাজারে ১৫০০ লার্নিং সেন্টার হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের
অর্থায়ন ও বর্তমানে আনন্দ স্কুলের আদলে এসব সেন্টার স্থাপন হবে। এসব
সেন্টারে রোহিঙ্গা শিশুদের রাখাইন ও ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা দেয়া হবে। এজন্য
বিশ্বব্যাংক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে। পুরো শিক্ষা কার্যক্রমটি
পরিচালনা করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সের
৬০ হাজার শিশু রয়েছে। লার্নিং সেন্টারে শিশুদের আনন্দ দিতে টেলিভিশনসহ
বিভিন্ন সামগ্রী থাকবে। শিশুদের আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে এ
উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে শিশুশ্রমে তারা জড়িত না হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ
দেবে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিসেফ। তবে কোনো ভাবেই রোহিঙ্গা শিশুদের
বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে না। রস্ক প্রকল্পের
মাধ্যমে দেশীয় এনজিও’র মাধ্যমে স্কুলগুলো পরিচালনা করা হবে। গত ২৯শে আগস্ট
প্রকল্পের প্রি একনেক হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি
হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলমান রস্ক (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) প্রকল্প মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। সেখানে বিশ্ব ব্যাংক আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ৭শ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে। এ টাকা প্রথমে তারা ঋণ হিসেবে দিতে চেয়েছিল। আমরা রাজি হইনি। কারণ রোহিঙ্গা আসার কারণ কক্সবাজারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা দিতে হলে অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিতে হবে। অনুদানের অর্ধেক টাকা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষায় খরচ করা হবে। বাকি টাকা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণে ব্যয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিশ্ব ব্যাংক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।
এনজিও মনোনয়নের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা যাচাই-বাছাই করে এনজিও মনোনয়ন দেয়া হবে। যাতে করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার আড়ালে অন্য কিছু না করে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর নজরদারি করবো।
এদিকে পাঁচ বছর মেয়াদি রস্ক প্রকল্পের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির পরেও প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ শতভাগ খরচ করতে পারেনি। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অদক্ষতাই এর জন্য দায়ী বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এরপরেও প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পের ২৪ কোটি টাকা খরচ হয়নি। রস্ক প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত স্কুলের শেষ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্প বন্ধ করে দিলে এসব শিশু কোথায় পড়বে? এ বিবেচনায় প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। অর্থ খরচ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের শুরুতে স্কুল নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনেক স্কুল আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এসব স্কুলের জন্য বরাদ্দ অর্থ রয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলমান রস্ক (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) প্রকল্প মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। সেখানে বিশ্ব ব্যাংক আরো ২৫ মিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ৭শ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে। এ টাকা প্রথমে তারা ঋণ হিসেবে দিতে চেয়েছিল। আমরা রাজি হইনি। কারণ রোহিঙ্গা আসার কারণ কক্সবাজারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। আমরা বলেছি, রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা দিতে হলে অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিতে হবে। অনুদানের অর্ধেক টাকা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষায় খরচ করা হবে। বাকি টাকা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট নির্মাণে ব্যয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বিশ্ব ব্যাংক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে।
এনজিও মনোনয়নের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তালিকা যাচাই-বাছাই করে এনজিও মনোনয়ন দেয়া হবে। যাতে করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার আড়ালে অন্য কিছু না করে। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর নজরদারি করবো।
এদিকে পাঁচ বছর মেয়াদি রস্ক প্রকল্পের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির পরেও প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ শতভাগ খরচ করতে পারেনি। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের অদক্ষতাই এর জন্য দায়ী বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এরপরেও প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি স্বীকার করে অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রকল্পের ২৪ কোটি টাকা খরচ হয়নি। রস্ক প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচালিত স্কুলের শেষ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্প বন্ধ করে দিলে এসব শিশু কোথায় পড়বে? এ বিবেচনায় প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। অর্থ খরচ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের শুরুতে স্কুল নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়েছে। অনেক স্কুল আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এসব স্কুলের জন্য বরাদ্দ অর্থ রয়ে গেছে।
No comments