সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী: দুর্বল বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে দরিদ্র জনগোষ্ঠী by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
দেশে
সিগারেটের প্যাকেটে দেয়া ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সংক্রান্ত সচিত্র স্বাস্থ্য
সতর্কবাণীর দুর্বল বাস্তবায়ন। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছেন দরিদ্র
জনগোষ্ঠী। ৭৫ শতাংশ তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই।
সম্প্রতি প্রভাবশালী মেডিকেল সাময়িকী বিএমজে (বৃটিশ মেডিকেল জার্নাল)-এর
টোব্যাকো কন্ট্রোল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে,
সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত কঠোর আইন পাস হওয়ার পরও সারা দেশে
এখনো এর লঙ্ঘন এবং অমান্যের ঘটনা অনেক। ‘গ্রাফিক হেলথ ওয়ার্নিংস অন
টোব্যাকো প্যাকেটস অ্যান্ড কনটেইনারস: কমপ্লায়েন্স স্ট্যাটাস ইন বাংলাদেশ’-
নামের এই গবেষণায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর ব্যবহার ও বাস্তবায়নকে
কিভাবে আরো উন্নত এবং কার্যকরী করা যায় এবং কিভাবে এর মাধ্যমে তামাকের
ব্যবহার কমিয়ে আনা যায়, তার উল্লেখ আছে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে এখনো
শতভাগ সাক্ষরতা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা নিশ্চিত করা যায়নি, সেখানে দরিদ্র এবং
লেখাপড়া না জানা জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে
দিতে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতাবাণীর কোনো বিকল্প নেই। তাই এই আইন
বাস্তবায়নে অবহেলা শেষ পর্যন্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই হুমকির মুখে ফেলবে।
খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইন বাস্তবায়ন
সংক্রান্ত সচেতনতাও অত্যন্ত কম।
গবেষকরা জানান, তামাক আসক্তির ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে নিজের কি পরিণতি হতে পারে, তা ব্যবহারকারীকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়ার কাজটি করে থাকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী। কোন একজন ধূমপায়ী যদি দিনে এক প্যাকেট করে সিগারেট খেয়ে থাকেন, তাহলে এক বছরে অন্তত ৭০০০ বার সিগারেটের প্যাকেটে দেয়া ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সংক্রান্ত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীগুলো তার চোখে পড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫’ সংশোধন করে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের প্যাকেট বা কৌটায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সংবলিত রঙিন ছবি সংযোজন বাধ্যতামূলক করে। আইন অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের তামাকপণ্যের প্যাকেট, কার্টন এবং কৌটার উপরের ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাপানো বাধ্যতামূলক। ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চে বলবৎ হওয়ার পর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীবিহীন কোনো তামাকপণ্য বাংলাদেশে বিক্রি নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনের অধীনে তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কিত ৯টি ছবি এবং লিখিত বার্তাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে, বিড়ি ও সিগারেটের প্যাকেটের জন্য ৭টি ছবি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) জন্য ২টি ছবি নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, প্রতি তিন মাস পর পর পর্যায়ক্রমে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পরিবর্তন করে মুদ্রণ করার বিধান রয়েছে। এছাড়া আমদানিকৃত কিংবা দেশে উৎপাদিত সকল তামাকপণ্যের প্যাকেটে ’শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রির জন্য’-এই লেবেল সংযুক্ত থাকতে হবে। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত আইন এবং এর বিধি-বিধান ভঙ্গ করলে ছয়মাসের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা দুইয়েরই অনুমোদন রাখা হয়েছে। একবার শাস্তি পাওয়ার পর যদি ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করে, তাহলে শাস্তির পরিমাণও দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ বাধ্যতামূলকভাবে চালু হওয়া সকল তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতাবাণীর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যই এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এবং পরবর্তীতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে- এই দুই দফায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নাবলী ব্যবহার করে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় তিন ধরনের খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়; (ক) প্রধানত সিগারেট বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য সিগারেট); (খ) প্রধানত বিড়ি এবং স্বল্পমূল্যের সিগারেট বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য বিড়ি এবং কম দামি সিগারেট); (গ) প্রধানত ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য ধোঁয়াবিহীন তামাক)। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ৫টি দোকান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে ৮টি বিভাগীয় শহরের ১২০টি দোকান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় বিভিন্ন তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার, ছবি ও লেখার অনুপাত, লেখায় কালো জমিনের উপর সাদা অক্ষর ব্যবহার এবং তিন মাস পর পর ছবি পরিবর্তনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় মোট ৩৩১২টি তামাকপণ্যের প্যাকেট/কৌটা পর্যবেক্ষণ করা হয়। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত আইন বলবৎ হওয়ার পরের মাস অর্থাৎ, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই। একই বছর নভেম্বর মাসে এই সংখ্যা ১৯ শতাংশে নেমে আসে। যদিও শতভাগ আইন মেনে তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের হার উভয় গবেষণাতেই খুব কম পাওয়া গেছে। সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত আইন প্রতিপালনের হার বেশি হলেও ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে আইন প্রতিপালনের হার সবচেয়ে কম। বিশেষ করে, জর্দার ক্ষেত্রে সচিত্র সাস্থ্য সতর্কবাণী উপস্থিতির হার সবচেয়ে উদ্বেগজনক।
