বৃষ্টি মাথায় ঢাকার রাজপথে শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে
নিরাপত্তার
অভিযোগে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হলেও নিরাপদ
সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামছে না। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজও
শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছে রাজধানীর রাজপথে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও পঞ্চম দিনের মতো নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্কুল ড্রেস পরা শিক্ষার্থীদের নেমে আসতে দেখা গেছে। তারা গাড়িচালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর মৌচাক, আসাদগেট, মতিঝিল, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, শাহবাগ মোড়, মিরপুর, শনির আখড়া, উত্তরার হাউস বিল্ডিং, বিমানবন্দর এলাকায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় জড়ো হতে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
দোহারে ট্রাকচাপায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত
ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেও আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার দোহার উপজেলায় ট্রাকচাপায় মো. রেশাদ (১৩) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চরকুশাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীতে রোববার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে টানা চতুর্থ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ (বৃহস্পতিবার) বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, ‘শিক্ষার্থী ও অন্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে এবং আশেপাশের জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।
বাস মালিক-শ্রমিকরা জানায়, নিরাপত্তার কারণে এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় তারা পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।
অপরদিকে ময়মনসিংহ ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আন্তঃনগর ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের মিছিল
ওদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ সকাল ১০টা থেকে জিইসি মোড়, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার, ওয়াসা এলাকায় কয়েকশ শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল করে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা বেশ কিছু অটোরিকশা, বাসের চালকদের লাইসেন্স ও গাড়ীর কাগজপত্র দেখতে গেলে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে বিপুলসংখ্যক পুলিশ রাস্তায় ছাত্রদের বুঝিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
ছাত্ররা বলছে, আমাদের দাবি নিরাপদ সড়ক। আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক তা আমরা চাই না। যদি চালকের লাইসেন্স না থাকে, গাড়ির ফিটনেস না থাকে, তবে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এছাড়া, ঢাকার সাভার, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর ও বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
হাসির জন্য ক্ষমা চাইলেন নৌমন্ত্রী
শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে তাঁর হাসির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি দিয়াদের বাসায় যান। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন।
শাজাহান খান একই সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীতে দু'জন ছাত্র নিহত হবার বিষয় জানতে চাইলে ঘটনার দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে।
নিহত দিয়ার বাসায় গিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গে হেসেছিলেন। তখনো জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকেরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর হাসিতে সবাই দুঃখ পেয়েছে জেনে তিনি আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন নিজে এসে তাঁদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও পঞ্চম দিনের মতো নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্কুল ড্রেস পরা শিক্ষার্থীদের নেমে আসতে দেখা গেছে। তারা গাড়িচালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করে দেখছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর মৌচাক, আসাদগেট, মতিঝিল, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, শাহবাগ মোড়, মিরপুর, শনির আখড়া, উত্তরার হাউস বিল্ডিং, বিমানবন্দর এলাকায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় জড়ো হতে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
দোহারে ট্রাকচাপায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত
ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেও আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার দোহার উপজেলায় ট্রাকচাপায় মো. রেশাদ (১৩) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চরকুশাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীতে রোববার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে টানা চতুর্থ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ (বৃহস্পতিবার) বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, ‘শিক্ষার্থী ও অন্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
গণপরিবহন বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে এবং আশেপাশের জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ।
বাস মালিক-শ্রমিকরা জানায়, নিরাপত্তার কারণে এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় তারা পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।
অপরদিকে ময়মনসিংহ ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আন্তঃনগর ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের মিছিল
ওদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে আজ সকাল ১০টা থেকে জিইসি মোড়, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার, ওয়াসা এলাকায় কয়েকশ শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে মিছিল করে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় তারা বেশ কিছু অটোরিকশা, বাসের চালকদের লাইসেন্স ও গাড়ীর কাগজপত্র দেখতে গেলে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে বিপুলসংখ্যক পুলিশ রাস্তায় ছাত্রদের বুঝিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
ছাত্ররা বলছে, আমাদের দাবি নিরাপদ সড়ক। আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক তা আমরা চাই না। যদি চালকের লাইসেন্স না থাকে, গাড়ির ফিটনেস না থাকে, তবে দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
এছাড়া, ঢাকার সাভার, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর ও বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
হাসির জন্য ক্ষমা চাইলেন নৌমন্ত্রী
শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে তাঁর হাসির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি দিয়াদের বাসায় যান। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন।
শাজাহান খান একই সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীতে দু'জন ছাত্র নিহত হবার বিষয় জানতে চাইলে ঘটনার দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে।
নিহত দিয়ার বাসায় গিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গে হেসেছিলেন। তখনো জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিকেরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর হাসিতে সবাই দুঃখ পেয়েছে জেনে তিনি আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন নিজে এসে তাঁদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান।
No comments