কংগ্রেস বাংলাদেশি অভিবাসীদের বের করে দেয়ার সাহস দেখাতে পারেনি- অমিত শাহ
ক্ষমতায়
থাকতে ইউপিএ সরকার বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেয়ার সাহস দেখাতে
পারেনি। এখন বিরোধীরা এসব অবৈধ অভিবাসীদের তাদের ভোট ব্যাংক হিসেবে দেখছে।
সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত
শাহ। ভারতের রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দেয়া আসামের নাগরিকত্ব বিষয়ক এনআরসি নিয়ে
তিনি নয়া দিল্লিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা পিটিআই। সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলগুলোতে বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী
ইস্যুতে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপি প্রধান। এ সময়
তিনি বলেন, তার দল জাতীয় নিরাপত্তা ও ভারতীয়দের অধিকারের পক্ষে। তাই আসামে
এনআরসি বাস্তবায়ন করা হবে শেষ ‘ফুল স্টপ’ পর্যন্ত।
এ নিয়ে তিনি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলোর সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অমিত শাহ বলেন, এনআরসির ম্যান্ডেট হলো অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করা। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। কিন্তু অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার সাহসে ঘাটতি ছিল ওই সরকারের। এখন এনআরসি বাস্তবায়ন হবে শেষ ‘ফুল স্টপ ও কমা’ পর্যন্ত বা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরই মধ্যে বিভক্তির নীতি গ্রহণ করার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার কথার জবাব দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য মমতা অবৈধ অভিবাসীদের ভোটব্যাংক হিসেবে দেখেন।
অন্যদিকে তার দল কাজ করছে দেশের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে। মানবাধিকারের ভিত্তিতে এনআরসি নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তাও প্রত্যাখ্যান করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, যেসব মানুষ মানবাধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কথা বলছেন তাদের উদ্বেগ দেখানো উচিত আসামের মানুষের অধিকারের বিষয়ে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, আসামের মানুষের কি কোনো মানবাধিকার নেই? ভারতীয় নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার জন্যই এনআরসি করা হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় নাগকিরদের কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অথবা অন্য রাজ্যের যেসব নাগরিক আসামে বসবাস করছেন তাদেরও অবিচারের মুখে পড়ার কোনো ভয় নেই। এনআরসি বাস্তবায়ন হবে দৃঢ়তার সঙ্গে ও সুষ্ঠুভাবে। বিজেপি এ ইস্যুর পক্ষে এবং ভারতীয় নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে তার অবস্থান। বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন সেই পক্ষের বিরুদ্ধে এ দলের অবস্থান।
অমিত শাহ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজেপি। এটাই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। অন্য দলগুলোরও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। এক্ষেত্রে এনআরসি তারা সমর্থন করেন কিনা সে প্রশ্নে তাদের শুধু ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ বলা উচিত। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী যে আসাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন তারই মূল এনআরসি। এর সুস্পষ্ট উচ্চারণ হলো, প্রতিজন অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করতে হবে এবং তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রে এবং আসামে বেশ কয়েকটি কংগ্রেস শাসিত সরকার ছিল। তারা এটা বাস্তবায়ন করার সাহস দেখায়নি। পরে সুপ্রিম কোর্ট এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে এবং মোদি সরকার প্রক্রিয়া গ্রহণ শুরু করে। পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করছে সুপ্রিম কোর্ট। অমিত শাহ আরো বলেন, আমি কংগ্রেসের কাছে জানতে চাই তারা কেন এনআরসি নিয়ে ভোটব্যাংক বানানোর জন্য প্রশ্ন তুলছে। কংগ্রেসই তো ২০০৫ সালে এনআরসি কার্যক্রম শুরু করেছিল। কিন্তু আপনারা অবৈধ বাংলাদেশিদের বের করে দেয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। কারণ, তারা আপনাদের কাছে ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। জাতীয় স্বার্থের ওপরে গিয়ে ভোটব্যাংক রাজনীতি করা উচিত নয় কংগ্রেসের।
এটা দুঃখজনক যে বিজেপি ও বিজেডি ছাড়া আর কোনো দল অবৈধ অভিবাসীদের জন্য দেশে জায়গা নেই এই কথাটি বলতে পারলো না। এ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে না। কংগ্রেসের অবস্থান পরিবর্তনের স্বভাব আছে। এ সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, তাকে স্মরণ করতে বলবো তার দাদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের কোনো জায়গা নেই। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনআরসিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হতে পারে গৃহযুদ্ধ ও রক্তপাত। এর নিন্দা জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, গৃহযুদ্ধের নামে একবার দেশ বিভক্তি ছিল। তাকে স্পষ্ট করে বলতে হবে তিনি কোন রকম গৃহযুদ্ধের বিষয়ে কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাদের এনআরসি বাস্তবায়নের দাবির বিষয়েও তিনি কথা বলেন। বলেন, বর্তমানে আসামে এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ইস্যুতে উপযুক্ত সময়ে তার দল ব্যবস্থা নেবে।