৪০ শতাংশ জর্দার প্যাকেট এবং কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি। গুলের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২৪ শতাংশ এবং বিড়ির ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বরে দেখা যায়, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী আছে এমন ৯০ শতাংশ বিড়ির প্যাকেটেই সেটা আইনানুগভাবে ছাপানো হয়নি। আর জর্দার প্যাকেট বা কৌটার ৮৫ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রেই আইন লঙ্ঘন করে উপরে বা নিচের একপাশে অথবা কৌটার মধ্যভাগে সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়েছে। গুলের ক্ষেত্রে এই আইন লঙ্ঘনের হার ৪২ শতাংশ। এছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সচেতনতাও অত্যন্ত কম। ৩ মাস অন্তর সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পরিবর্তনের আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবহিত নন ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ বিক্রেতাই। করণীয় বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, খুচরা বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে প্রচারণা চালাতে হবে। সঠিক আইনের প্রয়োগ, সুষ্ঠু তদারকি নিশ্চিত করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতকর্তাবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
গবেষকরা জানান, তামাক আসক্তির ফলস্বরূপ ভবিষ্যতে নিজের কি পরিণতি হতে পারে, তা ব্যবহারকারীকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়ার কাজটি করে থাকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী। কোন একজন ধূমপায়ী যদি দিনে এক প্যাকেট করে সিগারেট খেয়ে থাকেন, তাহলে এক বছরে অন্তত ৭০০০ বার সিগারেটের প্যাকেটে দেয়া ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সংক্রান্ত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীগুলো তার চোখে পড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫’ সংশোধন করে। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের প্যাকেট বা কৌটায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সংবলিত রঙিন ছবি সংযোজন বাধ্যতামূলক করে। আইন অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের তামাকপণ্যের প্যাকেট, কার্টন এবং কৌটার উপরের ৫০ শতাংশ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাপানো বাধ্যতামূলক। ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চে বলবৎ হওয়ার পর থেকে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীবিহীন কোনো তামাকপণ্য বাংলাদেশে বিক্রি নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনের অধীনে তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কিত ৯টি ছবি এবং লিখিত বার্তাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে, বিড়ি ও সিগারেটের প্যাকেটের জন্য ৭টি ছবি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) জন্য ২টি ছবি নির্ধারণ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, প্রতি তিন মাস পর পর পর্যায়ক্রমে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পরিবর্তন করে মুদ্রণ করার বিধান রয়েছে। এছাড়া আমদানিকৃত কিংবা দেশে উৎপাদিত সকল তামাকপণ্যের প্যাকেটে ’শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রির জন্য’-এই লেবেল সংযুক্ত থাকতে হবে। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত আইন এবং এর বিধি-বিধান ভঙ্গ করলে ছয়মাসের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা দুইয়েরই অনুমোদন রাখা হয়েছে। একবার শাস্তি পাওয়ার পর যদি ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এই অপরাধ করে, তাহলে শাস্তির পরিমাণও দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ বাধ্যতামূলকভাবে চালু হওয়া সকল তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতাবাণীর বাস্তবায়ন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যই এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে এবং পরবর্তীতে ২০১৬ সালের নভেম্বরে- এই দুই দফায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নাবলী ব্যবহার করে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় তিন ধরনের খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়; (ক) প্রধানত সিগারেট বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য সিগারেট); (খ) প্রধানত বিড়ি এবং স্বল্পমূল্যের সিগারেট বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য বিড়ি এবং কম দামি সিগারেট); (গ) প্রধানত ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য বিক্রেতা (যার দোকানের বেশির ভাগ পণ্য ধোঁয়াবিহীন তামাক)। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ৫টি দোকান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে ৮টি বিভাগীয় শহরের ১২০টি দোকান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় বিভিন্ন তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আকার, ছবি ও লেখার অনুপাত, লেখায় কালো জমিনের উপর সাদা অক্ষর ব্যবহার এবং তিন মাস পর পর ছবি পরিবর্তনের বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় মোট ৩৩১২টি তামাকপণ্যের প্যাকেট/কৌটা পর্যবেক্ষণ করা হয়। সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত আইন বলবৎ হওয়ার পরের মাস অর্থাৎ, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায়, ৭৫ শতাংশ তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই। একই বছর নভেম্বর মাসে এই সংখ্যা ১৯ শতাংশে নেমে আসে। যদিও শতভাগ আইন মেনে তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের হার উভয় গবেষণাতেই খুব কম পাওয়া গেছে। সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ সংক্রান্ত আইন প্রতিপালনের হার বেশি হলেও ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে আইন প্রতিপালনের হার সবচেয়ে কম। বিশেষ করে, জর্দার ক্ষেত্রে সচিত্র সাস্থ্য সতর্কবাণী উপস্থিতির হার সবচেয়ে উদ্বেগজনক।
৪০ শতাংশ জর্দার প্যাকেট এবং কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পাওয়া যায়নি। গুলের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২৪ শতাংশ এবং বিড়ির ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ। ২০১৬ সালের নভেম্বরে দেখা যায়, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী আছে এমন ৯০ শতাংশ বিড়ির প্যাকেটেই সেটা আইনানুগভাবে ছাপানো হয়নি। আর জর্দার প্যাকেট বা কৌটার ৮৫ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রেই আইন লঙ্ঘন করে উপরে বা নিচের একপাশে অথবা কৌটার মধ্যভাগে সচিত্র সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হয়েছে। গুলের ক্ষেত্রে এই আইন লঙ্ঘনের হার ৪২ শতাংশ। এছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সচেতনতাও অত্যন্ত কম। ৩ মাস অন্তর সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী পরিবর্তনের আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে অবহিত নন ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ বিক্রেতাই। করণীয় বিষয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, খুচরা বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের মধ্যে প্রচারণা চালাতে হবে। সঠিক আইনের প্রয়োগ, সুষ্ঠু তদারকি নিশ্চিত করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতকর্তাবাণীর আইনানুগ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
No comments