প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য ট্রাম্প!
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর রীতিমতো ঝড় বইছে। আর তাতে লণ্ডভণ্ড
হয়েছেন ট্রাম্প। বেরিয়ে এসেছে একের পর এক স্পর্শকাতর সব তথ্য। অপ্রত্যাশিত এ
পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যেন রীতিমতো হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এবার স্বয়ং ডনাল্ড
ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ‘অযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন
হোয়াইট হাউসেরই এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে বেনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লেখেন। ‘আমি প্রতিরোধের অংশ’ শীর্ষক ওই উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি লেখেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরে কিছু কর্মকর্তা তার এজেন্ডা ও তার সবচেয়ে খারাপ প্রবণতাগুলো ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু ট্রাম্প এ বিষয়টি উপলব্ধি করেন না। লেখক নিজেকেও এসব কর্মকর্তার একজন বলে দাবি করেন।
ইকোনমিস্টের খবরে বলা হয়েছে, উপ-সম্পাদকীয়তে একটি বিপর্যস্ত মার্কিন প্রশাসনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যেখানে সব সমস্যার মূলে হলো প্রেসিডেন্টের নীতিহীনতা। তার সঙ্গে যারা কাজ করেন, তারা জানেন যে, তিনি এমন কোনো নীতিতে স্থির থাকেন না, যার আলোকে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মিনিটের ব্যবধানেই যে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবেন না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন আর এ ধরনের অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন সে বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ভেতরেই অনেক কর্মকর্তা কাজ করছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ উপ-সম্পাদকীয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার ঝড় বইছে। সিনেটর ডিক ডারবিন ওই উপ-সম্পাদকীয় নিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে সব তথ্য দেয়া হয়েছে, আমার কাছে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। বিশ্বাস করুন, তার মেজাজ হারানো অবস্থায় আপনারা তার আশেপাশে থাকতে চাইবেন না। যখন তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যান, তখন সম্ভবত ঈশ্বরই রক্ষা করেন। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখককে ভীতু আখ্যা দিয়েছেন। তিনি লেখার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। উপ-সম্পাদকীয়র লেখক হিসেবে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘রানিং মেট’ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দিকে। তবে ওই উপ-সম্পাদকীয়র সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পেন্স।
বিখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তার ‘ফেয়ার ইন’ বইয়ে হোয়াইট হাউসের ভেতরের খবর প্রকাশ করার পরের দিনই নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিস্ফোরক উপ-সম্পাদকীয়, দু’দিন ধরে ট্রাম্পের ওপর যেন ঝড় বয়ে চলেছে। টুইটার-প্রিয় এই প্রেসিডেন্ট সাধারণত দাম্ভিকতা ও নিজের কৃতিত্ব প্রকাশ করার জন্য টুইট করেন। সেই তিনিই গতকাল টুইট করলেন মাত্র এক শব্দে। লিখেছেন- ‘বিশ্বাসঘাতকতা?’। এমন পরিস্থিতি যে তৈরি হতে পারে তা যেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
ওই কর্মকর্তা বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে বেনামে একটি উপ-সম্পাদকীয় লেখেন। ‘আমি প্রতিরোধের অংশ’ শীর্ষক ওই উপ-সম্পাদকীয়তে তিনি লেখেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরে কিছু কর্মকর্তা তার এজেন্ডা ও তার সবচেয়ে খারাপ প্রবণতাগুলো ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু ট্রাম্প এ বিষয়টি উপলব্ধি করেন না। লেখক নিজেকেও এসব কর্মকর্তার একজন বলে দাবি করেন।
ইকোনমিস্টের খবরে বলা হয়েছে, উপ-সম্পাদকীয়তে একটি বিপর্যস্ত মার্কিন প্রশাসনের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যেখানে সব সমস্যার মূলে হলো প্রেসিডেন্টের নীতিহীনতা। তার সঙ্গে যারা কাজ করেন, তারা জানেন যে, তিনি এমন কোনো নীতিতে স্থির থাকেন না, যার আলোকে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মিনিটের ব্যবধানেই যে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত বদলে ফেলবেন না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেন আর এ ধরনের অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন সে বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ভেতরেই অনেক কর্মকর্তা কাজ করছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ উপ-সম্পাদকীয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার ঝড় বইছে। সিনেটর ডিক ডারবিন ওই উপ-সম্পাদকীয় নিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে সব তথ্য দেয়া হয়েছে, আমার কাছে সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। বিশ্বাস করুন, তার মেজাজ হারানো অবস্থায় আপনারা তার আশেপাশে থাকতে চাইবেন না। যখন তিনি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যান, তখন সম্ভবত ঈশ্বরই রক্ষা করেন। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখককে ভীতু আখ্যা দিয়েছেন। তিনি লেখার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। উপ-সম্পাদকীয়র লেখক হিসেবে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘রানিং মেট’ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দিকে। তবে ওই উপ-সম্পাদকীয়র সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন পেন্স।
বিখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তার ‘ফেয়ার ইন’ বইয়ে হোয়াইট হাউসের ভেতরের খবর প্রকাশ করার পরের দিনই নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিস্ফোরক উপ-সম্পাদকীয়, দু’দিন ধরে ট্রাম্পের ওপর যেন ঝড় বয়ে চলেছে। টুইটার-প্রিয় এই প্রেসিডেন্ট সাধারণত দাম্ভিকতা ও নিজের কৃতিত্ব প্রকাশ করার জন্য টুইট করেন। সেই তিনিই গতকাল টুইট করলেন মাত্র এক শব্দে। লিখেছেন- ‘বিশ্বাসঘাতকতা?’। এমন পরিস্থিতি যে তৈরি হতে পারে তা যেন তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
No comments