এ নিয়ে তিনি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলোর সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেন। অমিত শাহ বলেন, এনআরসির ম্যান্ডেট হলো অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করা। এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। কিন্তু অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার সাহসে ঘাটতি ছিল ওই সরকারের। এখন এনআরসি বাস্তবায়ন হবে শেষ ‘ফুল স্টপ ও কমা’ পর্যন্ত বা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরই মধ্যে বিভক্তির নীতি গ্রহণ করার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার কথার জবাব দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য মমতা অবৈধ অভিবাসীদের ভোটব্যাংক হিসেবে দেখেন।
অন্যদিকে তার দল কাজ করছে দেশের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে। মানবাধিকারের ভিত্তিতে এনআরসি নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তাও প্রত্যাখ্যান করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, যেসব মানুষ মানবাধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কথা বলছেন তাদের উদ্বেগ দেখানো উচিত আসামের মানুষের অধিকারের বিষয়ে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন, আসামের মানুষের কি কোনো মানবাধিকার নেই? ভারতীয় নাগরিকদের মানবাধিকার রক্ষার জন্যই এনআরসি করা হয়েছে। এ নিয়ে ভারতীয় নাগকিরদের কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। অথবা অন্য রাজ্যের যেসব নাগরিক আসামে বসবাস করছেন তাদেরও অবিচারের মুখে পড়ার কোনো ভয় নেই। এনআরসি বাস্তবায়ন হবে দৃঢ়তার সঙ্গে ও সুষ্ঠুভাবে। বিজেপি এ ইস্যুর পক্ষে এবং ভারতীয় নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে তার অবস্থান। বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন সেই পক্ষের বিরুদ্ধে এ দলের অবস্থান।
অমিত শাহ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিজেপি। এটাই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। অন্য দলগুলোরও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত। এক্ষেত্রে এনআরসি তারা সমর্থন করেন কিনা সে প্রশ্নে তাদের শুধু ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ বলা উচিত। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী যে আসাম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন তারই মূল এনআরসি। এর সুস্পষ্ট উচ্চারণ হলো, প্রতিজন অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করতে হবে এবং তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রে এবং আসামে বেশ কয়েকটি কংগ্রেস শাসিত সরকার ছিল। তারা এটা বাস্তবায়ন করার সাহস দেখায়নি। পরে সুপ্রিম কোর্ট এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে এবং মোদি সরকার প্রক্রিয়া গ্রহণ শুরু করে। পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করছে সুপ্রিম কোর্ট। অমিত শাহ আরো বলেন, আমি কংগ্রেসের কাছে জানতে চাই তারা কেন এনআরসি নিয়ে ভোটব্যাংক বানানোর জন্য প্রশ্ন তুলছে। কংগ্রেসই তো ২০০৫ সালে এনআরসি কার্যক্রম শুরু করেছিল। কিন্তু আপনারা অবৈধ বাংলাদেশিদের বের করে দেয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। কারণ, তারা আপনাদের কাছে ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের কাছে জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকদের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। জাতীয় স্বার্থের ওপরে গিয়ে ভোটব্যাংক রাজনীতি করা উচিত নয় কংগ্রেসের।
এটা দুঃখজনক যে বিজেপি ও বিজেডি ছাড়া আর কোনো দল অবৈধ অভিবাসীদের জন্য দেশে জায়গা নেই এই কথাটি বলতে পারলো না। এ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে না। কংগ্রেসের অবস্থান পরিবর্তনের স্বভাব আছে। এ সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, তাকে স্মরণ করতে বলবো তার দাদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য। তিনি বলেছিলেন, ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের কোনো জায়গা নেই। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এনআরসিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হতে পারে গৃহযুদ্ধ ও রক্তপাত। এর নিন্দা জানান অমিত শাহ। তিনি বলেন, গৃহযুদ্ধের নামে একবার দেশ বিভক্তি ছিল। তাকে স্পষ্ট করে বলতে হবে তিনি কোন রকম গৃহযুদ্ধের বিষয়ে কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাদের এনআরসি বাস্তবায়নের দাবির বিষয়েও তিনি কথা বলেন। বলেন, বর্তমানে আসামে এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ইস্যুতে উপযুক্ত সময়ে তার দল ব্যবস্থা নেবে।
No comments