ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে দিল্লির বার্তা: বাংলাদেশের আতঙ্কের কিছু নেই
ব্রহ্মপুত্র
নদের পানি দ্রুত ফুঁসে উঠতে পারে বলে বাংলাদেশকে সতর্ক করে ফ্যাক্স বার্তা
পাঠিয়েছে ভারত। ওই ফ্যাক্স বার্তার ভিত্তিতে গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায়
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠক
অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থা ও
বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র নদের তিন পয়েন্টে পানির উচ্চতা
এখন কমতির দিকে।
চীনে অতি বৃষ্টির কারণে জমে যাওয়া পানি ছেড়ে দিলেও এর চাপ এক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকবে। তাই ওই পানি নিয়ে বাংলাদেশের আতঙ্কের কিছু নেই। এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্রের উজানের নদী তাস্যাংপোর পানি স্তর ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ড্যামে জমা হওয়া ওই অতিরিক্ত পানি ভাটিতে ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চীনের তরফে বিপজ্জনক স্তরে থাকা ওই পানি ভাটিতে ছাড়ার বিষয়ে দিল্লিকে সতর্ক করেছে বেইজিং। ওই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকতায় থাকা অরুণাচল ও আসাম রাজ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। দিল্লির তরফে ঢাকাকেও সতর্কবার্তাটি শেয়ার করা হয়েছে। এ নিয়ে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর জামাল উদ্দিন আহমেদ একটি জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে।
যার একটি কপি পেয়েছে মানবজমিন। দিল্লি মিশনের ফ্যাক্স বার্তার বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, তিব্বতে অতি বৃষ্টির কারণে তাস্যাংপো নদীর পানি স্তর রেকর্ড ভেঙেছে। জমে যাওয়া পানি ব্রহ্মপুত্রে ছেড়ে দিয়েছে চীন। যার ফলে ভাটির দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে ভারতের অরুণাচল ও আসাম প্রদেশকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বলা হয়েছে। ভারতের এই দুই প্রদেশে বন্যা হলে এর পানি বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারাও তা-ই বলছেন। তাদের মতে, ভারত হয়ে চীনের যে পরিমাণ পানি বাংলাদেশে পৌঁছাবে তাতে খুব বেশি এলাকা আক্রান্ত হবে না বা সেটি ভয়াবহ হবে না।
এমন বন্যা পরিস্থিতি সামলে ওঠার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলেও দাবি কর্মকর্তাদের। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পানিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লে কি কি করা যেতে পারে ওই প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ বৈঠকে আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্পারসো, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্পারসো প্রতিনিধি জানান, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতির দিকে। তাই চীন পানি ছাড়লেও তা ডেঞ্জার লেভেলে যাবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি বৃষ্টি হলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি খুব বেশি বাড়বে না। সভায় পানিসম্পদ সচিব ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য যোগাড় করার তাগিদ দেন।
চীনে অতি বৃষ্টির কারণে জমে যাওয়া পানি ছেড়ে দিলেও এর চাপ এক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকবে। তাই ওই পানি নিয়ে বাংলাদেশের আতঙ্কের কিছু নেই। এদিকে অতি বৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্রের উজানের নদী তাস্যাংপোর পানি স্তর ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। ড্যামে জমা হওয়া ওই অতিরিক্ত পানি ভাটিতে ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চীনের তরফে বিপজ্জনক স্তরে থাকা ওই পানি ভাটিতে ছাড়ার বিষয়ে দিল্লিকে সতর্ক করেছে বেইজিং। ওই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকতায় থাকা অরুণাচল ও আসাম রাজ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। দিল্লির তরফে ঢাকাকেও সতর্কবার্তাটি শেয়ার করা হয়েছে। এ নিয়ে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর জামাল উদ্দিন আহমেদ একটি জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে।
যার একটি কপি পেয়েছে মানবজমিন। দিল্লি মিশনের ফ্যাক্স বার্তার বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল বলেন, তিব্বতে অতি বৃষ্টির কারণে তাস্যাংপো নদীর পানি স্তর রেকর্ড ভেঙেছে। জমে যাওয়া পানি ব্রহ্মপুত্রে ছেড়ে দিয়েছে চীন। যার ফলে ভাটির দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। ইতিমধ্যে ভারতের অরুণাচল ও আসাম প্রদেশকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বলা হয়েছে। ভারতের এই দুই প্রদেশে বন্যা হলে এর পানি বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তারাও তা-ই বলছেন। তাদের মতে, ভারত হয়ে চীনের যে পরিমাণ পানি বাংলাদেশে পৌঁছাবে তাতে খুব বেশি এলাকা আক্রান্ত হবে না বা সেটি ভয়াবহ হবে না।
এমন বন্যা পরিস্থিতি সামলে ওঠার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলেও দাবি কর্মকর্তাদের। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পানিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়লে কি কি করা যেতে পারে ওই প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ বৈঠকে আবহাওয়া অধিদপ্তর, স্পারসো, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্পারসো প্রতিনিধি জানান, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতির দিকে। তাই চীন পানি ছাড়লেও তা ডেঞ্জার লেভেলে যাবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অতি বৃষ্টি হলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি খুব বেশি বাড়বে না। সভায় পানিসম্পদ সচিব ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি সম্পর্কে চীনের কাছ থেকে সরাসরি তথ্য যোগাড় করার তাগিদ দেন।
No comments