সৌদি রাজপরিবারে ফাটল! অভিযোগ প্রত্যাখ্যান
সৌদি
আরবে রাজপরিবারের ভিতর সম্পর্কের ফাটল ধরার যে জল্পনা চলছে তা
প্রত্যাখ্যান করেছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমানের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন
আবদুল আজিজ আল সাউদ। বাদশা সালমানের ছেলে ক্রাইন প্রিন্স যেভাবে ক্ষমতাকে
কুক্ষিগত করে ভিন্নমতাবলম্বীদের, বিশেষ করে বেশ কয়েকজন প্রিন্স, সুপরিচিত
ধর্মীয় নেতা, নারী ও মানবাধিকার কর্মীকে তাতে রাজ পরিবারের সম্পর্কের ভিতর
দ্বন্দ্বের আভাষ মিলেছে। লন্ডনের একটি জনসমাবেশে প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল
আজিজ আল সাউদ যে বক্তব্য রেখেছেন সৌদি আরবের রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে তাকে
কেন্দ্র করে এমন আভাস, কানকথা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সমাবেশে তার দেয়া বক্তব্যের
ব্যাপক প্রচার হয়েছে অনলাইনে। এতে তিনি তিন বছরে ইয়েমেনে সৌদি আরবের জড়িত
থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন ‘এটা নিয়ে ওই পরিবারটি কি করেছে? অবশ্যই
এর জন্য ব্যক্তিবিশেষ- বাদশা ও ক্রাউন্স প্রিন্স দায়ী’। কিন্তু এমন
বক্তব্য দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ।
রিয়াদ থেকে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ইয়েমেন যুদ্ধে সেখানে
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।
এই যুদ্ধে সৌদি আরবের বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু তা নিয়ে সেদেশের রাজপরিবারের
ভিতর থেকে সমালোচনা বেরিয়ে আসা এক বিরল ঘটনা। তাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল
আজিজ আল সাউদের মন্তব্যকে লুফে নিয়েছে অনলাইনের অসংখ্য ব্যবহারকারী। বহু
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রচার হয়েছে। তবে এমন বক্তব্যকে যথাযথ নয় বলে
নিজের বক্তব্যকে বা ছড়িয়ে পড়া জল্পনাকে অস্বীকার করেছেন প্রিন্স আহমেদ বিন
আবদুল আজিজ আল সাউদ। মঙ্গলবার সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস
এজেন্সি তার একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে। তাতে তিনি বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার
করে বলেছি যে, বাদশা ও ক্রাউন প্রিন্স রাষ্ট্র ও এর সব সিদ্ধান্ত নেয়ার
জন্য দায়িত্বশীল। দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এটা
সত্য ঘটনা। তাই আমি যা বলেছি আমার সেই বক্তব্যকে অন্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে’।
ওদিকে সৌদি আরবের রাজপরিবারের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শন করতে সৌাদি আরবপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো প্রিন্স আহমেদ বাদশা সালমানের হাতে চুমু খাচ্ছেন এমন ছবি প্রচার করেছে। এমন অনেক ছবি প্রচার হয়েছে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের রাজপরিবারের ভিতরকার আভ্যন্তরীণ বিষয় গোপন রাখা হয়। তাদের মধ্যে মতের অমিলের কথা বাইরে বের হয় না বললেই চলে। এমন ঘটনা বিরল। তবে সৌদি আরব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জেমস ডোরসি বলেছেন, লন্ডনের যে ঘটনা তা বলে দেয় ইয়েমেনে সৌদি আরবের সাড়ে তিন বছরের একটি বাজে যুদ্ধ নিয়ে আভ্যন্তরীণ পর্যায়ে বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে দমনপীড়ন চালাচ্ছেন যখন ঠিক সেই মুহূর্তে এমন বক্তব্য করেছেন প্রিন্স আহমেদ। ক্রাউন প্রিন্স হলেন ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনাকারী। এ নিয়ে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ওই যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
ওদিকে সৌদি আরবের রাজপরিবারের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শন করতে সৌাদি আরবপন্থি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো প্রিন্স আহমেদ বাদশা সালমানের হাতে চুমু খাচ্ছেন এমন ছবি প্রচার করেছে। এমন অনেক ছবি প্রচার হয়েছে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের রাজপরিবারের ভিতরকার আভ্যন্তরীণ বিষয় গোপন রাখা হয়। তাদের মধ্যে মতের অমিলের কথা বাইরে বের হয় না বললেই চলে। এমন ঘটনা বিরল। তবে সৌদি আরব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জেমস ডোরসি বলেছেন, লন্ডনের যে ঘটনা তা বলে দেয় ইয়েমেনে সৌদি আরবের সাড়ে তিন বছরের একটি বাজে যুদ্ধ নিয়ে আভ্যন্তরীণ পর্যায়ে বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে দমনপীড়ন চালাচ্ছেন যখন ঠিক সেই মুহূর্তে এমন বক্তব্য করেছেন প্রিন্স আহমেদ। ক্রাউন প্রিন্স হলেন ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনাকারী। এ নিয়ে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। ওই যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।
No comments