ট্রাম্প বিশ্বাসযোগ্য না, আলোচনার প্রস্তাব মূল্যহীন: ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
দেশটি বলেছে, ট্রাম্পকে বিশ্বাস করা যায় না (আনরিলায়েবল)। আর তার দেয়া
বৈঠকের প্রস্তাব নিতান্তই মূল্যহীন। মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি এসব কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে আল
জাজিরা।
খবরে বলা হয়, ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার প্রায় তিন মাসের মাথায় সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। অব্যাহত হুমকি ও সতর্ক বার্তার মধ্যেই তিনি জানান, কোনো পূর্ব শর্ত ছাড়াই তিনি ইরানের সঙ্গে যে কোনো সময় বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের বৈঠকে বসার আহ্বান মঙ্গলবার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। তিনি ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও বলপ্রয়োগ আলোচনার পুরোপুরি বিপরীত। ইরানি জাতির কাছে ট্রাম্প কিভাবে প্রমাণ করবেন যে, বাস্তবেই তার বক্তব্যের সত্যিকারের উদ্দেশ্য সমঝোতা এবং তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করার জন্য ওই কথা বলেননি। এদিকে, ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আলি মোতাহারি বলেছেন, ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কোনো সমঝোতা করলে তা হবে লজ্জাজনক বিষয়। যদি ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে না নিতেন এবং নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করতেন, তাহলে তার সঙ্গে বৈঠকে বসতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আর জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ক ইরানের সংসদীয় কমিটির প্রধান হেসমাতুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার পরই ইরান দেশটির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি বিবেচনা করবে। দেশটির বৈদেশিক নীতি বিষয়ক স্ট্র্যাটেজিক কাউন্সিলের প্রধান কামাল খারাজি ট্রাম্পের প্রস্তাবকে মূল্যহীন আখ্যা দেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইরানিরা যদি নিজেদের জনগণের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনে, তাদের অপকর্ম কমিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে কার্যকর কোনো চুক্তি করতে রাজি থাকে, তখনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মাইক পম্পেওয়ের এমন শর্ত ইরান কখনোই মেনে নেবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি বলেন, ইরানের কেউই পম্পেওর দেয়া শর্ত মেনে নেবে না। কেননা এটা হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যা। পম্পেওর শর্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতিতে নাক গলাতে চাচ্ছে। আর দ্বিতীয় শর্তে বোঝা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বৈদেশিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। আর তৃতীয় শর্তে মনে হচ্ছে, তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বা ইরানের হাতে ক্ষেপণাস্ত্র থাকুক এটা চায় না।
খবরে বলা হয়, ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার প্রায় তিন মাসের মাথায় সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। অব্যাহত হুমকি ও সতর্ক বার্তার মধ্যেই তিনি জানান, কোনো পূর্ব শর্ত ছাড়াই তিনি ইরানের সঙ্গে যে কোনো সময় বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের বৈঠকে বসার আহ্বান মঙ্গলবার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব তার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। তিনি ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও বলপ্রয়োগ আলোচনার পুরোপুরি বিপরীত। ইরানি জাতির কাছে ট্রাম্প কিভাবে প্রমাণ করবেন যে, বাস্তবেই তার বক্তব্যের সত্যিকারের উদ্দেশ্য সমঝোতা এবং তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করার জন্য ওই কথা বলেননি। এদিকে, ইরানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার আলি মোতাহারি বলেছেন, ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কোনো সমঝোতা করলে তা হবে লজ্জাজনক বিষয়। যদি ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে না নিতেন এবং নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করতেন, তাহলে তার সঙ্গে বৈঠকে বসতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। আর জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি বিষয়ক ইরানের সংসদীয় কমিটির প্রধান হেসমাতুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার পরই ইরান দেশটির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি বিবেচনা করবে। দেশটির বৈদেশিক নীতি বিষয়ক স্ট্র্যাটেজিক কাউন্সিলের প্রধান কামাল খারাজি ট্রাম্পের প্রস্তাবকে মূল্যহীন আখ্যা দেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে কয়েকটি দাবির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইরানিরা যদি নিজেদের জনগণের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনে, তাদের অপকর্ম কমিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে কার্যকর কোনো চুক্তি করতে রাজি থাকে, তখনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মাইক পম্পেওয়ের এমন শর্ত ইরান কখনোই মেনে নেবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ফোয়াদ ইজাদি বলেন, ইরানের কেউই পম্পেওর দেয়া শর্ত মেনে নেবে না। কেননা এটা হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যা। পম্পেওর শর্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতিতে নাক গলাতে চাচ্ছে। আর দ্বিতীয় শর্তে বোঝা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বৈদেশিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। আর তৃতীয় শর্তে মনে হচ্ছে, তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বা ইরানের হাতে ক্ষেপণাস্ত্র থাকুক এটা চায় না।
No comments