‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিন’ এর পার্থক্য বোঝে না প্রাথমিকের শতভাগ শিক্ষার্থী?
প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়কমন্ত্রীসহ অতিথিরা |
প্রাথমিকের
শতভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিন’ এর পার্থক্য নির্ণয় করতে
পারে না বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব
গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। তিনি আরও দাবি করেন, প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২০ শতাংশ
শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় নিজের নাম-ঠিকানা লিখতে পারে না।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যোগাযোগ ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয়ক কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন,‘সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন জেলার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ওপর নিরীক্ষা চালিয়েছি। নিরীক্ষায় দেখা গেছে,২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় নিজের নাম ও ঠিকানা লিখতে পারে না। সবচেয়ে হতাশার জায়গা হলো,শতভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিনের’ পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেনি।
এ কর্মশালায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন,প্রাথমিকের কারিকুলাম খুব কঠিন, বিশেষ করে ৪র্থ-৫ম শ্রেণির অংক খুব কঠিন। শিক্ষকরাই অনেক কিছু বোঝে না, শিক্ষার্থীদের বোঝাবেন কিভাবে? ফলে এই কারিকুলামটি সহজীকরণ করতে হবে,শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ধরনের বোনাস ব্যবস্থা চালু,গ্রেডিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন মূল্যায়ণ,প্রাথমিকের প্রশাসনিক পদগুলোতে শিক্ষা ক্যাডার থেকে নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন,‘শিক্ষকদের বৈষম্য,পদোন্নতি ও নিয়োগবিধি সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুত এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আরও ভালো শিক্ষাদান সম্ভব, কিন্তু নির্দেশদাতা কর্মকর্তাদের অবহেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠপর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়টি নির্ভর করছে। প্রাথমিকের কারিকুলাম দেখে শিক্ষকরাই ভয় পাচ্ছেন,তাহলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কী হবে? শিক্ষকরাই কেবলমাত্র পারে শিক্ষার্থীদেরকে মানসম্মত শিক্ষা দিতে।
সভাপতি ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন,‘পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম একটি পরিবর্তনশীল বিষয়। এটি নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা করা হয়। তার ভিত্তিতে কারিকুলাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের পর তা পরিবর্তনও করা হয়। তাই কারিকুলাম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মুনজুর কাদির।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে যোগাযোগ ও সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয়ক কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন,‘সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন জেলার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ওপর নিরীক্ষা চালিয়েছি। নিরীক্ষায় দেখা গেছে,২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও বাংলায় নিজের নাম ও ঠিকানা লিখতে পারে না। সবচেয়ে হতাশার জায়গা হলো,শতভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ‘ফোরটি’ ও ‘ফোরটিনের’ পার্থক্য নির্ণয় করতে পারেনি।
এ কর্মশালায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন,প্রাথমিকের কারিকুলাম খুব কঠিন, বিশেষ করে ৪র্থ-৫ম শ্রেণির অংক খুব কঠিন। শিক্ষকরাই অনেক কিছু বোঝে না, শিক্ষার্থীদের বোঝাবেন কিভাবে? ফলে এই কারিকুলামটি সহজীকরণ করতে হবে,শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ধরনের বোনাস ব্যবস্থা চালু,গ্রেডিং পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিখন মূল্যায়ণ,প্রাথমিকের প্রশাসনিক পদগুলোতে শিক্ষা ক্যাডার থেকে নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তারা।
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন,‘শিক্ষকদের বৈষম্য,পদোন্নতি ও নিয়োগবিধি সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুত এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আরও ভালো শিক্ষাদান সম্ভব, কিন্তু নির্দেশদাতা কর্মকর্তাদের অবহেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠপর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ওপর প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়টি নির্ভর করছে। প্রাথমিকের কারিকুলাম দেখে শিক্ষকরাই ভয় পাচ্ছেন,তাহলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কী হবে? শিক্ষকরাই কেবলমাত্র পারে শিক্ষার্থীদেরকে মানসম্মত শিক্ষা দিতে।
সভাপতি ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন,‘পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম একটি পরিবর্তনশীল বিষয়। এটি নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা করা হয়। তার ভিত্তিতে কারিকুলাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের পর তা পরিবর্তনও করা হয়। তাই কারিকুলাম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে তা বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মুনজুর কাদির।
No comments